হায় জ্বিন, সোনালী ডানার জ্বিন,এই ভিজে মেঘের দুপুরে তুমি আর কেঁদোনাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে আসিফ মহিউদ্দীনের উপর সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনলাইন হামলার কারন অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ছয় জন সিনিয়ার ব্লগার ও চার জন সহযোগী ব্লগারের সমন্বয়ে গঠির তদন্ত কমিটি আসিফ মহিউদ্দীনের উপর অব্যহত ডিজিটাল হামলা, অপপ্রচারের কারন তদন্ত করেছেন। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য ও ঊপাত্ত। তদন্তকারীরা কীভাবে একজন মানুষ থেকে আসিফ মহিউদ্দীন হয়ে উঠেছেন এবং কারা কেন তার উপর অনলাইনে ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অব্যহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তা খতিয়ে দেখেছেন। কীভাবে আন্তর্জাতিক গোয়ান্দা সংস্থাগুলো এর পিছনে গোপনে কাজ করেছে তাও রিপোর্টে বেরিয়ে এসেছে।
রিপোর্টের চুম্বক অংশ ও বিভিন্ন লেখকের সংশ্লিষ্ট লেখা তাদের অনুরোধে এডিট করে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হল।
আসিফ মহিউদ্দীন একজন বাম মনষ্ক ব্লগার। বাম মনষ্ক মানুষরা সাধারনত মেধাবী হয়। তাই প্রথম জীবনে বামেরা নানা ভ্রান্ত ধারণা পোষন করলেও একপর্যায়ে তারা সত্য উপলব্ধি করতে পারে ও ইসলামের কাছে আত্ম-সমর্পন করে। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কলামিষ্ট ফরহাদ মাজহার, অধুনিক যুগের শ্রেষ্ঠ কবি আল-মাহমুদ এমন কি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও যুবক বয়সে নানা ভ্রান্ত মতবাদ বিশ্বাস করলেও পরবর্তীতে ইসলামের কাছে আত্ম-সমর্পন করেন।
তাই ইহুদি-নাসারা গোষ্ঠী আসিফ মহিউদ্দীনকে সর্বদাই কঠিন নজরদারীর মধ্যে রেখেছিল। কারন আসিফ মহিউদ্দীন ইসলামের কাছে আত্ম-সমর্পন করলে তার হাজার -হাজার, লক্ষ লক্ষ সমর্থক ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে তাই আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ও তাদের এদেশীও এজেন্টরা মিলে সর্বদাই আসিফ মহিউদ্দীনের কন্ঠ রোধ করতে চেয়েছিল।
আসিফ মহিউদ্দীন সর্বদাই বিশ্বজুড়ে নির্যাতিত মুসলমান্দের পক্ষে কথা বলতেন, ফিলিস্তিন থেকে মায়ানমারের নির্যাতিত রহিঙ্গাদের পাশে তিনি ছিলেন। ফান করে হলেও তিনি বেশ কয়েকটি বলেছেন তিনি ইসলামের সুশীতল ছায়ায় চলে আসতে চান। তার এই ঘোষনাতেই আতংকে অস্থির হয়ে হয়ে পড়ে সিআইএ, মোসাদ ও র' এর গোয়েন্দারা।
তাই তার প্রথমে তারা আসিফ মহিউদ্দীনের ল্যাপটপ- মোবাইল সব ডাকাতি করে নিয়ে যায়, যেন সে ব্লগিং করতে না পারে। পরবর্তীতে ডিবি পুলিশ দিয়ে ভয় দেখানো হয়। তাতেও কাজ নাহলে তার উপর লেখা চুরির ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে ব্লগ থেকে দুরে পাঠানো হয়।
যেই ১০টি কারনে আসিফ মহিউদ্দীন একজন বিরাট খারাপ লোক!!!
তদন্তকারী দল আসিফ মহিউদ্দীনের প্রতি আক্রোশের ১০ টি কারন খুজে পেয়েছেন।
সে খারাপ, তার প্রথম কারন হচ্ছে, সে এমন একজন ভদ্রলোক যিনি সাধারন মানুষের অনুভুতিকে সন্মান করে সাধারন এবং সুস্থ ভাষায় লেখালেখি করেন।
তিনি কখনো কোন গোষ্ঠি'র অথবা দলের স্বার্থ বজায় রাখার জন্য কলমের কালি খরচ করেন নাই। যার ফলে প্রতিক্রিয়াশীল লোকজন তার জনপ্রিয়তা ব্যবহার করতে না পেরে আঙ্গুল কামড়ায়!
