আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নীল নীলিমা

আমি আঁধারে তামাসায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে। নির্জন ভাষ্য -------------------------------------------------------------------- শ্রমিকেরা কাজ শেষে শ্রমের বিনিময়ে মজুরী পায় অতি স্বল্প; তবু তাদের জীবনে শ্রমের নেই কোন বিকল্প। আবদ্ধ গৃহ কোনে বসে কবিতা লিখেছে যে কবি; দেখেনি সে কভু অজস্র অশ্রু রবি। এই চোখ জানে শুধু কাঁদতে, এই ঠোঁট জানে শুধু হাঁসতে। ভালোনাবেসেই যদি ভালোবাসা যেত; তবে আমায় সে ঢেড় ভালোবাসত।

তিন আর তিন মিলে ছয় না হয়ে যদি হতো চার; তবে দেখতাম হিসাব করে পৃথিবীটা কটটুকু হয়েছে আমার। ০১/০৯/১৯৯৯ নাজুক লজ্জ্যাবতী -------------------------------------------------------------------- বাহিরে এসিড দগ্ধ আরো কিছু নাজুক লজ্জ্যাবতী, রূপ আর রূপবতী অহংকার ভুলে ছুটে আসে ময়দানে, যুদ্ধের বিভীষিকায় মেতে; অসভ্য নষ্ট শেকড়ের সন্ধানে প্রতিবাদী বেজাতের বেশে কামান চালিয়ে, জিঘাংসার উন্মাদনায় কেঁপে; ছুটে আসে তারা রক্তফেনা সিক্ত মুখে বিজয়ী বেজাতের বেশে; তারা নাজুক লজ্জ্যাবতী। ২৬/০২/২০০০ মদন -------------------------------------------------------------------- টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া; মদন এখন দেউলিয়া, করতে যেত সে প্রেমলীলা। মদন এখন করে ব্যাবসা, ফার্মগেট ওভার ব্রিজের উপর বইসা, খালি – “বিশ, একশ বিশ” একদিন দেখা সখিনার সাথে, বিয়ে হয়েছে তার এক দালালের সাথে। মনে পরে আজ মধুর ক্যান্টিন, মদনের এখন বড়ই দুঃখের দিন।

মদনকে সে দিয়েছে কিনে লটারি টিকেট, “যদি লাইগ্যা যায়” তারপর......... মদনের এখন অনেক টাকা, পিছে ঘুরে কত সখিনার বাবা; মদনের প্রিয়ার নাম কাননবালা। ২৫/১১/১৯৯৮ বয়স বন্দনা -------------------------------------------------------------------- জগৎ জুড়ে একই রীতি; কেউবা দুঃখী, কেউবা সুখী। মন যা চায়, করতে না পায়, স্বাধীনভাবে চলতে না পায়। না পারে সইতে, না পারে কইতে, কেউ চায়না মনের ব্যাথাটা বুঝতে। শিকলে বাঁধা কুকুর যেমন; জীবন তখন পরাধীন তেমন।

বয়সটা যখন তের হতে উনিশ; এটাই ভীতি , এটাই রীতি। পারেনা যেতে গণ্ডীর বাইরে; হোক সে ভালো, হোক সে মন্দ। ভুল কর সামান্য যতই, হবে তুমি রাম ধোলাই। ভাঙ্গতে হবে এই রীতি, নয়ত মরুক সকল জাতি। ০৫/১২/১৯৯৮ আমার নির্জনতা -------------------------------------------------------------------- আমায় এনে দাও লাল গোলাপের একটি ফুল, আমি সেই ফুল দিয়ে, আমার শূন্য ফুলদানীটি সাজাবো।

তুমি আনলে লাল গোলাপের একটি বাগান; আমি সেই বাগান দিয়ে, আমার শূন্য ফুলদানীটি সাঁজাতে পারিনাই। আমার শূন্য ফুলদানীটি, শূন্যই রয়ে যায়। আমায় এনে দাও এক ফোঁটা জল; আমি সেই জল দিয়ে, আমার তৃষ্ণা মেটাবো। তুমি আনলে এক মহাসমুদ্র; আমি সেই মহাসমুদ্রের জল দিয়ে, আমার তৃষ্ণা মেটাতে পারিনাই। আমার তৃষ্ণা, তৃষ্ণাই রয়ে যায়।

আমি রয়ে যাই আমার নির্জনতায়। ০৮/০৯/১৯৯৯ আদুরে ----------------------------------------------------------------------- কতশত পোকাদের গিলছে জীবিত; ওই হিমোগ্লোবিন হীন টিকটিকিটি; জেনেছে তার সবই বাড়ির শিশুটি। পিতা – মাতার সংসার কেন্দ্রিক আলাপের ফাঁকে হামাগুড়ি দিয়ে শিশুটি ছোটে ওই টিকটিকিটির পেছনে; হঠাৎ তেলাপোকার তাড়নে ফিরে এসে, মায়ের কোলে – একটু কাঁদে আলতো আদর পেয়ে শিশুটি। ০২/০৪/২০০০ নির্জন যুদ্ধে মত্য জীবন ----------------------------------------------------------------------- মিথ্যের মৃত্তিকায় স্বপ্নের ছবি আঁকা। বন্ধু হীনা জীবন একা।

বন্ধুর সাথে বন্ধুর বিরোধ, জীবনের সাথে জীবনের বিরোধ। এভাবে – এভাবে চলছে জীবন, নির্জন যুদ্ধে মত্য জীবন, হারিয়ে জেতেছি বার - বার; কষ্ট নিয়ে খেলা চলছে আমার। ০৬/১০/১৯৯৯  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।