মরা লাশ, বর্তমানে দেশ ভয়াবহ সংকটের দিকে এগিয়ে চলেছে উল্লেখ করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা সবাই চাই। কিন্তু বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের নামে যে প্রহসনের বিচার করছে আমরা তা চাই না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তান সরকারের চাকরি করেছেন আজ তিনি বড় বড় কথা বলেন । তাকে দেশের বন্ধু বলা যায় না। বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চেয়ে বেশি ব্যর্থ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গত রোববার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নাগরিক উদ্যোগ আয়োজিত সমকালীন রাজনীতির প্রেক্ষাপট শীর্ষক ‘মিট দ্য প্রেস' অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এডভোকেট রায়হান মোর্শেদের সঞ্চালনে এবং সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী মঞ্জুর হোসেন ঈসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম মল্লিক প্রমুখ। পুলিশকে ইঙ্গিত করে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ বলেন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। কোনো দলীয় কর্মীর মত আচরণ করবেন না। যেভাবে আপনাদের মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হচ্ছে তাতে গোটা দেশ আতঙ্কিত।
কাদের সিদ্দিকী বলেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ছিলেন। তিনি হানাদার বাহিনীকে সাহায্য করেছেন।
হাসানুল হক ইনুর সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, সিপাহী আন্দোলনের সময় ট্যাঙ্কের ওপরে দাঁড়িয়ে আনন্দে নেচেছে, তাকে আজ তথ্যমন্ত্রী বানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তো দেশের মালিক নন।
তিনি দেশের সেবক। তাই তিনি যা ইচ্ছা, তাই করতে পারেন না।
জামায়াত-শিবিরের তান্ডব সরকারের অপকৌশল বলে মনে করে তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা সরকারের অপকৌশল হতে পারে। কারণ যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের অনেকে ছাত্রলীগের সদস্য।
ছাত্রলীগ-যুবলীগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে নয় উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে পুলিশ-র্যা বসহ প্রশাসন রয়েছে।
এ ধরনের ঘটনা তারা সামাল দেবে। কিন্তু ছাত্রলীগ-যুবলীগকে এভাবে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার অধিকার তার নেই। আইনের বাইরে পুলিশকে যদি দলীয় গুন্ডা হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে দেশের জনগণ কখনোই তা মেনে নেবে না।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে সরকার দীর্ঘসূত্রিতা করছে। সকলকে গ্রেফতার না করে মাত্র আট দশজনকে গ্রেফতার করে তাদের বিচারকার্য সম্পন্ন করার পাঁয়তারা করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শরিয়া আইন বিচারের কথা বলে মুক্তিযুদ্ধের শপথ ও সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। এ কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি শাড়ি-চুড়ি পরে থাকলেও আমরা কিন্তু শাড়ি-চুড়ি পরে থাকি না। আমরা দেশকে শঙ্কামুক্ত করার জন্য আবারো নতুন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারি। তিনি বলেন, আপনাদেরকে কেউ মালিকানা দেয়নি আপনারা নিজেরাই মালিক সেজে বসে আছেন।
জনগণই দেশের আসল মালিক। তাদের সাথে কেউ তামাশা করলে আগামী নির্বাচনে চরম খেসারত দিতে হবে।
এসময় তিনি বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের ধস এবং আশুলিয়া গার্মেন্টসে আগুনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।