স্বাধীনতা প্রিয় ১ জন মানুষ। শুধুই স্বাধীনতা চাই। https://www.facebook.com/md.z.bablu টিভিতে এড দিচ্ছে। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে লাইফবয় দিয়ে গোসল করে শরীর জীবানুমুক্ত রাখুন। মি.অসাম বুঝেন না কেন লাইফবয় এর এড গুলাতে বয় এর চেয়ে মেন আর চিল্ডের্নদের বেশী দেখানো হয়।
এইটার নাম দেওয়া দরকার লাইফমেন নাইলে লাইফচাইল্ড। মাথা খারাপ করে,অতিরিক্ত রেগে,দাঁত মুখ খিঁচিয়ে তিনি রিমোট এর বাটন টিপে....পরের চ্যানেল এ গেলেন। তাও টিভি বন্ধ করেন না। তার রাগ এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ। রাগের মাত্রা বাড়লে বড়জোড় তিনি ঘুমিয়ে পড়েন।
টিভি দেখতে দেখতে রাত অনেক হয়েছে। সত্যি কথা বলতে গেলে সকাল হতে একটু বাকি। ঘুমে তার চোখ ঢুলু ঢুলু করছে। সাথে শরীরটাও। হঠাত্ তিনি সতেজ হয়ে উঠলেন।
তাকে কেউ একজন বলছে আজ থেকে তুমি মহাশক্তির অধিকারী। কাক পক্ষি কখনো তোমার শরীরে গ্রেনেড মারতে পারবে না। তুমি ই এখন উড়তে উড়তে কাককে গ্রেনেড মারতে পারবে। ইংলিশ মুভিতে যত প্রকার সুপার হিউম্যান আছে সব শক্তি তোমাকে দেওয়া হল। তুমি এখন সেইসব সুপার হিউম্যানকে তোমার সুইপারম্যান হিসেবে ব্যাবহার করতে পারবে।
মি.অসাম প্রথমে বিশ্বাস করতে পারে নি। তাই একটা পরীক্ষা করতে তিনি ঘুমানোর চেষ্টা করলেন। কারন তিনি বিশ্বাস করতেন অনেক আগে থেকেই,যে তাকে তার অতি ঘুম থেকে বিরত রাখতে পারবে সে পীর বুজুর্গ টাইপ এর কিছু না কিছু একটা হবেই। তিনি দেখলেন তার ঘুম আসছে না। একটার পর একটা ঘুমের ওষুধ খেয়েই যাচ্ছেন।
কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। ঘুম যেন বলছে..."এহহে যতই চাপাচাপি কর,কোনো লাভ নাই। " নাহ এইবার তিনি নিশ্চিন্ত। সে এখন সব সুপার হিউম্যান এর মিলিত রূপ। দ্যা মি.অসাম।
এইবার তিনি বাংলাদেশ নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে লাগলেন। এইবার বাংলাদেশকে আমূলে পরিবর্তন করেই ছাড়বেন।
প্রথমে তিনি মন দিলেন পদ্মা সেতু বানানোয়। এইটা বানানোর জন্য তিনি হয়ে গেলেন এক্স ম্যান মুভির ম্যাগনিটো(লোহা দিয়ে যিনি যা ইচ্ছা করতে পারেন। ) সাবমেরিন এ করে তিনি গেলেন আমেরিকায়।
আমেরিকার সবচাইতে বড় ব্রীজ Lake Pontchartrain Causeway এর মাঝখানে দাঁড়িয়ে পুরা ব্রীজটা উড়াই নিয়ে আসেন। আর পদ্মা নদীর উপর বসায় দেন। ঐ ব্রীজের নাট বল্টু গুলা ইস্টিলের হওয়ায়,ঐগুলা পথেই পড়ে যায়। তাই পুরা পদ্মা সেতু বানাতে বাংলাদেশ সরকার এর খরচ হয় শুধু নাট বল্টুর টাকা। এই ঘটনা দিয়ে মি.অসাম সকলের নজরে আসলেন।
এরপর তিনি নজর দিলেন সাগর রুনি হত্যা মামলার আসামীর খোঁজ দ্যা সার্চ এ। এইবার হলেন আইরন ম্যান। যার কাছে বিশ্বের সব খবর থাকে। যেইগুলে এখনো ঘটে নাই। ঘটার সম্ভাবনাও নাই,ঐসব ঘটনারও বিস্তারিত বর্ণনা থাকে।
তাই খুব সহজেই মি.অসাম খুঁজে বের করলেন খুনি কে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন..."হোয়াই ডিড ইউ কিল সাগর এন্ড রুনী?"
উত্তরে সে বলল.."বিকজ দে হেড মাই ফেসবুক পাসওয়ার্ড(রূপক অর্থে। ) দেটস হোয়াই আই কিল্ড দেম। " তারপর মি.অসাম শাস্তি সরূপ তারে ধরে নিয়ে গিয়ে ইলিয়াছ আলি করে দিল।
এত কাজ করার পর তার হঠাত্ ই মি.অসাম এর হিসু ধরল জোরে।
তিনি ভুলে গিয়েছিলেন যে ঐ ব্যক্তিটি আরো একটি কথা বলেছিলেন। "সুপার হিউম্যান এ তুমি কখনো টয়লেট খুঁজে পাবে না। "
তিনি সুপারম্যান এর মত পৃথিবীর এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে উড়তে উড়তে টয়লেট খুঁজতে লাগলেন। কোথাও খুঁজে পেলেন না। এরপর তার মাথা এতই গরম হল যে সে আমেরিকায় গিয়ে টুইন টাওয়ার এ কষে একটা লাথি মারলেন।
সাথে সাথে তার ঘুম ভেঙ্গে গেল।
তিনি দেখলেন মিসেস অসাম লাথি খেয়ে মাটিতে কাতরাচ্ছে । তারপর তিনি টয়লেট এ গিয়ে টয়লেট সারলেন। আর মিসেস অসাম তাকে লাথি মারার শাস্তি সরূপ দুপুর আর রাতে ভাত রাধঁবেন না বলে ঘোষনা দিলেন। মি.অসাম বললেন..
"তুমি প্রতিদিন অনেক কষ্ট কর।
আজ থাক। দুটো বিয়ের দাওয়াত আছে। ঐগুলা খেয়ে আসব" ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।