দ্বিতীয় খারাপ হচ্ছ, তিনি আত্মসন্মানবোধ সম্পন্ন লোক। জ্ঞানপাপীদের তোষামোদ তো দুরের কথা বরং কোনদিন সমর্থনও করেন নাই। উল্টো দেখা যায় ওনার সত্যবচনে অনেক হেভিওয়েট জ্ঞানপাপী নিজেদের বিশেষ অঙ্গসহ ফাঁটা বাঁশের চিপায় পড়েছেন।
তৃতীয় খারাপি হচ্ছে তিনি নির্দলীয়,মানে সিন্ডিকেটহীন।
যিনি কখনোই কোন দলীয় অথবা রাজনৈতিক আদর্শ প্রচার করে না। এর ফলে "ছুপা সুশীল" যারা প্রকারান্তে ছুপা ছাগুদেরই প্যারালাল তাদের মনে নিয়মিত চোট দেন। তিনি সাধারন বাঙ্গালী মানসিকতার লেখক যা ছুপা সুশীলবিরোধী!
চতুর্থ খারাপি হচ্ছে তিনি সুবিচারকামী। এর ফলে প্রচন্ড প্রতিক্রীয়াশীল গোষ্ঠি সবসময়ই তার কারনে এ্যালার্জি আক্রান্ত হন। তার কারনেই ভরা বাজারে প্রতিক্রিয়াশীলদের পঁচা দগদগে ঘা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা যায়।
সুশীল পোষাকের নিচের এমন রূপ প্রকাশ্যে নিয়ে আসা অবশ্যই আসিফ মহিউদ্দীনের দোষ!
পঞ্চম খারাপি হলো, আসিফ মহিউদ্দীনের নম্র কিন্তু দৃঢ় চরিত্রের মানুষ, যিনি কখনোই তার সমালোচকদের আক্রমন করেন না বরং প্রকৃত কিছু তথ্য দ্বারা ভরা মজলিশে নাঙ্গা করে ফেলেন।
ষষ্ঠ খারাপি হচ্ছে তিনি বিনয়ী প্রেমিক, মানে তার মনে ভালবাসা রয়েছে। সৃষ্টিকর্তার মানুষের প্রতি, গরীবের প্রতি, ধনীদের প্রতি, ভবঘুরেদের প্রতি। ভালবাসতে পারার এমন গুন দেখে প্রেমহীন মানুষগুলোর ঈর্ষাবোধ হয়! যারা প্রেম বুঝতে শিশ্নের আগ্রাসন বুঝে তারা আসিফ মহিউদ্দীনের প্লেটোনিক ভালবাসার প্রতি ভক্তি দেখে দিলে চোট পায়!
সপ্তম খারাপি হচ্ছে, তিনি ভারত বিরোধী লেখক। তার লেখায় সবসময় ভারতের যথাযত সমালোচনা স্থান পায়।
আসিফ মহিউদ্দীনের সমালোচকদের ভারতের প্রতি মনোভাব কেমন সেটা লক্ষ্য করলেই দেখবেন, তার সমালোচকদের মহাভারত প্রীতি লক্ষ্যনীয়!
অষ্টম খারাপি হলো, তিনি সাধারন, মানে সাইকো নন। সেজন্য তার লেখায় কোনদিন অস্বাভাবিক কোন বিশ্বাসের প্রচার হয় না। আসিফ মহিউদ্দীনের সমালোচকদের ব্যকগ্রাউন্ড চেক করলেই দেখবেন, প্রত্যেকটা আসিফ মহিউদ্দীনের সমালোচক কোন ধরনের বিশ্বাসে ফান্ডামেন্টালিস্ট! জানেনই তো রতনে রতন চিনে, আর যারা মানকচু ভালবাসে তাদের জন্য আসিফ মহিউদ্দীনের বড়ই তিক্ত।
তার নবম খারাপি হলো, তিনি অত্যন্ত সফল একজন মানুষ। পরশ পাথরের মত।
পড়াশোনা, শিক্ষকতা, নাটক, সিনেমা, গান, সাহিত্য সকল ক্ষেত্রেই তিনি বাংলাদেশের প্রথমসারি'র একজন সফল মানুষের তালিকায় থাকেন। এত সফলতা কি সবই সহ্য করতে পারে? তাই দেখবেন, ওনার সব সমালোচকই এটেনশন সিকার। যারা অন্যের সমালোচনা করে বেঁচে থাকবে তাদের জন্য আসিফ মহিউদ্দী্নের চেয়ে ভাল টার্গেট আর কি হতে পারে?
তার শেষ খারাপি হচ্ছে, আসিফ মহিউদ্দীন একজন মুসলমান। তিনি মোহাম্মদ আসিফ মহিউদ্দীন, তিনি আসিফ গোমেজ, আসিফ চক্রবর্তী বা আসিফ বড়ুয়া নন। হতে পারে তিনি ধর্ম-কর্মের প্রতি বর্তমানে একটু উদাসীন, তবে তিনি একদিন হয়ে উঠতেন একজন ইসলামের কান্ডারী।
তাই এখনই তার কন্ঠ রোধ করা জরুরী মনে করে মোসাদ-সিয়াইএ চক্র।
২য় পর্ব আসছে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।