আমি যে কেনো কাঁদি , জন্মাবধি ! বৃষ্টি-দগ্ধ হয়ে ডুবে থাকি কারো তন্দ্রাহত দৃষ্টির গভীরে ... আমৃত্যু দেখে যাব- এক অন্ধ দোয়েল পাখি কেঁদে যাবে উপগত দৃশ্যের অভ্যন্তরে ; তবু - কেউ এসে যায়নি বলে অন্ধপাখির দুঃখ-গাঁথা ! অরব অপেক্ষায় শুনেছি মাথার ভেতর কেবলই বৃষ্টির শব্দ ঝিরঝির ... ঝিরঝির ! একটি ছিন্নসুতোর ঘুড়ি পলাতক মেঘেদের পিছু নিয়ে পেরিয়ে যায় মহুয়া-বন , সেই মেঘ ছুঁতেই - আমাকে টেনে নিয়েছিলো এক শাদা গহ্বর ! বহুকাল ভেসে এসেছিলো শব্দ-বুনট ঝর্নাজলের গান অথবা চোখের ভাঁজে ঝরে পরেছিল সান্ধ্য হাওয়ার সারি ... সে এক তীব্র স্মৃতি-নাশী ঘোর , ওসমান্থাসের ঘ্রাণ বুকে নিয়ে - অন্ধকারে ঘুমিয়ে ছিলাম সহস্র বছর । দেখেছি গভীর সুদূর – সাতটি সুরঙ্গ চলে গ্যাছে হলুদ অরণ্যের দেশে , একটি সুরঙ্গ আমার ; নেমে গ্যাছে ম্রিয়মাণ গুল্মের মত , নতমুখে যতদূর চোখ যায় – এলোমেলো বালিয়াড়ি-জুড়ে অনিঃশেষ দৃষ্টিশকট । ফিরে এসে আবার ঘুমিয়ে যাই ! আমার চারপাশে অজস্র পাখি কেবলই - ডেকে যায়... ডেকে যায়... ভাবি এত পাখি কোথা থেকো এলো অথবা ঘর কেন ভরে গ্যালো আলোয় ? হলুদ পালকেরা নৈবদ্য সাজায় ; জানি - আরেকটা জীবন যাবে পাখিদের সাথে চলে মৃত ফুল শীতল রাত ভেসে যাবে বৃষ্টির জলে ...... **
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।