মানুষের চরিত্র বড়ই জটিল আর জটিল চরিত্রের মানুষকে নিয়ে কিছু লেখা আরো জটিল। হীরে, মানিক নয়, আমার একটি মোটর সাইকেল চাই। আমার বয়স যখন পনের তখন একবার একটি মোটর সাইকেলের জন্য ভীষন মন খারাপ হয়েছিল। চার কি ছয় রাত ভাল ঘোম হয়নি আমার, মাথাটাও ধরেছিল হয়ত ঠিক মনে নেই। একা একা আধার রাতে বালিশে মুখ গোঁজে অনেক কেঁদেছিলাম।
মাকে ব্যাপারটি বলেছিলাম, মা কোন জবাব দেননি আর আব্বাকে বলার সাহস হয়নি। বললেও সমাধান হয়ত পেতাম না। আমাদের বাসার পাশের বাসার এক ছেলে, বয়সে আমার চেয়ে এক বছরের ছোট হবে কিন্তু তার আব্বা তাকে মোটর সাইকেল কিনে দিয়েছেন। অবশ্য মোটর সাইকেলের জন্য সেই ছেলে তার মায়ের সাথে মারাত্মক রকমের বেয়াদবি করেছিল। আমি যেটা কখনোই পারতামনা।
কিছুদিন পরের কথা, মোটর সাইকেলের কথা ততদিনে কিছুটা হলেও ভুলতে পেরেছি। হঠাৎ মনে হল আমার একটা সিডি প্লেয়ার চাই। একটা সিডি প্লেয়ার তখন আমার কাছে মারাত্মক লোভনীয় বস্তু হয়ে দাড়িয়েছিল। মা বাবার কাছে চাওয়া ছারা কোনকিছুই তখন পাওয়া সম্ভব ছিলনা তাই সিডি প্লেয়ারও সেদিন পাওয়া হয়নি। কিন্তু মোটর সাইকেলের কথাটা ভুলতে পেরেছিলাম।
মানুষের চাওয়া আর পাওয়ার মাঝে কতটা দূরত্ব তখন বুঝিনি। এখন মনে হয় চাওয়া পাওয়া অনেকটা রেল লাইনের মতই সমান্তরাল।
বাকীটুকু অন্যদিনের জন্য তোলা রইল --------।
সময়ের সাথে সাথে আমার চাওয়াগুলোও ডানা মেলতে থাকল আর পাওয়াগুলো এক জায়গাতেই স্থবির হয়ে রইল। তবে এবার সামন্য একটা লন্ড্রি (কাপড় ইস্ত্রি করার মেশিন) পাবার ইচ্ছা হল।
এবার কিন্তু আমার ইচ্ছাটা পূরন করতে পারলাম। টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে একটা লন্ড্রি মেশিন কিনে ফেললাম। এতে মা বাবাও খুশি হলেন আর আমিও ইচ্ছা পূরনের দূর্বার আনন্দ পেলাম।
এবার আসোন খবরের পিছনের খবর বলি। আমার এইসব চাওয়ার পেছনে যাদের অবদান তাদের কথা বলি।
আজ আর ভাল লাগছেনা থাক ---------। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।