আজকাল মশার কয়েল দিয়ে যেমন মশা মরে না ঠিক তেমনি আমার ব্লগিং দিয়ে এই দেশের কোনো উপকার হবে না :D
আমার ক্রিকেট খেলা দেখা শুরু সেই ১৯৯৯ এর বিশ্বকাপ থেকে, তবে তখন অত-শত বুজতাম না। ২০০৩ এর পর থেকে মোটামুটি বুজা শুরু করেছি। তখন খেলা দেখতাম আর নিজেকে আর দশ জন বাঙ্গালী কিশোরের মতো আগামির বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম এর অপরিহার্য ভাবা শুরু করলাম। কিন্তু অচিরেই আমার স্বপ্ন ভঙ্গ হল। তবে তখন থেকে পণ করেছি, বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য সদস্য যখন হতে পারলাম না টিক আছে কিন্তু সমর্থক থেকে আমাকে কেও সরাতে পারবে না।
খেলা দেখার সময় আমার সঙ্গি হত আমার বাবা। যেদিন বাংলাদেশের খেলা থাকতো সেদিন নাওয়া- খাওয়া ভুলে বাপ-বেটা দুই জনে মিলে টিভির সামনে বসে যেতাম।
আমাদের এই আদিখ্যেতা দেখে আমার মা বলত, বাংলাদেশ জিতলে তোমাদের কি লাভ। বলে রাখা ভাল আমার মায়ের ক্রিকেট জ্ঞান আর দশজন বাঙ্গালী মায়ের মতো। তারা সংসারের জটিল সব হিসেব বুজলেও ক্রিকেট টা তারা বুজেই না।
তো আমি আর বাবা যখন মায়ের সে প্রশ্নর মুখমুখি হতাম তখন আমরা মায়ের প্রশ্নর উত্তর দিতাম না। কারন, তাকে ১০০০ বার বললেও সে তার বিশ্বাস নিয়েই অটল।
মায়ের প্রশ্নর উত্তর সম্পর্কে আজ বলছি, মা মানলাম তোমার কথা যে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল জিতলে আমাদের বাহ্যিক কোন উন্নতি হয় না টিকই কিন্তু মা সব চেয়ে বড় যে লাভটা হয় তাহলো, তোমার এই চিরহতাশ ছেলেটার মধ্যে একটা বিশ্বাস জন্মছে, 'আরে আমিও তো পারি'। ৫ ফুট এর মুসফিক যদি ৬.৫ ফুট উচ্ছতার গেইলকে হারাতে পারে , তাহলে আমি কেন কটা সামান্য বেতনের চাকরি যোগাড় করতে পারবো না?
সবচেয়ে বড় যে পাওয়াটা হয় তাহলো বাংলাদেশ দল যেদিন জিতে তার পরের দিন সকালটা সমস্ত বাঙ্গালী এই বিশ্বাস বুকে নিয়ে ঘর থেকে বের হয় 'ক্রিকেটাররা পেরেছে তাহলে আমি কেন পারবো না' । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।