আজ নূর হোসেন নিয়ে অসংখ্য পোস্ট এসেছে ফেসবুকে। যাক তবুও আমরা নূর হোসেনকে ভুলে যাইনি। যদিও ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। আমরা বায়ান্ন ভুলে গেছি একাত্তর ভুলে গেছি আর এ তো একজন মানুষ!
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অসংখ্যবার এস এম হল থেকে জগন্নাথ হলে যাওয়া হয়েছে । স্বাধীনতার সংগ্রাম ভাস্কর্যের একবারে একপ্রান্তে, রাস্তার পাশে হওয়ায় প্রতিবার ই সেখানে নূর হোসেনের ভাস্কর্যটাকে পাশ কাটিয়েই যেতে হয়েছে।
প্রতিবারই খেয়ালে বেখেয়ালে তাকিয়েছি সেদিকে। প্রায় চারমাস পূর্বে ঝড়ের ঝাপটায় গাছেরডাল পরে নূর হোসেনের ভাস্কর্যের ডান হাতের কিছু অংশ মশাল সহ ভেঙে যায়। বেশ কয়েক মাস সেভাবেই ছিল। কিছুদিন পূর্বে সামান্য সংস্কার করা হয়েছিল যদিও এখনো তা অসমাপ্তই রয়ে গেছে। আজ রাতে হলে ফেরার সময় আবিস্কার করলাম সেখানেকিছু গাদা ফুলের মালা...
দেশময় এখন ধর্ম, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র নিয়ে রমরমা ব্যবসা।
ব্যবসার নিয়মেই লাভ উঠে আসলে দ্বিগুন তিনগুন কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে আর ও বেশী হারে। কিন্তু দেশের সাধারন মানুষের অবস্থার উন্নতি হয়েছে সামান্যই। অথচ আমরা ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে । দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি দলবাজিই ছিল আমাদের গত ৪১ বছরের ইতিহাস। রাজাকারের গাড়িতে ওড়েছে লাল সবুজ পতাকা ।
স্বৈরাচারেরা কেউ মহানায়ক সেজেছে কেউবা ভোট/জোটের রাজনীতির ময়দানে অতি মুল্যবান গণতান্ত্রিক নেতা !
খেটে খাওয়া দরিদ্র জনগোষ্ঠী আর মধ্যবিত্তের স্বপ্নগুলো ক্রমাগত ধুসর হয়ে আসছে...
বাঙালির গৌরবের অতীত জীবন্ত হোক আরেকবার। আরেকবার জয় বাংলায় মুখরিত হোক অধিকার আদায়ের সংগ্রাম... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।