ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে তা থৈ তা থৈ থৈ দিমি দিমি দ্রম দ্রম । । ভূত পিশাচ নাচে যোগিনী সঙ্গে । । ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে।
। দানব দলনী হয়ে উন্মাদিনী আর কি দানব থাকিবে বঙ্গে । । রাত বাড়ছে। একটু আগে বসার ঘরের ঘড়িতে দু'টোর ঘন্টা বাজলো।
এত রাত হলো, তাও ঘুম আসছেনা। বারান্দায় চুপচাপ দাড়িঁয়ে দাড়িঁয়ে রাতের আকাশ দেখলাম কিছুক্ষণ। দূরে শহীদ মিয়ার হুইসেলের আওয়াজ শোনা যায়। আপনমনে কথা বলতে বলতে মহল্লা পাহারা দেয় শহীদ মিয়া। দিনেও কখনো ঘুমোতে দেখিনি তাকে।
জিজ্ঞেস করেছিলাম একবার। উত্তর না দিয়ে তার হুইসেলের দিকে তাকিয়ে হেসেছিলো। বসার ঘরে ফিরে এলাম। পরিপাটি গোছানো মধ্যবিত্ত বসার ঘর। মিনুর ঘর সাজানোর শখ খুব।
এটা ওটা কিনতে চায় ঘরের জন্য। ছোট সরকারি চাকরির বেতনে মাস চলে অনেক কষ্টে। শখ পূরণের সুযোগ কোথায়। খোকন তার জন্মদিনে রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি চেয়েছিলো। তার মা'র জমানো টাকা দিয়ে কিনে দিয়েছে।
একজোড়া রুপার বালার জন্য টাকাটা জমিয়েছিল বেচারি। শোবার ঘরে মিনুর বুকের কাছে কুকড়েঁ শুয়ে আছে খোকন। দু'জনই গভীর ঘুমে অচেতন। অনেক ধকল গেছে ওদের ওপর দিয়ে গত চারদিন। ঘুমন্ত মুখ দু'টোর দিকে তাকিয়ে বুকে মোচড় দিয়ে উঠলো।
চারদিন আগেওতো সব ঠিকঠাক চলছিলো। মিনু খোকনের টিফিন তৈ্রি করতে করতে আমাকে মাসের বাজারের তাগাদা দিচ্ছিলো। অফিসের জন্য তৈ্রি হচ্ছি আর বাহানা খুজঁছিলাম কিভাবে আজকের বাজারটা এড়ানো যায়। অফিসের টিফিনের সাথে বিশাল লিস্ট ধরিয়ে দিয়ে বললো আজ রাতের রান্না হবেনা বাজার ছাড়া। মিনুর মত আকাশের মুখও গম্ভীর ছিলো সেদিন।
খোকনকে স্কুলে নামিয়ে ছুটলাম অফিসে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই ঝমঝম করে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামলো। অফিস ছুটির আধঘন্টা পর বৃষ্টি ধরে এলে রিক্সায় ছুটলাম বাজারে। বাজার সেরে বাসায় ফিরলে মিনু পাঠাবে গোসলে। গোসল সারতে সারতে ওর বাজার নিয়ে একশ একটা অভিযোগ শুনতে হবে।
গোসল সেরে বের হওয়া মাত্র গরম চায়ের কাপ ধরিয়ে দিয়ে খোকনকে পড়াতে বসানোর হুকুম দেবে। রিক্সায় বসে মিনু আর খোকনের কথা ভাবতে ভালোই লাগছিলো। হঠাৎ কি হয়ে গেলো। ছিটকে পড়লাম রাস্তায়। তারপর অসম্ভব যন্ত্রণা।
শেষ শুধু মনে ছিলো মিনুর মুখটা। আমার কবর হয়েছে বাবার কবরের ঠিক পাশে। মিনু খুব কাদঁছিলো। খোকন মায়ের আচঁল শক্ত করে ধরেছিলো।
খুব ইচ্ছে করছে খোকনের কপালে হাত রাখতে।
রাত আরো গভীর হচ্ছে। আমার ঘুম আসছেনা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।