আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ ৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবস

আজ ৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এই দিনে পাক হানাদার মুক্ত হয় এ জেলা। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলার ১০টি থানাই ছিল এই মহকুমা জেলার অন্তর্গত। ২০ নভেম্বর অমরখানা, ২৫ নভেম্বর জগদলহাট, ২৬ নভেম্বর শিংপাড়া গ্রাম, ২৭ নভেম্বর তালমা এবং ২৭ নভেম্বর মির্জাপুর, আটওয়ারী দখলের পর মিত্রবাহিনী পঞ্চগড়ের দিকে অগ্রসর হয়। ২৯ নভেম্বর পঞ্চগড় হাতছাড়া হওয়ার পর পাকবাহিনীর মনোবল ভেঙে গেলে তারা পিছু হটে ঠাকুরগাঁওয়ে ঘাঁটি স্থাপন করে।

পাকসেনারা ৩০ নভেম্বর ঠাকুরগাঁও এর উত্তরে ভুল্লী ব্রিজটি বোমা মেড়ে উড়িয়ে দেয় এবং সালন্দর এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় মাইন পেতে রাখলেও পরে মিত্রবাহিনী ভুল্লী ব্রিজ মেরামত করে ট্যাঙ্ক পারাপারের ব্যবস্থা করে। পরবর্তীতে কমান্ডার মাহাবুব আলমের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা মাইন অপসারণ করলে মিত্রবাহিনী ঠাকুরগাঁও শহরের দিকে অগ্রসর হয় এবং ২ ডিসেম্বর রাতে প্রচণ্ড গোলাগুলি ও সম্মুখ যুদ্ধের পর শত্রুবাহিনী সৈয়দপুর সেনানিবাসে পিছু হটতে বাধ্য হয়। ৩ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর সদস্যরা বিজয়ের বেশে ঠাকুরগাঁও প্রবেশ করে। মুক্ত হয় ঠাকুরগাঁও। রিক্সাওয়ালা মোহম্মদ আলী ২৭ মার্চ তারিখে শহীদ হন।

বুদ্ধিজীবিদের মাঝে অন্যতম শহীদ হন আমার পিতার সহকর্মী । নিরাপদের খোজে পালানোর সময় প্রায় সদর উপজেলার জঠিভাংগা গ্রামের ৩৫০০ নীরিহ নারী ও শিশু। এছাড়া যুদ্ধের পর রানীশংকৈল উপজেলার খুনিয়াদীঘি থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ৮৫০০ মানুষের দেহাবশেষ। তবে যাদের আত্মত্যাগে আমাদের বাংলাদেশ—তাদের কতটুকু প্রতিদান দিতে পেরেছি ?  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।