আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুঠোফোন-কন্যার অসতর্কতা!!

চৌধুরী সাহেবের মতামত দেখে কারো ভীমরতি হলে সেটা সম্পূর্ণ কাকতালীয়..... আজকের একটি ঘটনা - দুপুর সোয়া দুইটার মতো বাজে। ক্লাস করে বাসায় ফিরছি। রূপসী বাংলার সামনে সিগনালে বসে আছে শত শত গাড়ি। যথাসময় সিগনাল ছাড়ল, তার সাথে সাথে সাঁ সাঁ করে ছুটল সবাই। স্বাভাবিক ভাবেই সিগনাল ছাড়ার পরে সব গাড়ির স্পিড বেশি থাকে।

হঠাৎ চোঁখে পড়ল এক কন্যাকে যিনি কানে ইয়ার ফোন লাগিয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হচ্ছেন। ২য় লেন ক্রস করে ১ম লেনে আসলেন মুঠোফোন-কন্যা। ড্রাইভার প্রচুর হর্ণ দিলেও উনি শুনতে পারলেন না অথবা ভ্রুক্ষেপ করলেন না!! সাথে সাথে গাড়িতে ব্রেক চাপা হলো। প্রচন্ড শব্দ তুলে থেমে গেলো গাড়ির চাকা প্রায়এক-দেঁড় আঙুল গ্যাপ। আশ্চর্যের ব্যাপার ছিল মুঠোফোন-কন্যা এর পরেও খেয়াল করেননি, নির্বিকারভঙ্গিতে মুঠোফোনে কথা বলছেন আর হাঁটছেন।

জায়গাটা ছিল ফুটওভার ব্রিজের সামান্য সামনে!!! আমি তখন চিন্তা করলাম যা যা ঘটতে পারতো - সামান্য একটু হেরফের হলে মুঠোফোন-কন্যার অঙ্গহানি নিশ্চিত ছিল, প্রাণহানিও হতে পারতো!! পেছনে ছিল বাস আর আমি বসছিলাম পেছনে, বাস ব্রেক না করলে খুব সম্ভবত আমিও চ্যাপ্টা হতাম। কিছু কথা উল্লেখ্য - ১) আমি একবারও মহিলা বলিনি। উনি ছিলেন সম্ভবত ১৮-১৯ বছরের কাছাকাছি। ২) ১ম লেনে ছিল আমাদের প্রাইভেট কার, আমি ছিলাম পিছনের সিটে। আমাদের প্রাইভেট কারের পিছনে ছিল বাস।

৩) আমি আমাদের প্রাইভেট কারের ড্রাইভারের এবং পিছনের বাস ড্রাইভারের কাছে কৃতজ্ঞ, উনারা যথাসময়ে ব্রেক করেছেন। ৪) ফুটওভার ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও কিছু মানুষ তা পরিহার করে কেন??? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।