সামহোয়ার কে ধন্যবাদ এক পাহাড়ি এলাকায় দু বন্ধু থাকতো, একজন এক ফোটা পানি এবং অন্য জন একটি ছোট বালির কনা। দুজন খুব ভাল বন্ধু হবার কারনে পানির ফোটা বালুর কনাকে বোঝালো সাগর অনেক বড় এবং ঠিক করলো দু জন বর্ষার সময় সাগর দেখতে যাবে, এছাড়াও ওখানে কী আছে জানা দরকার বালুর।
পানির ফোটা তো খুব খুশি যে এতদিন সে বলে আসছিল সাগর অনেক বড় আর খুব আনন্দ করা যায় ওখানে আর এখন তার বন্ধু তার সাথে যাবে।
বর্ষা ঋতু আসার সাথে সাথেই দুজন রওনা হয়ে গেল। যাত্রার সময় বালির কনা খুবই উদগ্রিব হয়ে গেল, তবে পানির ফোটা এর আগেও বহু বার এসেছে সাগরে, এটা তার প্রতি বছরের রুটিনের কাজ ।
দুজন কখনো কাছা কাছি আসে আবার দূরে চলে যায়। আকা-বাকাঁ, উঁচু-নিচু বহু পানির পথ পার হয়ে যাচ্ছে। তো বালির কনা অবাক হচ্ছে নদীতে আসার পর কারন সে এবার তার বহু ভাই বোনকে দেখলো চরের মধ্যে স্থায়ী বাসা বানিয়ে থাকা শুরু করেছে । সে তাদের দিগে এগিয়ে গেল আর বল্লো তার যাত্রা ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে। তো এবার বালুর কনার ভাই বোনেরা তাকে বোঝাতে শুরু করলো সাগরে যাবার দরকার নেই সেখানে তুমি থাকবা সাগরের একেবারে নিচে আর ওখানে শুধু অন্ধকার, তার চেয়ে তুমি আমাদের সাথে থাক।
বালির কনাও ভাবলো - আমার আর যাবার দরকার নাই, এখানেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে ফেলবো। সে পানির ফোটাকে জানিয়ে দিল তার সিদ্ধান্ত।
পানির ফোটা বালির কনাকে বল্লো তুমি এক জনের কথা শুনে যাত্রা থামিয়ে দিলে ? বালু তখন বল্লো আমি সাগরতলের অন্ধকারে থাকবো না । পানির ফোটা বল্লো - যে সাগর দেখেছে তার কথা শোনা উচিত নাকি যে নিজের সম্ভাবনাকে রুখে দেয়, অন্যদের চলার পথে বাধা দান করে তার কথা শোনা উচিৎ ?
বালুর কনা বল্লো - আমার যা করার দরকার ছিল আমি করেছি, যা দেখার ছিল দেখেছি, আর আমি স্বাধীন যা আমার ভাল লাগে তাই করবো।
পানির ফোটা আফসোস করলো তার বন্ধুর জন্য তবে সে তার যাত্রা থামালো না, সে গন্তব্যে পৌছে গেল।
-----------------------------------------
আমরা পানির ফোটার মতো, ঝর্নার মতো সাগরে পৌছে যেতে চাই, জীবনের উদ্দেশ্যকে জানতে ও সফল হতে চাই , আর তাই আমরা কেউ যেন খুচরা শয়তানের পাল্লয় যেন না পরি তার জন্য সতর্ক থাকবো। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।