আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Safe Haven Currency

ভালোবাসি স্বপ্ন দেখতে ইংরেজি "haven" শব্দটার বাংলা অর্থ হচ্ছে আশ্রয়স্থল। তার মানে "safe haven" শব্দটার অর্থ দাড়ায় "নিরাপদ আশ্রয়স্থল" হটাত করে নিরাপদ আশ্রয়স্থল খোঁজার দরকার পড়ল কেনো? কারন, আমার লেখার বিষয় বস্তুই হচ্ছে "safe haven currency" তার মানে, "নিরাপদ আশ্রয়স্থল মুদ্রা"? নাহ, বাংলা নামটা মোটেই মানাচ্ছে না। তার থেকে বরং চলুন ইংরাজি নামটাই ব্যবহার করা যাক, "সেফ হেভেন কারেন্সি" তো জানা যাক, এই "সেফ হেভেন কারেন্সি" কি জিনিস এবং কিই বা তার ব্যবহার। নামেই সার্থকতা, "সেফ হেভেন কারেন্সি" হচ্ছে ফরেক্স ট্রেডারদের বিপদের আশ্রয়স্থল। এটি এমন একটি মুদ্রা যেটাকে ফরেক্স ট্রেডাররা আর যেকোনো মুদ্রা থেকে বেশী বিশ্বাস করে।

আর তাই যখনই, ফরেক্স মার্কেটে অনিশ্চয়তা দেখা দেয় বা বৈশ্বিক অর্থনীতি অস্থির হয়ে পড়ে, তখনই ট্রেডাররা সেফ হেভেন কারেন্সি এর দিকে ঝুঁকে পড়ে এবং কিনতে শুরু করে। "সেফ হেভেন কারেন্সি" কোনগুলো? ডলার, ইয়েন এবং সুইস ফ্রাঙ্ক, মুলত এই তিনটি মুদ্রাকেই সেফ হাভেন কারেন্সি হিসেবে ধরা হয়। এর বাইরে স্বর্ণও "সেফ হেভেন" হিসাবে বহুল ব্যবহৃত হয়। অনেকের কাছে পাউন্ড ও অস্ট্রেলিয়ান ডলার ও সেফ হেভেন। কিন্তু, তা সর্বজনগ্রাহ্য নয়।

কেনো "সেফ হেভেন"? একটি প্রশ্ন মনে আসা স্বাভাবিক। তা হচ্ছে কেনো এই মুদ্রাগুলোকে এতটা নিরাপদ ভাবা হয়। এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারন রয়েছে। প্রথমত, ডলার, ইয়েন এবং সুইস ফ্রাঙ্ক, এগুলো কোন দেশের মুদ্রা? যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং সুইজারল্যান্ড। তিনটি দেশেরই অর্থনীতি অত্যন্ত শক্তিশালী, তার থেকেও বড় কথা দেশগুলোর অর্থনীতি দীর্ঘসময় ধরে স্থিতিশীল।

ইউরোপের দিকে তাকান, ঋণ ভারে জর্জরিত এর বিভিন্ন সদস্য দেশ। তাই সঙ্গত কারনেই, বিনিয়োগকারীরা সংকটের সময় তাদের মূলধনের পূরোটা এসব দেশে রাখতে সাহস পান না। বরং, সেক্ষেত্রে তারা একটি নিরাপদ মুদ্রাকেই আশ্রয়স্থল হিসাবে খোঁজেন। দ্বিতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সুইজারল্যান্ড, এই দেশগুলোর অর্থনীতি অত্যন্ত শক্তিশালী বলে, বৈশ্বিক সংকতের সময় তা খুব বেশী আক্রান্ত হয় না। যেমন, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি চীনের অর্থনীতি বিশ্ব অর্থনীতির উপর বহুলাংশে নির্ভরশীল যেহেতু, চীনের অর্থনীতি এর রপ্তানি বাণিজ্যের উপর নির্ভরশীল।

বিশ্ব অর্থনীতি শ্লথ হয়ে এলে, চীনের অর্থনীতিতে তার বড় ধরনের প্রভাব পড়ে যেটা যুক্তরাষ্ট্র অথবা জাপানের ক্ষেত্রে ঘটে না যেহেতু এসব দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী। সংকট সময়ে, সেফ হেভেন কারেন্সিগুলোর দিকে ট্রেডারদের ঝুঁকে পড়ার এটা অন্যতম কারন। তবে, সেফ হেভেন কারেন্সিগুলোর একটা সমস্যা আছে। যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে বার্ষিক সুদের হার ০.২৫ শতাংশ, জাপানে ০.১০ শতাংশ এবং সুইজারল্যান্ডে একেবারেই শূন্য। আর সে কারনে অর্থনীতির অবস্থা ভালো হতে শুরু করলেই, সেফ হাভেন "লো ইয়েল্ডিং কারেন্সি" থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে ট্রেডাররা ছোটে তুলনামূলক ঝুঁকিপূর্ণ "হাই ইয়েল্ডিং কারেন্সি" এর প্রতি।

"হাই ইয়েল্ডিং কারেন্সি" কি? এই নিয়ে আলোচনা করব পরের পোস্টে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।