আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফুড ট্রাভেল : ৭০ রকমের তরকারী খেতে তোতা মিয়ার নিরিবিলিতে ভ্রমণ

বেড়াই বাংলাদেশের (Click This Link) এর ইভেন্ট ছিলো এটি। মোট কনফার্ম করলো ১৮ জন। রওনা দেবার জন্য সময় ছিলো ৯ টা। সবাই আসতে আসতে সাড়ে ৯ টা বাজলো। আমরা মাহাখালি জলসিড়ি পরিবহনের বাসের টিকেট কাটলাম।

১১০ টাকা করে ভাড়া। জলসিড়ি টোক হয়ে কটিয়াদি পর্যন্ত যায়। ঘন্টা আড়াই লাগলো টোক পৌছাতে। এরপর হেটে বাজার পারে হয়ে ২০০ গজ ডানে এগুতোই একদম নিরিবিলি জায়গায় পেলাম হোটেল নিরিবিলি। খাবার দাবার সবে আসতে শুরু করেছে ।

কাষ্টমার খুব একটা নেই আমরা ছাড়া। প্রথমে চললো ফটোসেশন। সবাই ছবি তুললাম খাবার। কথা বল্লাম মালিক তোতা মিয়ার সাথে। জানলাম-তোতা মিয়া আগে প্রায় ২০ বছর কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামে রেষ্টুরেন্ট ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন।

তার রান্নার সুনাম পুরো কক্সবাজাড়ে ছড়িয়ে পরে। এরপর এলাকার লোকজনের অনুরোধে তিনি টোক বাজারে কিছু জায়গা কিনে একদম নিরিবিলি একটি জায়গায় গড়ে তোলেন এ রেষ্টুরেন্টটি। তোতা মিয়া, তার ছেলে মিলে চালান এটি। সব রান্নার তত্বাবধানে থাকেন তার স্ত্রী। প্রতিদিন সব মিলিয়ে মোট ৭০ টি আইটেম তৈরী করা হয়।

এর মধ্যে ভঅজি ভর্তা ৪০ টি, তরকারী ৩০ টি। দাম ১০-২০ টাকা ভঅজি বা ভর্তা। আর তরকারী ৬০-১০০ টাকা। আমরা ১২/১৩ পদ খেতে পেরেছি। তার মধ্যে অন্যতম হলো- সর্ষে শাক, লাল শাক, সর্ষে ভর্তা, শুটকি ভর্তা, ১২ রকম সবজি ভাজি, বেগুন ভাজি, ছোট মাছ, শোল মাছ, চিংড়ি মাছ ইত্যাদি।

আমাদের ৬ জনের বিল আসলো ১২০০ টাকা। এরি মধ্য ঢাকা থেকে আরো কিছু লোকজন চলে এসেছে। খাবার শেষ করে তোতা মিয়ার সাথে অনেককক্ষন আড্ডা দিয়ে টোক বাজারের পাশে থাকা দারনু ব্রম্মপুত্র নদীটির পারে ঘুরতে গেলাম। বিকালের দিকে আবার জলসিড়িতে ঢাকা। যা যা পাওয়া যায় : মোট ৭০ রকমের ভঅজি, ভর্তা ও তরকারী করা হয় ওখানে।

উল্লেখযোগ্য হলো : মাংশ হাসের মাংশ মুরগীর মাংশ কবুতরের মাংশ খাশির মাংশ মাছ : শোল মাছ রুই মাছ চিংড়ি মাছ বাতাসী মাছ বাইন মাছ ইলিশ মাছ গুড়া মাছ শুটকি মাছ শাক : লাল শাক পুই শাক সর্ষে শাক মুলা শাক পাট শাক ভর্তা : আলু ভর্তা সর্ষে ভর্তা কালো জিরা ভর্তা শুটকি ভর্তা মরিচ ভর্তা ডিম ভর্তা আচার : বড়ই আচার জলপাই আচার মিক্সড আচার ডাল : মাসকালাই মশুর ডাল মুগ ডাল সবজি : ১২ রকমের মিক্সড সবজি ঝিংগা চিচিংগা পটল আলুসীম বরলা এমন আরো অনেক খাবার। যেভাবে যাবেন : যাবার সবচে ভালো উপায় হলো মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে জলসিড়ি পরিবহনের বাসে ওঠা। এটা ৩-৪ টা কাউন্টার ছাড়া কোথাও থামেনা। ভাড়া ১১০ টাকা। টোক নেমে সামনে হাটতে হবে।

বাজার ক্রস করে বামে আরো ২০০ গজ। এরপরই হাতের বায়ে পরবে হোটেল নিরিবিলি। আসার সময় জলসিড়িতে সিট নাও পেতে পারেন। তাই টোক বাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা পরিবহনের বাসে আসতে পারেন। ভাড়া একই ১১০ টাকা।

ঠিকানা : হোটেল নিরিবিলি, টোক নয়ন বাজার (টোক বাজারের পূর্ব পাশে), টোক, কাপাসিয়া। ফোন : ০১৮২১-৬০৩৪২৮ (তোতা মিয়া) এবার কিছু ছবি দেখুন : টোক বাজার নিরিবিলি হোটেল খাবরের একাংশ খাবার খাবারের একাংশ হেশেল নিরিবিলির ভেতরটা টোক বাজারের পাশে বয়ে যাওয়া নদী  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।