আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্যাটরিনা এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে

দেখা যত ছবি, শোনা যত শব্দ, হৃদয়ের সব উপলব্ধি, আর যত এলোমেলো ভাবনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা প্রবেশপত্রে ক্যাটরিনার ছবি! চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি-ইচ্ছুক কিছু শিক্ষার্থী পড়েছেন বিপাকে। কারণ, প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে দেখেন সেখানে নিজদের ছবির স্থলে রয়েছে বলিউড নায়ক-নায়িকাসহ ক্রিকেট তারকাদের ছবি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ই’ ইউনিটের (আইন অনুষদ) সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে মুঠোফোন কোম্পানি টেলিটকের মাধ্যমে আবেদন করেন মোহাম্মদ আলী হাসান। সঠিকভাবে আবেদন করলেও ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। ডাউনলোড শেষে হাতে পান প্রবেশপত্র।

কিন্তু তাঁর ছবির জায়গায় রয়েছে বলিউডের তারকা ক্যাটরিনা কাইফের ছবি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মডেলদের ছবিসহ ওই সব প্রবেশপত্র দিয়েই পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ১১ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। মোহাম্মদ আলী হাসানের মতো এমনই বিপদে পড়েছেন আরও আটটি ইউনিটের একাধিক পরীক্ষার্থী। এর সঠিক পরিসংখ্যান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে নেই।

এ পরিস্থিতিতে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে কর্তৃপক্ষ এ জন্য শিক্ষার্থীদের দায়ী করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, প্রবেশপত্র সংগ্রহের ক্ষেত্রে কারিগরি ব্যবস্থায় পর্যাপ্ত গোপনীয়তা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর বদলে ভারতীয় হিন্দি ছবির মডেল ও ক্রিকেট তারকাদের ছবি কে বা কারা আপলোড করে দিয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কোচিং সেন্টার ও মিডিয়ার মাধ্যমে আবেদন করে থাকে। ফলে তাদের সব তথ্য ওই সব কোচিং সেন্টার ও মিডিয়ার কাছে সংরক্ষিত ছিল।

’ তারাই এ ধরনের কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন উপাচার্য। তা দাবি করলেও লজ্জাটা আসলে কাদের? এটা কি আমাদের প্রযুক্তিগত দুর্বলতা আর নিয়ন্ত্রণের অমনোযোগিতাকেই সামনে আনল না? ঐ শিক্ষার্থীদের নিশ্চয় এমনটা পাওনা ছিলনা। তবে ভুল তারাও করেছে অন্নের উপর নির্ভর করে। নিজে করলে যে এমনটা হতনা সেটাও নিজ অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি। তবে যাই হোক আমরা ডিজিটাল হবার পথে যাত্রা শুরু করেছি, ভুল ত্রুটি স্বাভাবিক।

প্রত্যাশা করি এ থেকে যথাযথ সমাধানের রাস্তাটা আমরা বের করতে পারব। প্রোগ্রামের ফাঁকগুলো বন্ধ করা যাবে, থাকবে সজাগ নিয়ন্ত্রণ। আমরা আর কোন ছাত্র ছাত্রীর প্রবেশ পত্রে এই গ্লামারের ঝলকানি দেখতে চাইনা।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।