জামাত-শিবির দূরে গিয়া মর! ০১: পাচন্ড গুলিস্তান
হলু। আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ছোটবেলা থেকেই একসাথে আছি। বলা যায় জানের দুস্ত। তবে হলু কিন্তু ওর আসল নাম না।
আসল নামটা যে কি আমি নিজেও ভুলে গেছি। কিন্তু বন্ধুমহলে হলু ইজ হলু। মানে হলু নামেই সে আমাদের এলাকায় ওয়ার্ল্ড ফেমাস। হলু অনেক ব্রিলিয়ান্ট। তবে এদেশের মানুষ মেধাবীদের মূল্য দেয় না, তাই হলুকেও মানুষে মূল্য দেয় না।
তবে আমি দেই, আমার দুস্ত তো তাই।
একবার হলু একটা টিরিক আবিস্কার করল । ফাও খাওয়ার টিরিক। ব্লেড দিয়া প্যান্টের পকেট ফালা ফালা কইরা পোচায়া সেই প্যান্ট পইরা দোকানে যাইত । ভরপেট খাইয়া, আরামসে ঢেকুড় তুইলা পকেটে হাত দিয়া টাকা হারানোর এ্যাকটিং করত ।
উরে মনা কি এ্যাকটিং রে.. দেখলে পাগল হইয়া যাবা, জলিল বাই, চাকিপ আফারে বাচ্চা পুলাপান মনে অইব । দোকানদার মনে লইত পুলাটার পকেট মাইর গেছে, তাই কিছু কইত না । হলু ওয়াদা কইরা আসত যে বিকালে পয়সা কিলিয়ার কইরা যাবে, বাট বিকাল তো বিকালই... হলুর মতে রেকর্ড আর ওয়াদা করা হয় ভাঙার জন্যই । তো হলু এতো ব্রিলিয়ান্ট, মাগার দেশ তো বাংলাদেশ। এদেশে বিরিলিয়ানদের ভাত নাই ।
একদিন হঠাৎ আমগো হলুরে ইনচাল্ট হতে অইল, গুলিস্তানে । হলু তার বিখ্যাত পকেট কাটা প্যান্ট পইরা গুলিস্তানের উদ্দেশ্যে হাটা দিল। মিনিট যায়, ঘন্টা যায়, এমন কি সূর্য্য মামাও ডুইবা যায় মাগার হলুর কোন দেখা নাই । রাইত সাড়ে বারোটার কালে হলু আমারে ফুন দিল, "দুস্তো নিচে আয়, এট্টা লুঙ্গি লইয়া আহিস"।
আমি লুঙ্গি লইয়া নিচে যাইয়া দেখি হলু ইজ ইন এক সেট ।
ওহ না না, পরনে হাফ প্যান্ট ছিল । হলু রুমে আইসা কয়, গুলিস্তানের ক্যাতা পুরি... আমারে এ্যাম্বায় ইনচাল্ট কইরলো!
আসলে আমাগো হলু প্যান্ট টিরিকে এতই আত্ন-বিশ্বাসী অয়া গেছিল যে গুলিস্তানেও এই টিরিক আজমাইতে গেছিল । মাগার গুলিস্তান তো গুলিস্তানই... টিরিকে গুলি মার, হলুর প্যান্ট পর্যন্ত খুইলা রাইখা দিছে.. পাচন্ড । মাগার হলুর কিছু অয় নাই। ওর ইসপিশাল জামা দেইখা বাসের কন্ডাক্টর পর্যন্ত ওরে ফ্রি রাইড দিছে ।
কি আর কমু, দিস ইজ দ্য হলু এফেক্ট
-------------------------------------------------------------
০২: নুয়াখাইল্ল্যা বাড়িলা
হলু আর আমি (সাথে আরও দুই ছ্যাড়া আছে) সহ মোট চারজন মিরপুর থকি। কি আর কমু, আগের জন্মে মনে অয় ইসরাইলি ছিলাম, নাইলে কোন পাপে নোয়াখাইল্ল্যা বাড়িলার পাল্লায় পড়লাম ওরে ভগবান, নোয়াখাইল্ল্যারা এমন অয়? পানি ছাড়ে না ঠিক মত । মুরগির খোপের মত ঘর মাগার ভাড়া ফাইভ ইশটারের স্যুটের লাহান । পুত্তুম দিন হলু রাইত আড়াইটার কালে কয়,"মামা, আকবর ভাই ডাকতাছে" আমি কইলাম যা ঘুইরা আয়। হলু এক দৌড়ে আকবরের বাড়ি ঢুইকা গেলো।
এট্টু পর চিল্লান দিলো, "ইহানে আয়" দৌড়ায়া গেলাম,"কি অইচে"
: পানি নাই তো
: আমি কি করব?
: কিছু তো কর
: দাড়া আচতিছি
কি আর করা. মগ নিয়া দৌড় দিলাম তিন তলায়। (তিন তলায় মেস, টয়লেট কমন) এক মগ পানি চুরি কইরা হলুরে দিলাম।
যাই হোক, অল ইজ উয়েল। হলু ক্লিন হইয়া কয় বাড়িলারে বাশ দিমু
: কেম্নে
: কাইল দেহিস
পর দিন হলু রাইত দেড়টার সুমায় বদনা নিয়া নিচ তলায়(বাড়িলার ফিলাট) দৌড় মারল। আমি কইলাম, "নিঃশব্দে কাম সাইরা আয়"।
এট্টু পর হলু বিবস্ত্রবস্তায় হাফাইতে হাফাইতে আইল
: দরজা খোল
: তোর লুঙ্গি কই
: খুইলা পইরা গেছে
: কেম্নে
: বাড়িলায় দৌড়ানি দিছে
: টের পাইল কেম্নে
: হঠাৎ যে ঢোল বাইজা উঠল
: আগেই কইছিলাম মামা, এত শুটকি খাইস না
পরদিন বাড়িলারে বুঝায়া কইলাম স্লিপ ওয়াকিং এর মত হলুর স্লিপ শিটিং এর রোগ আছে। যাই হোক বাড়িলা এট্টু ওয়াজ শুনায়া গেল, সাথে লুঙ্গি খানও ফিরায়া দিল । এত কিছু অইল কিন্তু হলুর তাতে কি হলু তো হলুই। দিস ইজ দ্য হলু এফেক্ট
বিদ্রঃ আমি রম্য লিখতে পারি না। তাও টেরাই মার্লাম।
ভাল না লাগলে জানায়েন, ভাল্লাগলেও জানায়েন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।