আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক কোটি প্রবীনকে জ্যেষ্ঠ নাগরিক ঘোষণার উদ্যোগ

প্রবীনরা শিশুর মতই। নানা রোগ ব্যাধী ,বার্ধক্য একাকিত্ব ইত্যাদি নানাবিধ কারনে তাদের অনেক সময়ই অসহায় অবস্থায় পতিত হতে হয়। অথচ তাদেরই গড়া বিশ্বে আমাদের বসবাস। তারাই আমাদের জন্মদাতা। স্রষ্টা।

তাদের স্নেহ মমতায় আমাদের বেড়ে ওঠা। তাই যখাযোগ্য সম্মান তারা প্রাপ্য। সামাজিকভাবে এমন কি রাষ্ট্রীয় ভাবেও। এক কোটি প্রবীনকে জেষ্ঠ্য নাগরিক ঘোষণার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও এ বিষয়ে ২৮ সদস্যের জাতীয় কমিটিও করা হয়েছে।

মহাজোট সরকারের এটি একটি মহতি উদ্যোগ। দেশে এখন প্রবীন লোকের সংখ্যা এক কোটি ১৩ লাখ। ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে এক কোটি ৮০ লাখ। (তথ্য-কালের কন্ঠ) সাধারণত ৬০ বছর বা তদোর্ধ্ব বয়সের লোকদের প্রবীণ হিসেবে ধরা হয়। এদেরকেই জ্যেষ্ঠ নাগরিক ঘোষণার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

প্রবীনদের জ্যেষ্ঠ ঘোষণা ছাড়াও সব জেলার প্রবীণদের চিকিৎসার জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা,যাতায়াতে হাফ টিকেট সুবিধা রাখা এবং এজন্য কার্ডের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার বিষয় ভাবছে কমিটি। স্বাস্থগত সমস্যা ,আর্থিক অসচ্ছ্বলতা এবং অনেক ক্ষেত্রে একাকিত্বের ভার নিয়ে তাদের দুঃসহ জীবন। তাই এই রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ অত্যন্ত মানবিক ও প্রশংসার দাবী রাখে। বড়দের সম্মান করা ধর্মীয় দায়িত্বও বটে। হাদিসে আছে যে বড়দের সম্মান করে না ছোটদের স্নেহ করে না সে আমার উম্মতভূক্ত নয়।

বার্ধক্য যেন অভিশাপ না হয়ে সুখের ও উপভোগ্যের বিষয়ে পরিণত হয় । তাহলেই মানবজীবন পরিপূর্ণ ও অর্থবহ হয়ে ওঠবে। তবে ব্যাপরটা শিয়ালের কাছে মুরগী বাগীর মত যাতে না হয়। এই ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাজেটে যদি দূর্নীতি চুরি কর্মসূচী চলতে থাকে সবই বিফলে যাবে। বৃদ্ধের ধন কে যায় লয়ে যেন না হয়।

আসলে সততার বিকল্প নাই। সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। মহতী উদ্যোগের দ্রুত বাস্তবায়ন ও সফলতা কামনা করছি। ছবি-নেট।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।