রাজনীতি বুঝিনা। বাঁকা পথে চলিনা । গন্তব্য ওই তো কিছুদূর সামনেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, গণমাধ্যমে আমার বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি বলেছিলাম, ‘হরতাল সমর্থকেরা ফাটল ধরা ভবনের স্তম্ভ নাড়াচাড়া করেছে। সেটা তাঁরা না করলেও পারত।
এটা একটি কারণ হতে পারে। কিন্তু মিডিয়ায় আমার পূর্ণ বক্তব্য আসেনি। ’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমীতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বস্তুনিষ্ঠতা ছাড়া এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন জাতীয় ক্ষেত্রে বিপর্যয় নিয়ে আসতে পারে। এ ধরনের সংবেদনশীল কথা প্রচার করার আগে সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠতা বারবার পর্যালোচনা করা উচিত।
অভিষেক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরও বলেন, সাভারে ভবনধসের ঘটনা মর্মান্তিক। সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে বিরোধী দল ওই দিন হরতাল দিয়ে উদ্ধারকাজে বাধা সৃষ্টি
করেছে। তিনি বলেন, বিরোধী দল হরতাল না দিলে উদ্ধার তত্পরতা আরও দ্রুত হতে পারত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, এ ঘটনায় যারা দোষী বা জড়িত, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
গত বুধবার সাভারে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে গিয়ে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, দুর্ঘটনার আগে কিছু মৌলবাদী ও বিএনপির ভাড়াটে লোক সাভারের ভবনটির গেট ও বিভিন্ন স্তম্ভ ধরে নাড়াচাড়া করেছিল।
ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে এটিকেও একটি কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
এ বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার জের ধরে সাংবাদিকেরা গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন তোলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তথাকথিত হরতালের সমর্থক লোকজন কারখানা বন্ধ করার জন্য ফাটল ধরা স্তম্ভ নিয়ে
টানাহেঁচড়া করে। এর ফলে ধস হয়েছে কি না বা ধস ত্বরান্বিত হয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখতে হবে।
মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, ‘এ রকম ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে আমরা সবকিছু খতিয়ে দেখছি। ’ তিনি এ-ও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের আগে এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।
(ঢাকাটাইমস/২৬এপ্রিল/এমএম/২০.৫৯ঘ.)
Click This Link
মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিতো আমার --- হইয়া গেলাম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।