আত্মহত্যা বর্তমানে অত্যন্ত সহজ একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন একটু শিরোনাম দেখলে বা পত্রিকা খুললেই দেখা যায় আত্মহত্যার খবর। গৃহবধূর আত্মহত্যা ,কাজের লোকের,দিনমজুরের ছাত্রছাত্রী।
এবার আসল কথা একজন ছাত্র বা ছাত্রি এই পথ বেছে নেয় আমার দেখা মূলত কয়েকটা কারনে,যেমন
১। পরিক্ষায় খারাপ ফলাফল
২।
বাসায় কলহের সূত্রপাত ধরে
৩। নেশাগ্রস্থ হলে অনেক সময় মানসিক চাপে পড়ে বা মাদক এর টাকা যোগাড় করতে না পারলে।
৪। প্রেমে ব্যর্থ হলে
হ্যা ৪ নাম্বার পয়েন্ট আবার পরুন,প্রেমে ব্যর্থ হলে। একজন ছাত্র বা ছাত্রীর মূলত আমার দেখা এই কারনেই সবথেকে বেশি আত্মহত্যা করে।
পত্রিকা বা আশে পাশের কোন আত্মহত্যার খবর পেলে এই কারণ টাই কানে আসে।
একজন স্টুডেন্ট এর বয়স কত যে এই কারণে এত কম বয়সে নিজের জীবন টা শেষ করে দিতে হবে???এর কারণ মনের তীব্র আবেগ।
প্রেম ঘটিত কারণে যারা আত্মহত্যা করে তাদের আবেগের বহিঃ প্রকাশ টা আমি শুনেছি আত্মহত্যা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন এমন একজন এর কাছ থেকে।
তার ভাষায় একজন প্রেমিক যখন তার প্রেমিকার থেকে কোন কারণে সাময়িকভাবে বিতাড়িত হয় বা পাত্তা পায় না। তখন সেই প্রেমিক এর মনে বাংলা ছায়াছবি চলতে থাকে।
সংলাপ হল "ঠিক আছে আমাকে যখন পরোয়া করো না,আমাকে এত কষ্ট দাও আমি ও তোমাকে কষ্ট দেব।
এবং এই কষ্ট দাওয়ার তরিকা বা প্রতিশোধ নাওয়ার উপায় নিজের জীবন শেষ করা। বলা যায় নিজের নাক কেটে অন্যর যাত্রা ভঙ্গ করা। আরে বাপু তুমি মারা গেলে তো দেখতে পারতাস না যে তোমার প্রেমিক প্রেমিকা কষ্ট পায় না কি পায়। দেখা গেল তুমি যখন আত্মহত্যা করলে তখন সে বন্ধুদের সাথে ওয়াটার ওয়ার্ল্ড বা ডিজে পার্টি তে ব্যস্ত।
পরে যখন খবর পাবে তখন কয়দিন আর মন খারাপ থাকবে বা কাঁদবে????নতুন কাউকে পেলে হয়ত মাঝে মধ্যে দীর্ঘশ্বাস ফেলবে আর দুই মিনিট এর জন্য ভাববে কিন্তু পরক্ষনে সঙ্গীর বাহুবন্দি হলেই সব ভুলে যাবে।
বরং যে কারণে ছেড়ে দিতে চাচ্ছে সেটা শুধরান।
সেটা শুধরানোর পর আপনার সাবেক সঙ্গি/সঙ্গিনি আপনাকে অন্য কারও সাথে দেখবে তখন তাদের ঈর্ষায় জ্বলে পুড়ে ধীরে ধীরে তড়পানো টা দেখার মত মজার দৃশ্য খুব কম ই আছে,সৌভাগ্যর বিষয় সেটা আপনি আত্মহত্যা না করলে দেখতে পারবেন এবং তীব্র প্রতিশোধ নাওয়ার মজা টা পাবেন।
সবশেষে হেমিংওয়ের বিখ্যাত বানী
যে কারনের জন্য তুমি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছ সেটা কেটে গেলে দেখবে জীবনটা অনেক সুন্দর।
আত্মহত্যা করার সাহস থাকলে আপনি দুর্দান্ত সাহসী এই সাহস টা ভাল কোন কাজে লাগান,সম্মান আর সাফল্যর দেখা না পাইলে আমারে ধইরেন।
****এই ব্যাপার টা নিয়া আমি এত বিশদ লেখতাম না বা আমার টনক নড়ত না যদি না আজকে দুপুরে আমার এক বন্ধু আত্মহত্যা না করত।
আমার বন্ধুটার জন্য দোয়া করবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।