আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি আর আমার রুনা। (১ম পাট) সত্যিকারের ঘঠনা।

বোরহান উদ্দিন আহমেদ (মাসুম) আমি আর আমার রুনা (১ম পাট) ২০০৯ সালের মে মাসের শেষের দিকে একদিন রাত ১০ টায় ফেইস বুক টা ওপেন করেই, দুইটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দেখলাম। একটা পরিচিত মনে হল। আর একটা অপরিচিত। আমি ফ্রেন্ড রিঃকু একসেপ্ট করার আগে অবশ্যই চেক করে নেই কে রিঃকু পাঠালেন। এবার ও তাই করলাম প্রোফাইল দেখে একজন কে চিনতে পারলাম, আর একজনকে চিনতে পারলাম না।

যাকে চিনলাম না ওনি একজন মেয়ে, নামটা অনেক সুন্দর মনে হল। নামের শেষে আবার খান ও আছে। অপরিচিত কারো রিকুয়েস্ট আমি রিসিভ করি না, কারন ফেইক আইডি তে ভরে গেছে ফেইস বুক ঐ দিন নিউজে ও দেখলাম বাংলাদেশের ফেইক ফেইসবুক আই ডি নাকি ত্রিশ লাখের উপরে। যাইহোক প্রোফাইল দেখে এই ধারণায় উপনীত হলাম-এ আই ডি টা ফেইক নাও হতে পারে। মুচাল ফ্রেন্ড দুইজন দেখলাম যে দুইজন কে আমি খুব ভাল ভাবে চিনতাম।

অবশেষে একটু ভয় নিয়েই রিসিভ করলাম, ভয় কেন আবার এটাই তো চিন্তা করছেন তাই না, এই টা আবার আর এক কাহিনী। প্রথম প্রথম ফেইস বুক যখন ইউজ করি তখন একদিন বসের সামনেই ফেইসবুক ওপেন করলাম অফিসে, কোম্পানির একটা পুরাতন কোটেশন ফেইসবুক থেকে ডাউনলোড করব বলে। FB টা ওপেন করার সাথে সাথে আমার ত হার্ড ফেইল হবার উপক্রম। অপরিচিত কোন বদমাইশ ইউজার ওড়াল সেক্স এর ফটোতে ট্যাগ করে রাখছে তাও আবার পাঁচ দশ মিঃ আগে। বুঝতেই পারছেন।

আমার পরিবর্তে আপনি হলে কি হত। যে লোক টা আমাকে একটা গুড স্টুডেন্টের মত মনে করে, আর আমি যাকে একজন উচ্চমনের শিক্ষক মনে করি তার সামনে এমন একটা দৃশ্য আমাকে দেখেতে হবে, তাও আবার ফেইস বুকে আমি কোন দিন ও চিন্তাও করিনাই। এর পর থেকে ফেইসবুকে ঢুকতে আগেই চিন্তা করি যে আশে পাশে কেউ আছে কি না। কেউ না থাকলেই লগ ইন করি। যে মেয়েটার রিকুঃ আমি রিসিভ করেছিলাম।

আজকে হটাত দেখি চ্যাটে হায়, বল্ল এক কথায় দু কথায় পরিচয় পর্ব শেষ করেই, ও আমার মোবাইল নাম্বার চাইল। আমি চিন্তা করলাম ছেলেরা মেয়েদের কাছে মোবাইল নং চায়, আমি চাইতে পারি ওর কাছে কিন্তু ও কিভাবে মোবাইল নং চাইল? জিজ্ঞাসিলাম বাসায় কে কে আছে তোমার সে বল্ল, আমি একা থাকি। একা মানে বাবা, মা, ভাই, বোন কেউ নাই তোমার। ? আমার মায়ের ক্যান্সার ছিল অনেক চিকিৎসার পর ও মা কে পৃথিবীতে রাখতে পারেন নাই আমার বাবা। মা চলে যাবার দুই বছরের মাথায় একদিন বাবা ও হার্ড এটাকে আমদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন মায়ের কাছে না ফেরার দেশে।

তিন ভাই চার বোনের মধ্যে আমিই সবার ছোট। মা, বাবা গত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে সয়-সম্পত্তি ভাগা ভাগী হয়ে গেল সব ভাই বোনদের মধ্যে। আমার ভাগে পড়ল এই দুইটি ফ্ল্যাট একটিতে আমি থাকি এখন যে খানে বসে চ্যাট করছি। আর একটি দিয়ে দিলাম রেন্টে। মাসিক আঠারো হাজারে।

দুইটি ফেম্যেলি সুন্দর ভাবে থাকতে পারে ঐ একটি ফ্লাটে। আমি মনে মনে চিন্তা করে বুঝলাম কেন এই মেয়েটা এত সহজে তার মোবাইল নাম্বার আমাকে দিয়ে দিল। আমি ও বিশ্বাস করে দিয়ে দিলাম আমার পার্সোনাল নাম্বার। কত সালে এস,এস,সি পাস করেছো? এই প্রশ্ন করতেই ও আমার উপর ভীষণ ক্ষেপে গেল। ও বুঝতে পেরেছে যে আমি আসলে ওর বয়স জানতে চেয়েছিলাম।

যাইহোক কিছুই বল্ল না, বল্ল তোমার থেকে অন্তত ৫ বছরের ছোট আমি। পাঠক চাইলে .................. চলবে । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।