চাচা আপন প্রাণ বাঁচা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে এবার ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে করেছে। খুব ভাল উদ্যোগ। তাদেরকে লাল সেলাম। ভন্ডামীর একটা সীমা থাকা দরকার।
তারা নিয়ম করেছ অনলাইনে ফরম পূরণ করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে ঈপ্সিত কলেজে গিয়ে ২৭০ টাকা সমেত জমা দিয়ে আসতে হবে।
হায়রে! বাঙাল।
এর নামই বুঝি ডিজিটাল!!
যদি অনলাইনেই আবেদন পূরণ করতে হবে তখন পুনরায় আবার নির্দিষ্ট কলেজে গিয়ে টাকাসহ আবেদনপত্রের প্রিন্টকপি জমা দেওয়ার মানে কী?
ধরা যাক, গ্রাম থেকে একটা ছেলে ঢাকা কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছে। বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী ঐ ছেলেটিকে প্রিন্টকপি নিয়ে ঠিকই ঢাকায় আসতে হচ্ছে। তাহলে বিষয়টা দাঁড়াল কী? সময়-অর্থ-শ্রম অনলাইনে ও জমা দিতে উভয় ক্ষেত্রেই গেল।
গতকাল থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার জন্য কত রকম কসরতই না করলাম। কিছুতেই কিছু হল না। আগামীকাল ২৫ নভেম্বর আবার আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ। অথচ কাল পবিত্র আশুরা। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এদিন বন্ধ।
আগামীকাল কীভাবে ভর্তীচ্ছুরা আবেদনপত্র নির্দিষ্ট কলেজে গিয়ে দেবে।
হাউ? আমরা সকলে কাউ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাদের আবেদনপত্র গ্রহণের শেষ সময় ২৫ তারিখ করার আগে আরও ভাবা উচিত ছিল।
অ:ট: গ্রাম থেকে আমার এক দূরসম্পর্কের ভাগনে এসেছে। তার আশা মামার বাসায় ব্রডব্যান্ড কানেকশনে কাজ হবেই হবে।
কিন্তু সে আশা গুঁড়েবালি।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে লজ্জিত মুখে ভাগনেকে পাঠিয়ে ছিলাম নীলক্ষেত। হায়রে কপাল! সেখানেও ব্যর্থ। এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জানি না-হবে কী না।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাদের জাতীয় গদাম দেয়ার বিকল্প নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।