আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গুলি-বন্দুকের যুদ্ধ জেতার আগে জিততে হয় মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে

ফেসবুকের একটি অনন্য স্ট্যাটাস মনোজাগতে অসীম আবেদন,গভীর প্রভাব রাখে,কিংবা রাখতে পারে। কিন্তু মনোজাগতে অসীম আবেদন,গভীর প্রভাবের অপমৃত্যু ঘটানোর জন্য কমেণ্টস্ এর ঘরে একজন পাঠকের ব্যবহার করা অসভ্য-অশ্লীল একটি শব্দই যথেষ্ট। অথচ মনস্তত্ত্ব না বুঝে অথবা বেশীমাত্রায় বুঝে স্ট্যাটাসের পক্ষে বলতে গিয়ে কিংবা সমর্থন করতে গিয়ে অনেকেই অসভ্য-অশ্লীল শব্দাবলী/গালি ব্যবহার করেন। এরা ভাবেন গালিতেই ‘রাজ্যজয়’ অথবা ‘ শত্রুবিনাশ হয়ে গেল’ । এরা জানে কিনা জানিনা, কিন্তু এটা জানি,- গুলি-বন্দুকের যুদ্ধ জেতার আগে জিততে হয় মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে।

অশ্লীল শব্দ মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধজয়ের প্রধান বাঁধা। আমাদের একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ‘স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্র’ যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতাকামী বাঙালীকে একদিকে যেমন মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রতিমুহূর্তে শক্তিমান করেছে তেমনি ক্রমশ: হতমান করেছে পাকহানাদার ও তাদের দোসর রাজাকার আলবদরদের। আমার বয়স তখন নয়,মধ্যবয়েস পেরুনো বাবার কোলে বসে হারু কাকার লালরঙা ফিলিপস্ রেডিওতে প্রতিসন্ধ্যায় শুনেছি স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্র । এখনও আমার স্পষ্ট মনে আছে সব। একটি অশ্লীল শব্দও হানাদার-ঘৃণ্যঘাতকদের বিরুদ্ধে উচ্চারিত হয়নি তাতে।

এমনকি এম.আর.আখতার মুকুলের ঢাকাইয়া ভাষার “চরমপত্রে”ও। আর তা হয়নি বলেই স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্র আমাদের ধমনীতে পবিত্র শক্তি যুগিয়েছে, যুদ্ধজয়ের শক্তি,শত্রু হননেনর অমিত শক্তি। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।