আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিনি (???!!!) দূর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচালেন যেভাবে. . . . . . . (ভৌতিক) ২য় পর্ব

কবরস্থান ক্রস করছি ঠিক এমন সময় কোন কারন ছাড়াই গাড়ীর হেডলাইট অফ হয়ে গেল । কথায় আছে যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত হয় । আমার ক্ষেত্রেও তাই ঘটলো । চলন্ত গাড়ীর এভাবে হেডলাইট অফ হওয়াতে আমি নিজের উপর আস্থা হারালাম । ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকার চারিদিকে ।

কিছুই বুঝার উপায় নেই । মাত্র ১ হাত দূরেও কিছু দেখা যাচ্ছেনা । আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় । প্রচন্ড ভয়ের পাশাপাশি জীবনের প্রথম এক্সিডেন্ট করতে যাচ্ছি তাও আবার জনমানবহীন এক ভুতুড়ে যায়গায় । এখানে এক্সিডেন্ট করে আহত হয়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় সারারাত পড়ে থাকলেও উদ্ধার করার কাউকে পাওয়া যাবেনা ।

এমতাবস্তায় একজন ড্রাইভারের যা করনীয় ছিল আমিও ঠিক তাই করলাম । দ্রুত কড়া ব্রেক করলাম । এত স্পীডের গাড়ী ব্রেক করতে করতে খানিকটা পথ চলে গেল । ঠাস করে একটা শব্দ হলো আর একটা ঝাকুনি দিয়ে সাথে সাথেই গাড়ীর স্টার্ট বন্ধ হলো । একটা মেহগনি গাছের সাথে আচমকা ধাক্কা খেয়ে থেমে গেলাম ।

নাহ্ পড়ে যাইনি । গাড়ীর উপরেই আছি । আমি নিজেকে পাঁকা রাস্তা ও সাইডের কাঁচা যায়গা পার হয়ে মেহগনি গাছের গোড়ায় আবিস্কার করলাম রাস্তার একদম ঢালু কিনারে । হাত, পা, শরীর থরথর করে কাঁপতে লাগলো । সব যেন অবশ হয়ে গেছে ।

কোন দিকে তাকাতেও পারছিনা ভয়ে । তবুও বাঁচার আশা ছিল মনে । এমন যায়গায় বেশিক্ষন থাকাটাও নিরাপদ না ভেবে দ্রুত গাড়ী নিউটাল করলাম । গাড়ী থেকে নেমে ওটাকে ঠেলে পাকায় তুললাম । এরপর কোন দিকে না তাকিয়ে তড়িঘড়ি করে গাড়ীতে উঠে বসলাম ।

ভেবেছিলাম গাড়ী হয়তো স্টার্ট হবে না । কিন্তু কি আশ্চর্য্য প্রথম চেষ্টায় সফল । মানে গাড়ী স্টার্ট হয়েছে আর হেডলাইটও জ্বলছে । তারমানে হেডলাইট নষ্ট হয়নি ? তাহলে হঠাত্‍ এরকম হেডলাইট অফ হলো কেন ? এসব নিয়ে চিন্তা করার সময় নেই । আলো জ্বলায় খুশিতে মনটা নেচে উঠলো ।

আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানালাম । তিনি আমাকে তার কুদরতি ক্ষমতায় এতবড় একটা দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা করেছেন । হয়তঃ আপনাদের মাঝে ফিরে আসবো বলে প্রাণে বেঁচে আছি । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।