আমি সত্য জানতে চাই
আজ ভারতের অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংশের ২০তম বার্ষিকী। ১৯৯২ সালের ৬
ডিসেম্বর ভারতীয় হিন্দু মৌলবাদীদের আক্রমনে অযোদ্ধার ষোল শতকের এই ঐতিহাসিক মসজিদটি ধ্বংস করা হয়।
১৯৯২-৯৩ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর শহরে হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গা বাধে। এই দাঙ্গায় আনুমানিক দুই হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হন যাদের অধিকাংশই মুসলমান। বিষয়টি মুসলিমরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না।
সেদিন অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে সেদেশের আইন ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে হত্যা করা হয়েছিলো।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখ্নৌ বেঞ্চ এক রায়ে বাবরি মসজিদের ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমিকে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে তিন ভাগে ভাগ করে দিয়েছিল। একটা ভাগ পায় মুসলিম সম্প্রদায় এবং দু’ ভাগ পায় হিন্দুদের দুটি ধর্মীয় সংগঠন।
(Allahabad high court)
এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখ্নৌ বেঞ্চ ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর যে রায় দিয়েছিল তার বিরুদ্ধে ‘এইএমপিএলবি’ সুপ্রিমকোর্টে আপিল করেছে। ভারতীয় রাজনৈতিক দল বিজেপির নির্বচনী ওয়াদা পুরনে হিন্দুরা পরে এখানে রাম মন্দির নির্মান করে।
(Ram temple issue on BJP’s agenda in UP polls)
মজলিশ-এ-ইত্তেহাদুল-মুসলিমিনের (এমআইএম) সভাপতি ও সাংসদ আসাদউদ্দিন অবেসি বলেছেন, বাবরি মসজিদ ইসুতে মুসলিমদের সাথে প্রতিটি পদক্ষেপে প্রতারণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, "বাবরি মসজিদের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া যাবে না। " তিনি আরও বলেন, " আমাদের মনে হয়, দেশের আইন ব্যবস্থা ও শান্তি অক্ষুন্ন রাখতে বিষয়টির সুবিচার হওয়া দরকার। অবেসির অভিযোগ, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব গবেষণার সঙ্গে যোগসাজশ করে সাম্প্রদায়িক শক্তি ঐতিহ্য সংরক্ষণের নিয়ম লঙ্ঘন করে এই মন্দির নির্মাণ করেছিল। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ২০তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে হায়দরাবাদের এই সাংসদ আইনি লড়াইয়ে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’(এইএমপিএলবি) বোর্ডকে মুসলিমদের দোয়া করা উচিত বলে তাদের পরামর্শ দেন।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা মুসলমানদের মন ভেঙে দিয়েছে। বাবরি মসজিদ ধ্বংশের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সকল অপশক্তি এবং রামুর ঘটনাসহ পৃথিবীর সকল উগ্র মৌলবাদীদের নিকৃষ্ট ঘটনার সাথে জড়িত সবার প্রতি ঘৃনা জানাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।