Student : B.Sc in EEE
সাকিব, মুসফিক, নাইম যে বলে আউট হলো , ঐ ধরনের বলে ওরা যদি আগামী ১০ ম্যাচ লাগাতার শূন্য রানে আউট হয় তাতে আমি একটুও দুঃখ পাবো না । কেননা ঐ ধরনের বলে যে কোন সময় যে কোন বিশ্বমানের ব্যাটসম্যানও পরাস্ত হতে পারে / /
কিন্তু তামিম , জুনায়েদ , নাফিজ স্টাম্পের অনেক বাহিরের ভাল লাইন ও লেন্থের বলের বিরুদ্ধে অযথা আক্রমনত্বক মুডে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় শট খেলে দল ও দেশের জন্য যে বিপদ ডেকে এনেছেন তা এ কথায় কৃকেটীয় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মস্তিস্কের পরিচয় । কি দরকার ছিল ঐ সব বল গুড লেন্থের বাহির বল অযথা বিপদজনক ভাবে খেলার ??এটা কোন ধরনের টেষ্ট ক্রিকেট ব্যাটিং? "
ইচ্ছে করলেও তারা কিন্তু ঐসব বল ইজিলী ছেড়ে দিতে পারতো ।
আর গাধার মত শট দেখিয়ে আমাদের বুকে শেষ পেরেক মারলেন নাসির সাহেব ( (
একটি চার কিংবা একটি ছয়ের লোভে ভাল বলের বিরুদ্ধে অযথা আক্রমনত্বক মুডে গিয়ে বিপদজনক ভাবে খেলে নিজ এবং দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনার কারনেই আমরা টেষ্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির ১২ বৎসর পরেও এখনও তিন দিনে টেষ্ট ম্যাচ হারি , বছরের পর বছর ধরে ইনিংস পরাজয়ে হারি ।
আর জুনায়েদ কিভাবে দলে বারে বারে চান্স পাই, আর এমন ইনিংস খেলে।
তার খুটির দৌড় কোথায় জাতি জানতে চাই। জুনায়েদ যে ধরনের ব্যাটসম্যানর যার নাই কোন টেম্পারামেন্ট , নাই কোন টেকনিক সেই ব্যাটসম্যান ক্যমনে টেষ্টে রাখা হয় । ওরে টি টোয়েন্টি তে ৩০- ৩৫ রানের আশায় রাখা যেতে পারে কিন্তু কোন অবস্হাতেই টেষ্ট স্কোয়াডে নয় ।
জুনায়েদ এর জায়গায় আনামূল হক বিজয়রে চাই ।
নাফিসের টেকনিক নিয়া কোন প্রশ্ন করবো না , কিন্ু হের শট সিলেকশনের কমন সেন্স কতটুকু তা নিয়া কিয়া কিন্তু প্রশ্ন ওঠে ??
সুতরার নাফিসের স্হলে আশরাফুলকে চাই ।
যদিও জানি অনেকেই এব্যাপারে দ্বিমত পোষন করবেন । কিন্তু তাদের উদ্দেশ্যে এটুকুই বলবো নাফিস- আশরাফুল দুজনরই টেষ্টে শট সিলেকশনের কমন সেন্সের অভাব সমানভাবে !! দুজনেরই টেষ্ট টেম্পারামেন্ট একইরকম বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মস্তিস্কের পরিচয় বহন করলেও একদিক থেকে আশরাফুল নাফিসের চেয়ে এগিয়ে । সেটা হলো টেকনিকীয় প্রতিভা । একারনে নাফিসের স্হলে আশরাফুলকে চাই ।
আর সব সমস্যার সমাধান হিসেবে পাথেয় হয়ে শিক্ষনীয় অধ্যায় হিসেবে দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকুক নাইম ইসলামের প্রথম ইনিংসের টেষ্ট সেন্সুরীটি ।
ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নাইম ইসলাম প্রথম টেষ্টে ১০৮ রানের যে অসাধারন ইনিংসটি খেললেন , হয়তো এর থেকেও অন্যদের আরও বড় বড় রানের আক্রমনত্বক ইনিংস আছে, কিন্তু তার এই ২৫৫ বলের ইনিংসে তিনি যে ধ্যর্যের পরিচয় দিয়েছেন তা এক কথায় অসাধারণ । তিনি একটি বলও ভাল বলের বিরুদ্ধে অযথা আক্রমনত্বক মুডে গিয়ে খেলেন নি, আবার অন্যদিকে বাজে বলকেও মাফ দেন নি, তড়িৎগতিতে সীমানা ছাড়া করেছেন শুধু বাজে বলগুলোকে। যা এক কথায় অসাধারণ ।
৩৫৩ মিনিট ক্রিজে থেকে ২৫৫টি বলের মোকাবেলা করে যে টেষ্ট ম্যাচের জন্য পারফেক্ট অসাধারন যে ইনিংসটি নির্মান করেছেন সে ইনিংসে তিনি যে বল ছেড়ে দেয়া উচিৎ সে বল ছেড়ে দিয়েছেন, যে বল ডিফেন্সিভ খেলা উচিৎ ,সে বল ডিফেন্সিভ মুডে খেলেছেন, আবার যে কটি বাজে বল পেয়েছেন সে কটিকে নিজেকে ১০০% রিক্সের ঊর্দ্ধে রেখে তড়িৎগতিতে সীমানা ছাড়া করেছেন। একটি চার কিংবা একটি ছয়ের লোভে অযথা আক্রমনত্বক মুডে গিয়ে বিপদজনক ভাবে খেলে নিজ এবং দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনেন নি।
এরকম টেম্পারামেন্টিই টেষ্ট ম্যাচে দেখানো উচিৎ। টেষ্ট ম্যাচে এরকম টেম্পারামেন্ট দেখিয়েই কিন্ত রাহুল দ্রাবিড়, ইউনুস খান, শিব নারায়ন চন্দ্রপল, জ্যাক ক্যালিসেরা টেষ্ট ম্যাচের ইতিহাসে পরিনত হয়েছেন ভয়ংকর নাম করা ব্যাটসম্যানে। খেলেছেন অসংখ্য বড় বড় সেন্সুরী- ডাবল সেন্সুরীর ইনিংস, নিজেদর দেশকে মাতিয়েছেন জয়ের আনন্দে।
একটি চার কিংবা একটি ছয়ের লোভে ভাল বলের বিরুদ্ধে অযথা আক্রমনত্বক মুডে গিয়ে বিপদজনক ভাবে খেলে নিজ এবং দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনার কারনেই আমরা টেষ্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির ১২ বৎসর পরেও এখনও তিন দিনে টেষ্ট ম্যাচ হারি, বছরের পর বছর ধরে ইনিংস পরাজয়ে হারি।
নাইম ইসলামের এই ইনিংস শুধু নামে মাত্র একটি টেষ্ট ইনিংস নয়, নাইম ইসলামের এই ইনিংস বর্তমান ও ভবিষ্যতের বাংলাদেশের টেষ্ট খেলোয়ারদের জন্য একটি অসাধারন শিক্ষনীয় অধ্যায় হিসেবে উদাহরণ হয়ে থাকবে ।
আর আজকে ২য় ইনিংসে নাইম যে বলে আউট হলো , ঐ ধরনের বলে সে যদি আগামী ১০ ম্যাচ লাগাতার শূন্য রানে আউট হয় তাতে আমি একটুও দুঃখ পাবো না । কেননা ঐ ধরনের বলে যে কোন সময় যে কোন বিশ্বমানের ব্যাটসম্যানও পরাস্ত হতে পারে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।