মানুষ পানির পর পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পান করে যে পানীয়,তা হলো চা।
চা-স্পৃহা চঞ্চল হলে চাতকের মতো চা পানের জন্য উদগ্রীব হন অনেকে। চা পান না করা পর্যন্ত যেন শরীর ও মন দুটোরই তৃষ্ণা মেটে না।
চা যে হিতকরী পানীয়,তা এখন অনেকেই জেনেছেন। চায়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট,ভিটামিন ও অন্যান্য যৌগ।
গবেষণায় দেখা গেছে,চা পান করলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার হয়, এমনকি কোষের ক্ষতি,জরা অনেকটাই হ্রাস পায়।
কোনো কোনো গবেষক বলেন,দাঁতে ক্ষয়,গহ্বর তৈরি হওয়া অনেকটা বাধা পায় চা পানে,রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য হয়। সম্ভবত এর হূদহিতকরী গুণও রয়েছে। চায়ের মধ্যে রয়েছে যে পলিফেনোল (ফ্লাভোনলস ও ক্যাটেচিনস) এদের রয়েছে হূৎসুরক্ষা গুণাগুণ।
অনেক দেশে দুধ-চা পান করে মানুষ,আমাদের দেশেও চায়ের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে পান করেন বেশির ভাগ লোক।
কিন্তু ইদানীং গবেষকেরা দেখছেন,চায়ের মধ্যে দুধ মেশালে চায়ের অনেক হিতকরী গুণ আর থাকে না। ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নাল-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধে গবেষকেরা দেখিয়েছেন,১৬ জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক লোক পান করলেন ব্ল্যাক টি (শুধু চা),কেউ পান করলেন চায়ের সঙ্গে স্কিম মিল্ক মিশিয়ে,কেউ পান করলেন শুধু গরম জল। এরপর বিজ্ঞানীরা রক্তনালির কার্যকলাপের ওপর এদের প্রভাব লক্ষ করলেন।
পানির সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেল,ব্ল্যাক টি (শুধু চা,যাকে আমরা র টি বলি) পানে ধমনির কার্যকলাপ বেশ উন্নত হলো।
তবে দুধ-চা পান করলে চায়ের হিতকরী প্রভাব পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেল।
ইঁদুরজাতীয় প্রাণীতে তেমন পরীক্ষা চালিয়েও একই ফলাফল পাওয়া গেল। তাঁদের ধারণা,দুধের প্রোটিন চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সঙ্গে মিশ্রিত হওয়ায় চায়ের গুণ নষ্ট হয়ে যায়।
গবেষকেরা বলেন,দুধ রক্তনালির কার্যকলাপের ওপর চায়ের স্বাস্থ্য হিতকরী গুণের বিরুদ্ধাচরণ করে।
বিষয়টি কেবল দুধ ও দুধজাত দ্রব্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ?তা নয়,সয়া দুধের প্রোটিনও একইভাবে চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ওপর বিরুদ্ধ প্রভাব ফেলে।
তাই দুধে চা মেশালে চায়ের গুণ নষ্ট হয়ে যায়।
দুধ-চা পান না করে কেবল র টি (রং চা) পান করুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।