আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-) দুধে ভেজানো লাচ্ছা সেমাই তো আমরা সবাই খাই। স্বাদে যদি একটু ভিন্নতা আসে মন্দ হয়না।
আসুন দেখি একটু ভিন্ন স্বাদ পাওয়া যায় কিনা। যদিও অনেকেই জানেন এটা।
একদম সহজ একটি রেসিপি। ব্যাচেলর ভাইয়া-অনাড়ী আপু থেকে শুরু করে সব্বাই বানাতে পারবেন।
যাগগে এবার আসি কাজের কথায়
কুড়মুড়ে লাচ্ছা সেমাই বানাতে যা যা লাগবে
লাচ্ছা সেমাই: ১ প্যাকেট (বনফুল হলে ভাল হয়)
চিনি: স্যুপের চামচের ৩ চামচ (চাহিদা মতন কম বেশী করতে পারেন)
ঘি: ২ চা চামচ
কিসমিস: ইচ্ছে মতন
প্রণালী:
অবশ্যই চুলা জ্বালিয়ে তার উপর একটি পাত্র বসাতে হবে।
আপুরা দেইখেন আবার বিয়ার পাত্র চুলার উপর বসাই দিয়েন না আবার । তাতে ঘি গরম করে ওতে কিসমিস দিয়ে দেবেন। একটু ভাজা হলে সেমাই দিয়ে হালকা আঁচে নাড়তে থাকুন। সেমাই ভাজা হয়ে লাল হয়ে এলে তাতে চিনি দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে ফেলুন।
হয়ে গেলো কুড়মুড়ে লাচ্ছা সেমাই।
টিপস: **নামানোর আগে চিনি দিলে চিনি দিলে চিনিটা দানা দানা থাকবে।
**কেউ যদি চান তবে সেমাইয়ের সাথেই চিনি দিতে পারেন, এতে চিনি গলে যাবে। সেক্ষেত্রে ঠান্ডা হওয়ার পর সেমাই একটু শক্ত জমাট বেঁধে যাবে। খেতে কিন্তু খারাপ লাগবে না।
** অপনারা হয়ত খেয়াল করেছেন যে আমি লবন দিই নি।
কি ভাবছেন লবন ছাড়া খাবারে স্বাদ হয় কিভাবে! আমি লবন দিয়ে দেখেছি সেমাইয়ে লবনটা পুরোপুরি মেশেনা। কেমন যেনো নোনতা ভাব থেকে যায়, ভাল লাগেনা। আপনারা চাইলে ট্রাই করে দেখতে পারেন (অবশ্যই নিজ দ্বায়িত্বে)
** অনেকে ভাবছেন স্যুপের চামচের কথা কেন বললাম!! আসলে আমাদের চিনির বৈয়ামের মধ্যে স্যুপের চামচ থাকে ওটা দিয়েই চিনি তোলা হয়। আর তাই....
আপনারা আন্দাজ মতন দিলেও চলবে।
সতর্কতা:** সেমাই একটু ঠান্ডা হওয়ার সময় দিন।
আনন্দের সাথে খেতে গিয়ে আবার গরমটাই মুখে পুরে দিয়েননা। তবে কিন্তু আর খাওয়া লাগবে না।
** আমি সাধারনত বিভিন্ন জায়গা থেকে রেসিপি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট চালানোর পরে ভাল লাগলে তবেই শেয়ার করি। আমার এই সব সবার যে ভাল লাগবে এমন কোন কথা নেই। তাই বলছি, এসব ট্রাই করার আগে কয়েকবার ভেবে নেবেন, নিজ দ্বায়িত্বে করবেন।
ভাল না লাগলে নীলু ত নয়-ই লেখিকাও কোন ভাবে দ্বায়ী নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।