কওমী-দেওবন্দিদের অসংখ্য কুফরী বিশ্বাস রয়েছে। পর্যাক্রমে তা আপনাদের সকলের অবগতির জন্য তুলে ধরার চেস্টা করবো। যেন আপনারা সহজেই বুঝতে পারেন যে, হিন্দুদের গোলামী করার দরুন ভারতের দেওবন্দী মোল্লাদের কতটা করুন দশা হয়েছে, যা তাদের বিভ্রান্তিকর গোমরাহী মূলক বক্তব্যেই প্রমাণীত হয়েছে। যা কোন মুসলমান এ ধরনের কথা কোন দিনও মুখে আনতে পারে না। কুফরী বক্তব্যগুলো হলো-
* আলিয়া মাদরাসা- খালিয়া ও বেশ্যাখানা।
নাউযুবিল্লাহ! (কওমীপন্থী চর্মনাইয়ের পীরের ওয়াজের ক্যাসেট)
* আমি রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখলাম তিনি পুলসিরাত থেকে পড়ে যাচ্ছেন। আমি তখন উনাকে ধরে পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করলাম। নাউযুবিল্লাহ! (মুবাশশিরাত, বুলুগাতুল হায়রান পরিশিষ্ট)
* মহান আল্লাহ পাক তিনি মিথ্যা বলতে পারেন। নাউযুবিল্লাহ! (বারহীনে ক্বাতিয়াহ পৃষ্ঠা ২, ফতওয়ায়ে রশীদিয়া ১ম খ- পৃষ্ঠা ৪৫)
* চুরি, চোগলখোরী, মূর্খতা, যুলুম ইত্যাদি বান্দা যা করতে পারে আল্লাহ পাক তিনিও তা করতে পারেন। নাউযুবিল্লাহ! (তাযকেরাতুল খলীল পৃষ্ঠা ১৩৫)
* নবীজী বড় ভাইয়ের মতো।
নাউযুবিল্লাহ! (আক্বায়িদে দেওবন্দ) * কাক খাওয়া জায়িয। নাউযুবিল্লাহ! (ফতওয়ায়ে রশীদিয়া ২য় খ- ১৪৫ পৃষ্ঠা) (অথচ কাক খাওয়া সম্পূর্ণ হারাম)
* পূজার প্রসাদ খাওয়া যাবে কিন্তু মীলাদ ও মুহররমের তাবারুক খাওয়া শিরক। নাউযুবিল্লাহ! (রশীদিয়া পৃষ্ঠা ১০৭)
* হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদের দেওবন্দ মাদরাসায় উর্দু শিক্ষা লাভ করেছেন। নাউযুবিল্লাহ! (বারহীনে কাতিয়াহ পৃষ্ঠা ২৬)
* গাইবের ক্ষেত্রে নবী, ওলী, জিন, শয়তান, ভূত, পরী, গরু, গাধা, চতুষ্পদ জন্তু জানোয়ারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। নাউযুবিল্লাহ! (হিফজুল ঈমান পৃষ্ঠা ১৬) (অথচ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “আসমান-যমীনের সমন্ত ইলম আমাকে হাদিয়া করা হয়েছে।
” (মিশকাত শরীফ পৃষ্ঠা ৭০, মিরকাত শরীফসহ প্রায় ৩০টি হাদীছ শরীফ-এর কিতাব)
* সকল নবী-রসূলগণ মিথ্যা ও গুনাহ হতে পবিত্র ও ভুলমুক্ত নন। নাউযুবিল্লাহ! (হিফজুল ঈমান পৃষ্ঠা ২৮, ফতওয়ায়ে রশীদিয়া ২য় খ- পৃষ্ঠা ১১) (অথচ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনারা সকল গুনাহ হতে মাসুম নিষ্পাপ। ” নাউযুবিল্লাহ! (বুখারী, মুসলিম শরীফসহ ৩০টির বেশি কিতাব)
* মীলাদ ক্বিয়াম করা শিরক। নাউযুবিল্লাহ! * শবে বরাত পালন করা বিদয়াত। নাউযুবিল্লাহ! * ফরয নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত করা বিদয়াত।
নাউযুবিল্লাহ! * জানাযার নামায পর দোয়া করা বিদয়াত। নাউযুবিল্লাহ!
* ঈদে মীলাদুন নবী পালন করা শিরক। নাউযুবিল্লাহ! * নবীজী কাউকে নাজাত দেয়ার ক্ষমতা রাখেন না। নাউযুবিল্লাহ! (দেওবন্দীদের কিতাব ও মাসিক পত্রিকাসমূহ)
সম্মানিত পাঠক! উপরোক্ত কুফরী আক্বীদাসমূহের একটি আক্বীদাও যদি কেউ পোষণ করে তবে সে কি ঈমানদার থাকতে পারবে? কস্মিনকালেও নয়। এ ধরনের আরও বহু কুফরী আক্বীদা তাদের কওমী মাদরাসায় শিক্ষা দেয়া হয়।
(চলবে)
প্রথম পর্ব পরুন এখান থেকে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।