আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তুই চোর: চোরা স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও মেওর। সবই চোর!

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। তুই চোর! স্পিকার চোর - ডেপুটি স্পিকার চোর - মেওর চোর - রাজপুত্তর চোর - সবই চোর! সরকারি অর্থ আত্মসাতের মামলায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক স্পিকার জমিরউদ্দিন সরকার এমপি, সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা, ডিসিসির সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ও সংসদ সচিবালয়ের সাবেক প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেছে দুদক। পৃথক তিনটি মামলায় গতকাল এ অভিযোগপত্র ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে দাখিল করা হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় ব্যারিস্টার জমির, আখতার ও আশরাফুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন দুদকের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান খান। অপর মামলায় খোকাসহ অন্য চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন উপ-পরিচালক নূর হোসেন খান।

একটি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, জমিরউদ্দিন সরকার স্পিকার থাকাকালে ২০০৬ সালের ১৪-২০ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য যান। চিকিৎসা শেষে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকার বিল জমা দেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়াই প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার যোগসাজশে (ভাউচার নম্বর ৪৮৬৯) অবৈধভাবে অর্থ অনুমোদন ও উত্তোলন করেন। দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় ৪৮ নম্বর মামলার বিবরণীতে বলা হয়, বিএনপির সাবেক চিফ হুইপ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ও সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার পরস্পর যোগযাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে সরবরাহ করা ৬ লাখ ৯ হাজার ৬৬২ টাকার আসবাব ও মালপত্র আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করা হয়। তবে বিএনপির সাবেক চিফ হুইপ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

ওই একই ধারায় ৪৭ নম্বর মামলার বিবরণীতে বলা হয়, সাবেক স্পিকার জমিরউদ্দিন সরকার ও সাবেক প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আশরাফ-উল-ইসলাম ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বৈদেশিক চিকিত্সা ব্যয় বাবদ ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকার বিল অনুমোদন ও উত্তোলন করেছেন। ৫১ নম্বর মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী ও সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে বৈদেশিক চিকিত্সা ব্যয় বাবদ ১ লাখ ২১ হাজার ৭০৩ টাকার বিল অনুমোদন ও উত্তোলন করে অবৈধভাবে লাভবান হয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সরকারি দলের চিফ হুইপের দুর্নীতি খুঁজতে বর্তমান সরকার ২০০৯ সালের ১৯ মার্চ সরকারদলীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলে রাববী মিয়াকে প্রধান করে ১১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ কমিটি সাবেক স্পিকার জমিরউদ্দিন সরকার, সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী এবং প্রয়াত সাবেক চিফ হুইপ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা দুর্নীতির তথ্য পায়। এর মধ্যে রয়েছে অবৈধভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, বিদেশ ভ্রমণের নামে টিএ বিল উত্তোলন, সংসদ থেকে বাজার খরচ, অননুমোদিত মেডিকেল বিল উত্তোলন, বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল উত্তোলন, সরকারি আসবাবপত্র যেমন টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি ফেরত না দিয়ে নিজেদের দখলে নেওয়া এবং বিভিন্ন খাতের সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম।

সাবেক মেয়র খোকার বিরুদ্ধে চার্জশিট রাষ্ট্রের মোট ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৩৯৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাদেক হোসেন খোকাসহ চারজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগত্রে অপর আসামিরা হলেন বনানীর ঢাকা সিটি করপোরেশন সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল বাতেন নকিব, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান আজাদ ও পার্কিং স্থানের ব্যবস্থাপক এ এইচ এম তারেক। গতকাল অভিযোগপত্র ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে জমা দেওয়া হয়। মোট ৩৭ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম। পরে এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় উপ-পরিচালক নূর হোসেন খানকে। তিনি তদন্তে ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৩৯৯ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পান।

 ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।