আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাহ সুজার ডুলা হাজারা থেকে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা জঙ্গী সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ কক্সবাজারের মানচিত্র। কক্সবাজারের যে রামু এই মুহূর্তে ক্ষুব্দ-নিস্তব্দ ২৯ সেপ্টেম্বরের অগ্নিদাহর পর, - রাখাইনরা এককালে সেই রামুর নাম রেখেছিল ‘হলুদ ফুলের গ্রাম’। যে সময়টায় কক্সবাজারের নাম কক্সবাজার হয়নি।

যে সময়টায় কক্সবাজার ছিল আরাকান- এর একটি প্রদেশ ...পাঠ করুন: At that time Ramu (present one of the thana (বর্তমানে উপজেলা) of Cox’s Bazar) was province of Arakan. The Arakanese called Ramu "Panwa", which, in the Arakanese dialect means"the village of Yellow flower".( দেখুন http://www.ebbd.info/origin-of-rakhaing.html) তো, কারা এই রাখাইন? আরাকানই- বা কোথায়? দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্রে আরাকান এর অবস্থান রামুর পূর্ব দিকে বান্দরবান, দক্ষিণে উখিয়া; এই উখিয়ার পূর্ব দিকে ছিল আরাকান-যা পরবর্তী সময়ে বর্মিজাতি গ্রাস করে নিয়েছিল! এককালে ঐ আরাকানেই ছিল রাখাইন জাতির বাস। আরাকান রাজ্য পরবর্তীকালে কক্সবাজারে বাকখালি নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে সম্প্রসারিত হয়েছিল। পশ্চিমে কক্সবাজার ছাড়াও আরাকান রাজ্যের উত্তরে ভারত, পূর্বে বার্মা, দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর। প্রত্নপ্রস্তর যুগে উক্ত অঞ্চলে রাকসা গোত্রের মানুষ প্রথম বসতি স্থাপন করেছিল-পুরাতাত্ত্বিকদের এই অভিমত। ওই ‘রাকসা’ শব্দটিই কালক্রমে পরিবর্তিত হয়ে হল: ‘রাকখা’।

‘রাকখা’ শব্দ হতেই পরবর্তীতে 'রাখাইন' শব্দটি উদ্ভূত। রাখাইন শব্দটি সংস্কৃতভাষায় ‘রক্ষাপুর’ এবং পরবর্তীকালে ‘রাক্ষসপুরী’! খ্রিস্টপূর্ব সময়ে আরাকানে ধান্যবতী (ধান্য বা ধান দ্বারা আর্শীবাদ পুষ্ঠ) নামে রাখাইনদের একটি রাজ্য গড়ে উঠেছিল, যে রাজ্যটির আয়তন ছিল ২১,৬৯৪ বর্গমাইল। এই আরাকান রাজ্যের সঙ্গেই এক মুগল যুবরাজের শেষ জীবনের দুঃসহ বেদনাদায়ক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। তিনি হলেন শাহ সুজা। শাহ সুজা (১৬১৬-১৬৬০ খ্রিস্টাব্দ) মুগল সম্রাট শাজজাহান (১৫৯২-১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দ) অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাঁর ছেলেরা ক্ষমতার লোভে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ।

সম্রাটের মেজ ছেলে শাহ সুজা রাজমুকুট পরে রাজকীয় উপাধি গ্রহন করেন। অবশ্য সুজা প্রথমে যুবরাজ দারাশুকোর কাছে পরাজিত হন; এরপর ১৬৫৮ সালে যুবরাজ আরঙ্গজেবের কাছেও পরাজিত হন। সুজা বাংলায় চলে এলেও শেষ রক্ষা হয়নি। বাংলার সুবেদার মির জুমলা তাঁকে সসৈন্য অনুসরণ করেন। সুজা ২ বছর পর তাঁর কাছে পরাজিত হন।

ফলে পরাজিত হতাশ সুজার আরাকান চলে যাওয়া ছাড়া অন্য উপায় ছিল না। সুজা প্রথমে ঢাকা এবং পরে নৌযোগে নোয়াখালি হয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছলেন। সুজা কক্সবাজার হয়ে যে পথে আরাকান গিয়েছিলে সে সড়কটি "শাহ সুজা সড়ক" নামে আজও পরিচিত। সুজা কক্সবাজারের নির্জন সৈকত আর অনুচ্চ পাহাড় শ্রেণি দেখে মুগ্ধ হন। আর যে জায়গায় তিনি ঈদের নামাজ পরেছিলেন সে জায়গাটি পরে ডুলাহাজরা নামে পরিচিত হয়।

