আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অতি সাধের ডেমু ট্রেন চালুর পরেই বন্ধ

আমি পেশায় একজন স্পীচ থেরাপিষ্ট কিন্তু ব্লগ পড়া আমার নেশা। আর একটা নেশা আছে সেটা হল মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস প্রতিটা মানুষের কাছে পৌছে দেয়া। আমি সে চেষ্টা এখনও চালিয়ে যাচ্ছি। আমি কোন ভালো লেখক নই কিন্তু আমি একজন ভালো পাঠক। চীন থেকে আমদানিকৃত ডেমু ট্রেন চালুর পরই বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে।

একবেলা মাত্র চলে এটা বন্ধ হয়ে যায়। পরে মন্ত্রী আর আওয়ামীলীগের স্থানীয় এজেন্টদের চাপে বিকালে আবার চালু করা হলে কিছুক্ষন পরে ১৫ জন যাত্রী প্রয়োজনীয় বাতাসের অভাবে এবং প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পরে। পরে তাদের মারমুখী আচরনের কারনে কর্তীপক্ষ ডেমু ট্রেন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। ভবিষ্যতে এ ট্রেন চালিয়ে যাত্রীদের মারমুখী আচরনের মোকাবেলা করার কোন ইচ্ছা তাদের নেই। নারায়ণগঞ্জ ও চাষাঢ়া রেলস্টেশন সরেজমিনে ঘুরে কমিউটার ট্রেনে চড়েছেন এমন যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন ট্রেনে যাতায়াতেও সমস্যার অন্ত নেই।

এর কারণ হিসেবে বলতে গিয়ে তারা জানান, পুরোনো ট্রেনগুলোর ৭টি বগিতে প্রতি ট্রিপে যেখানে গড়ে ১ হাজার ৫শ’ যাত্রী চড়তে পারেন, সেখানে কমিউটার ট্রেনে মাত্র ৬শ’ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়া নিচু প্লাটফরম থেকে কমিউটার ট্রেনের উঁচু কম্পার্টমেন্টে উঠতে গিয়েও দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছেন অনেকেই। টেনে ওঠার সিঁড়িগুলোও (পাদানি) ভেতরের দিকে ঢুকানো, হাতলগুলোরও একই অবস্থা। হাইড্রলিক দরজাগুলো বন্ধ ও খুলতে গেলেও যে কোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। পুরোনো ট্রেনগুলো মজবুত ও জানালাগুলো সম্পূর্ণ খোলা গেলেও কমিউটার ট্রেনের জানালাগুলো অর্ধেক খোলা যায়।

ফলে বাতাসের প্রবাহ কম। যদিও ডেমুতে পাওয়ার কার, পর্যাপ্ত আলো ও ফ্যান আছে তথাপি গাদাগাদি অবস্থায় মুক্ত বাতাসের অভাব প্রকটভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। অবশ্য রেলমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন স্বল্প সময়ে যাতায়াত করছে, গরমে একটু তো কষ্ট হবেই। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।