আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবই স্বাভাবিক

মানুষের চরিত্র বড়ই জটিল আর জটিল চরিত্রের মানুষকে নিয়ে কিছু লেখা আরো জটিল। সুন্দরী মেয়ে মানুষ দেখলে আমি আড়চোখে তাকিয়ে দেখি। তাদের শরীরের বিশেষ অংশগুলো ভাল করে দেখার চেষ্টা করি। আমি গোপনে (প্রকাশ্যে নয়) আধা ন্যাংটা বা পুরো ন্যাংটা মেয়ে মানুষের ছবি দেখি সবই স্বাভাবিক। আমার কাছে অস্বাভাবিক বলে কিচ্ছু নাই।

দুনিয়ার সবকিছুই স্বাভাবিক মনে হয় খালি। পকেটমার আমার পকেট কেটে টাকা নিয়ে পালাল এটা স্বাভাবিক, আপনি অকারনে আমার মাথায় একটা বারি মারলেন সেটাও স্বাভাবিক। রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম, একটা ছেলে এসে বলল দাদা মোবাইলটা একটিবার দিবেন, একটা জরুরী কল করার ছিল। তারপর যা হল তাও স্বাভাবিক। রাস্তায় কোন মেয়ে মানুষকে দূর্ঘটনায় রক্তাক্ত হতে দেখলে অনেকেই ছোটে যায় তাকে বাঁচানোর জন্য, কেউ দাড়িয়ে তামাসা দেখে আর আমি দেখি মেয়েটির ছেঁড়া জামার ফাঁক দিয়ে তার যৌবন দেখা যায় কিনা।

সবই স্বাভাবিক! গতবছর আমি একবার সরকদূর্ঘটনায় বেজায় রকমের আহত হইয়া রক্তের উপড় গড়াগড়ি খাইতেছিলাম। সেদিন কিছুলোক আমাকে হাসপাতালে পৌছে দিয়েছিল আর কেউ হয়ত আমার পকেটে থাকা মোবাইল আর সামান্য টাকা নিজের মনে করে নিয়ে গিয়েছিল তাও স্বাভাবিক ছিল! সেদিন খবরের কাগজে দেখলাম ছয় বছরের শিশুকে নির্যাতন করেছে জনৈক বুদ্ধিমান! মাকে হত্যা করেছে এক সহজ সরল ছেলে! সবই স্বাভাবিক! একবার শীতের সময়ের রাতের বেলায় (সময় দশ কি এগারোটা) দোকানে গিয়েছিলাম চা খাইতে (পান করতে)। এক ছেলে তার কলম আমার পকেটে ঢুকাইয়া দিয়া আমারে চোর বানাইয়া যা করেছিল তাও স্বাভাবিক ছিল। তার পরের দিন, দিনের আলোতে আমি যা করেছিলাম তাও স্বাভাবিক ছিল। এই স্বাভাবিক কাজগুলো করার সময় মানুষ যে পশু হয়ে যায় তাও স্বাভাবিক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।