Thousand palanquins (carriers) carried the harem ladies and Shuja prayed Eid prayer at a place Edgoung (Eidgah) in Dulahzara which is still in Chittagong on the way to Arakan. ( উইকিপিডিয়া) সুজার বহরে ছিল হাজার ‘পালকি’ বা ‘ডুলা’। এই কারণে কক্সবাজারের সঙ্গে ‘ডুলা হাজরা’ শব্দটি জড়িত । কক্সবাজারের নাম কক্সবাজার হওয়ার আগে এর নাম ছিল ‘পালঙ্কি’। This name ‘Palonki’ is closely related with the Mughal history. Mughal Prince Shah Shuja was passing through this area with his companions as well as troops. While passing this locality, Shuja was attracted to the scenic and captivating beauty of the place. He commanded his forces to camp there as the entire convoy halted into this place. The entire convoy contained with thousands of ‘palki’/'palonki’s which were halted and kept after camping in that aria.This break of Shah Shuja’s ‘palonki’ convoy has led this areas name to be ‘Palonki’. Another local expression of ‘palonki’ is ‘dula’. Thousands of ‘palonki’s were kept at once which was sounded as “Hazar Dula” or, “Dula Hazra” (means, Thousands of Palonkis). Following this, an area near Cox’sbazar called ‘Dulahazra’, kept this story into its name সুজা কক্সবাজারে মঙ্গোলয়েড চেহারার যাদের দেখেছিলেন তারা ছিল রাখাইন। কেননা, সুজার হাজার ‘পালকি’ বা ‘ডুলা’র বহর যেখানে যে বছরে থেমেছিল (১৬৬০ খ্রিস্টাব্দ ) তারও প্রায় ২৫ বছর আগে অর্থাৎ ১৬৩৩ খ্রিস্টাব্দে এক রাখাইন যুবরাজ সেখানে একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

Today’s Cox’sbazar was named “Palonki” before it became Cox’sbazar. If we converge to a little 5/7 km south from Cox’sbazar town, there are some villages into that area and the entire locality over there is largely known as “Kolatoli” these days. Palonki was basically situated into that locality, where most of the residents where people from a tribe called “Rakhain”. ['Burmese Market' is very well known as a respective part of Cox'sbazar tourism for many decades. Most of here's merchants & their employees are basically from this 'Rakhain' tribe]. তখন বলেছি যে আরাকান রাজ্যের পূর্বে বার্মা; ঐতিহাসিক কালে দেখতে পাই বর্মী শাসক আরাকান গ্রাস করতে সামরিক অভিযান পরিচলনা করছেন। ১৭৮৪ সালে সাম্রাজ্যবাদী বর্মি শাসক বোধপায়া ২১,৬৯৪ বর্গমাইলের আরাকান রাজ্যটি ভেঙেয়া দু-টুকরো করে ফেললেন, এতে রাখাইনদের ভাগে জুটল মাত্র ১৮,৫০০ বর্গমাইল! ১৬৩৩ খ্রিস্টাব্দে আরাকানরাজ থিরি থুদাম্মা এক মন্ত্রী কর্তৃক নিহত হলেন । এতে আরাকান রাজ্যে নিদারুণ বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সে সময় আরাকানের রাজধানী ছিল ম্রউক- উ। আরাকান যুবরাজ নাগ- থুনকিনে ছিলেন শান্তিপ্রিয় মানুষ।

তিনি অরাজকতা এড়াতে আরাকান পরিত্যাগ করে পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে ‘বাকলি’ (কক্সবাজারের বাকখালি নদী! মানচিত্র দেখুন। ) বাকখালি নদীর তীরে এলেন; এবং সেই নদীর পাশের একটি টিলার পাদদেশে আশ্রয় নিলেন। তারপর সেখানে আরাকান যুবরাজ ‘আয়ুঙ কিয়ে সা’ নামে একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠা করলেন। রাখাইন ভাষায় এর অর্থ ‘শান্তির গ্রাম’। এর ২৫ বছর পর হাজার ‘পালকি’ বা ‘ডুলা’সহ মুগল যুবরাজ শাহ সুজার বহর এই শান্তির গ্রামের কাছাকাছি থেমেছিল ... অস্টাদশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিদ্রোহ আর ক্ষমতার লড়াইয়ের জেরে আরাকানের রাজনৈতিক অবস্থার চরণ অবনতি হতে লাগল।

সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠল। ১৭৮৪ সনে বার্মিজ রাজা বোদপায়া আরাকানের সর্বশেষ রাজা থামাদা কে সিংহাসন থেকে উৎখাত করেন । এরপর থেকে আরাকান বার্মার একটি প্রদেশে পরিনত হয়। বার্মিজ বৌদ্ধ সৈন্যরা বৌদ্ধ আরাকানিদের উপর নিপীড়ন অব্যাহত রাখে। তারা, অর্থাৎ, আরাকানিরা ‘বাকলি’ নদীর পার্শে¦ আরাকান যুবরাজ নাগ- থুনকিনে প্রতিষ্ঠিত ‘আয়ুঙ কিয়ে সা’ গ্রামে চলে যেতে বাধ্য হয়।

স্থানটি তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এখতিয়াভূক্ত ছিল। আরাকানিরা বলল, ‘আমরা আর আরাকানে ফিরে যাব না। ‘সো, ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এনট্রাস্টেড ক্যাপটেন হিরাম কক্স উইদ অনরাস রেসপনসিবিলিটি অভ রিহ্যাবিলিটেটিং দেম ইন দ্যাট এরিয়া’। ( দেখুন http://www.ebbd.info/origin-of-rakhaing.html) এই ঐতিহাসিক বিষয়টি সর্ম্পকে রাখাইন মাতৃভাষায় ভাষ্য এইরূপ: কক্সবাজারে রাখাইন জাতি পয়লা আহেসিলা ১৭৯৭ সালে। কাদাহার দেশ মিয়ানমারেত্ত।

জাতিগত বিদ্বেষর শিকার অয়া তানু মিয়ানমারার আরাকান প্রদেমেকত্ত কক্সবাজারে আহানির পিসে তৎকালীন বৃটিশ ক্যাপ্টেইন হিরাম কক্স তানুরে এহাতে পুনর্বাসিত করেছিল। সময় আহাৎ এপেই বাজার অহানউ হঙ করেসিলা। সময় অহত্ত পর্যটন নগরী এহার নাঙহান কক্সবাজার বুলিয়া ফঙইল। এতার আগে কক্সবাজাররে ‘প্যানোয়া’ বা ‘পালংক্যি’ বুলিয়া মাতলা। রাখাইন ইতিহাসবিদর র মতে খ্রিস্টপূর্ব ৩৩২৫ সালে আরাকানর রাজা মারাইয়্যা রাখাইন জনগোষ্ঠীর জনকগো।

রাখাইন এতা ধর্মীয়ভাবে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী। তবে তানুর নিজর কৃষ্টি-কালচার আছে। এতারমা উল্লেখযোগতা অইতা সাং গ্রেং পোয়ে বা নববর্ষ উৎসব ... (দেখুন: Click This Link) ক্যাপটেন হিরাম কক্স এক আপতৎকালীন সময়ে ‘পালঙ্কি’ তে আবির্ভূত হয়েছিলেন। অধ্যাপক এন. এম. হাবিব লিখেছেন, ‘কিছুটা মানবিক কারণ এবং প্রধানত সর্বদক্ষিণের পতিত পাহাড়ি অঞ্চলকে আবাদ করার জন্যে আরাকান থেকে আগত বিপুলসংখ্যক শরণার্থীদের পুনর্বাসনের জন্যে ১৭৯৮ খৃঃ মতান্তরে ১৭৯৯ খৃঃ জুন মাসে ক্যাপটেন হিরাম কক্সকে জাভা থেকে এনে পাঠানো হয় এই অঞ্চলে। ’(রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস; পৃষ্ঠা,২৩) কক্সবাজারের বার্মিজ মার্কেট।

ক্যাপটেন হিরাম কক্স বাকখালি নদীর তীরে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করেন; এতে বিপন্ন রাখাইনদের নানাবিধ অর্থনৈতিক সুবিধা হয়। উল্লেখ্য, ক্যাপ্টেইন হিরাম কক্স- এর নামেই সৈকত নগরী ‘কক্সবাজার’ নাম হয়েছে। ক্যাপটেন হিরাম কক্স কে বাখখালি নদীর তীরে সমাধিস্থ করা হয়েছিল...যে সমাধিটি পরে শনাক্ত করা যায়নি। ইতিহাসে এই বিচিত্র প্রেক্ষাপটেই কক্সবাজার-আরাকান সীমান্তটি ক্রমশ আরেকটি জাতির ভাগ্যের নির্ধারক মঞ্চ হয়ে উঠছিল। রোহিঙ্গা জাতি ... সপ্তম শতকে কিংবা তারও আগে আরব নৌযান চট্টগ্রামের উপকূলে ভিড়েছিল।

