স্বাধীনতা প্রিয় ১ জন মানুষ। শুধুই স্বাধীনতা চাই। https://www.facebook.com/md.z.bablu সারাজীবন ডানপিঠে ছিলাম। এর মজা যেমন পাইসি,তেমন অনেক কিছু বুঝতে শিখসি কষ্ট পেয়ে।
ক্লাশ এইট নাইন এর দিকের কথা।
তখনো শীতকাল। সন্ধ্যায় ব্যাটমিন্টন খেলতে বের হতাম,আসতাম রাত ১-২ টায়। প্রতিদিন গালি খাওয়াটা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ হয়ে গিয়েছিল। আব্বু প্রায়ই বলত দেরি করলে আর বাসায় আসিস না। একদিন মাথা এত বেশি খারাপ হয়ে গেসিল বাসায় আর যাই নাই।
৩টা বেজে গিয়াছিল তাও কল দেয় না বাসা থেকে। আব্বুও জিদ ধরেছিল ঢাকবে না। আম্মু না পারছে ঢাকতে,না পারছে কাঁদতে। এইদিকে আমি লজ্জায় বন্ধুর বাসায় ও থাকতে পারছিলাম না। পাড়ায় একটা কোচিং সেন্টার এর রুম ছিল এক বড় ভাই এর।
শেষ পর্যন্ত পাড়ার বড় ভাই থেকে কোচিং সেন্টার এর চাবি নিয়ে ফজর এর নামায পর্যন্ত বসে ছিলাম কোচিং এর ভিতরে। ফযরের পর আর শীত সহ্য করতে না পেরে বাসায় চলে গিয়েছিলাম। আমার আম্মু দেখি তখনো ঘুমায় নায়।
এই কথা বলার কারন হল...ঐ দিন আমি বুজছিলাম শীত কি জিনিস। গায়ে সুয়েটার থাকার পরও এমনভাবে কেঁপেছিলাম যেন মনে হচ্ছিল আমার সারা গায়ে কেউ সুঁচ বিঁধছে।
আমি বুঝতে শিখলাম শীত এ খোলা জায়গায় থাকা একটা মানুষ কি পরিমান কষ্ট পায়। সেইদিন থেকে আমার ইচ্ছা ছিল শীতার্ত মানুষের জন্য কিছু একটা করব। কিন্তু এখন পর্যন্ত আল্লাহ সেই তৌফিক দান করেন নাই।
আজকাল কার ছেলেমেয়ের থেকে ফেলনা কাপড়ের অভাব হয় না। আপনার কাছে যেটা হাতের খেলা সেটা অনেকের কাছে মরনের আশ্রয় হতে পারে।
তাই নতুন কাপড় দিতে না পারেন সবাই অন্তত ২টা করে কাপড় শীতার্ত মানুষকে দেওয়ার চেষ্টা করেন। যে যেইদিকে পাড়েন দেন। খুঁজলে স্বেচ্ছাসেবীদের খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে না। অন্তত ২টা কাপড় দেয়ার সামর্থ্য আছে এমন মানুষের অর্ধেক ও যদি তাদের দায়িত্ব পালন করে,আমার মনে হয় না বাংলাদেশে কোনো মানুষ শীত এ কষ্ট পাবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।