আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মা-বাবার খোঁজে ৩৫ বছর পর দেশে হল্যান্ডের নাগরিক ইমাম, আর মাকে শাস্তি দিতে সুইজারল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে আরেক সন্তান

মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। ক্রিস ইমাম, হতভাগ্য যুবকের জন্ম বাংলাদেশের কোনো এক খুপরি ঘরে। জন্মের চার সপ্তাহের মাথায় বাবা তাকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন হল্যান্ড প্রবাসী দম্পতির কাছে। সেই থেকে বাংলাদেশের নবজাতক ইমাম মিয়া হয়ে গেছেন ক্রিস ইমাম হুরমান। ১৯৭৭ সালের ১০ মে জন্ম নেওয়া ক্রিস দীর্ঘ ৩৫ বছর পর জানতে পেরেছেন বাংলাদেশের নৌকার মাঝি ইমাম মিয়া তার বাবা।

মায়ের নাম জানা নেই। যেমনটি জানেন না তার অপর ভাইবোনদের সম্পর্কেও। ক্রিস ইমামের পাসপোর্ট আর সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, তার আসল বাবা নাসির মিয়া নৌকার মাঝি ছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনায় তার এক পা ক্ষতিগ্রস্ত হলে অপর পায়ে ভর দিয়েই রাজধানীর বসিলা, হাজারীবাগ, মনেশ্বর রোড, মহাম্মদপুরসহ আশপাশের গুদারাঘাটে পারাপার করতেন। তবে ক্রিস ইমামের পাসপোর্টে তার শিশুকালের ঠিকানা রয়েছে মনেশ্বর রোড, মহাম্মদপুর।

ক্রিসের বাবা নাসির মাঝির গ্রামের বাড়ি কোথায় ছিল তা জানা যায়নি। ক্রিস ইমাম আরও জানিয়েছেন, তার পালক পিতা হল্যান্ডের উইলিয়াম হুরমান ও মা ক্যাটরিনা হুরমান কিছুদিন আগে তাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। হুরমান দম্পতিও চান, ইমাম তার মা-বাবাকে খুঁজে পান। উইলিয়ামের কাছ থেকে ইমাম মিয়া জেনেছেন, নাসির মাঝি যখন দুর্ঘটনার শিকার হন তখন তার সংসারে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। তার অপর দুটি ছেলে-মেয়েকে ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নাসিরের পক্ষে একেবারেই ছিল না তখন।

স্থানীয় বেবি হোমের মাধ্যমে হুরমান দম্পতি তখন খোঁজ পান নাসির মাঝির। কিছু টাকার বিনিময়ে তখন ছয় সপ্তাহের শিশু ইমাম মিয়াকে বিক্রি করা হয়। ক্রিস ইমাম তার বাবা সম্পর্কে এও বলেছেন, তার বাবার গ্রামের বাড়ি সম্ভবত ঢাকার বাইরের কোনো জেলায়। অভাবের তাড়নায় মূলত ঢাকায় এসেছিলেন নাসির মাঝি। থাকতেন রাজধানীর তৎকালীন মহাম্মদপুর থানার মনেশ্বর রোড এলাকায়।

আর জন্মের ছয় সপ্তাহের মাথায় বিক্রি হওয়া ইমাম মিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় হুরমানের নিজের বাড়ি হল্যান্ডের জুটেমিয়ার শহরে। সেখানেই ক্রমে ক্রমে বড় হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের নাসির মাঝির ছেলে ক্রিস ইমাম নামে। অত্যন্ত মেধাবী ক্রিস ইমাম অর্থনীতিতে পিএইচডি শেষ, লন্ডনের একটি ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। ক্রিস ইমামের সঙ্গে তার বন্ধু আনিতাও এসেছে বাংলাদেশে। ইমাম বলেন, বাংলাদেশে আমার জন্ম, তাই মণেপ্রাণে আমি একজন বাঙালি।

আর দেশে এসেছি মায়ের খোঁজে। পাঠক, বাংলাদেশের সব মানুষের কাছে ক্রিস ইমামের আবেদন, কেউ যদি তার মা-বাবা কিংবা ভাইবোনদের খোঁজ পান তাহলে অবশ্যই যোগাযোগ করবেন এসব টেলিফোন নম্বরে। ০১৭২৬১৮৮৬১৫ (জি আর চৌধুরী, ০১৭৭২৯৪৭১৩১ (ইসা), ০১৭১৬ ৩০৮৪৯৪ (বাবু), ০১৭১৪৭৪৯ ৮২৯ (আফজাল)। এই ছিল ইমামের কাহিনী। View this link আরেক হতভাগা সেই সূদুর সুইজারল্যান্ডের থেকে বাংলাদেশে এসেছে তার মাকে শাস্তি দিতে।

তার পৈতৃক সম্পত্তিতে মা কেন থাকে, বোন কেন বাবার অংশ নেবে; তাদের শায়েস্তা করার জন্য ব্ড় ভাই, মেঝ ভাই, সেজো ভাই একজোট হয়ে দেশে আসছে এই কুলাংগার। সুইজারল্যান্ডে যিনি নাকি "অতি ভদ্রলোক" বলে পরিচিত। সুইজারল্যান্ডের-মন্হেবাসীরা একে চিনে রাখুন। যিনি নাকি নিজের মায়ের বিচার করতে পারেন, ঘর থেকে বের থেকে বের করার হুমকি দেন; তাকে সামাজিক ভাবে বয়কট করেন।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।