ওই সময়েই আরব নৌযান আরাকান রাজ্যের পশ্চিম উপকূলেও ভিড়েছিল। সুতরাং, সপ্তম-অষ্টম শতকের দিকে কক্সবাজার সীমান্তসংলগ্ন আরাকান রাজ্যে মধ্যপ্রাচ্যীয় মুসলমান এবং স্থানীয় আরাকানি মিশ্রণে জাতির উন্মেষ হচ্ছিল। যে জাতিটি পরবর্তীকালে রোহিঙ্গা নামে পরিচিত। যাদের সর্ম্পকে বলা হয়: They are branded as one of the most persecuted communities in the world by the UN, yet nobody knows their name. They are the forgotten people. Rohingya - The Forgotten People.Documentary: http://www.youtube.com/watch?v=rLlh2WpTqj0 পার্শ্ববর্তী রাজ্য বলেই আরাকানের সঙ্গে চট্টগ্রামের সর্ম্পক ঐতিহাসিক ঘনিষ্ট। অধ্যাপক এন. এম. হাবিব উল্লাহ লিখেছেন: ‘রোঁয়াই, রোয়াং চট্টগ্রামের জনগণের কাছে অত্যন্ত সুপরিচিত।

এককালে চট্টগ্রামের মানুষ ‘রোয়াং’ যেতো অর্থ উপার্জনের জন্য। আরাকানের ‘ম্রোহং’ ছিল রাজধানী শহর। অতএব চট্টগ্রামের মানুষের ‘রোহাং’ গমনের ঐতিহ্য এখান থেকেই সৃষ্টি হয়েছিল বলে আমাদের ধারণা। ’ (রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস। ভূমিকা।

) রোহিঙ্গা শব্দটির উদ্ভব রোহাং হতেই হয়েছিল। একদা ম্রউক- উ ছিল আরাকানের রাজধানী। পরবর্তীকালে এর নাম হয় ‘ম্রোহং'। এই শব্দ থেকেই রোহিঙ্গা শব্দটির উদ্ভব বলে ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ মনে করতেন। সে যা হোক।

ক্রমশ ১৩/১৪ শতকের দিকে চট্টগ্রামের অধিবাসী, রাখাইন, বার্মিজ, বাঙালি, ভারতীয়, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য-এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষদের মিশ্রণে এই মিশ্রজাতি পূর্নাঙ্গ জাতিতে পরিনত হল । রোহিঙ্গারা ধর্মে মুসলিম। পঞ্চদশ হইতে সপ্তদশ শতক অবধি আরাকানে রোহিঙ্গা অধ্যূষিত রাজ্য ছিল তবে ধানবতীতে বোধহয় রাখাইনরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। বর্তমানে রোহিঙ্গরা স্থানীয় বৌদ্ধ রাখাইনদের দাপেটে এক রকম কোণঠাসা হয়েই রাখাইন রাজ্যের উত্তরাংশে মানবেতর জীবনযাপন করছে । সংখ্যায় তারা আরাকান রাজ্যের তিন ভাগের এক ভাগ; সব মিলিয়ে আট লক্ষ।

(সূত্র: Click This Link) ধর্মে মুসলিম হওয়ায় এবং বাংলাদেশ-আরাকানি সীমান্তের কাছাকাছি বাস করায় কুড়ি শতকে রোহিঙ্গাদের একটি আতঙ্ক-জড়ানো হিমশীতল বাক্যের মুখোমুখি হতে হল। Burma for Burmese Only! এবং বিশ্ববাসী দেখল : Persecution of Muslims in Burma! কী নিদারুণ মর্মান্তিক হতে পারে! মহাত্মা গান্ধী বলেছেন,The greatness of a nation can be judged by the way its animals are treated.কিন্তু, বিংশ শতকের আগ্রাসী বার্মা কর্তৃক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিপীড়ন প্রতক্ষ করলে মহাত্মাও লজ্জ্বিত হতেন বৈ কী! কেননা, Burma for Burmese Only এই সংকীর্ণ শ্লোগান তুলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ১৯৭৮ সালে 'Operation Nagamin Sit Sin Yay' (Dragon King) বাস্তবে রূপ দিয়ে যে জাতিগত নিধন আরম্ভ করল তাতে ১,৬৭,০০০আতঙ্কিত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। ওই সময়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ব্যাপক খুন, ধর্ষন করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা মসজিদও ধ্বংস করে। (সূত্র:SAFHR: South Asian Forum for Human Rights) এর পর উদ্বাস্তু রোহিঙ্গারা খুঁজতে থাকে প্রতিশোধের উপায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের মাটিতে গঠিত হয় মিয়ানমারের আরাকানভিত্তিক জঙ্গী সংগঠন আর এস ও বা রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন ... ছবি: ইন্টারনেট।

মানচিত্র :বাংলাপিডিয়া।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।