আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা হয়ত অপদার্থ

মাঝে মাঝে মনে হয়, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশের কুট-পরিকল্পনায় ও নাস্তিক মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর মুসলিমদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের দাবীতে দেশ ভাগ না হলে কি করতাম। যারা আমাকে চেনেন, তারা বুঝবেন, আরো অন্তত ১০০ কোটি মানুষের গঠনমূলক সমালোচনার সুযোগ পেয়ে যেতাম। জিন্নাহ নাস্তিক - এটা উল্লেখ করলাম তার ভন্ডামী বোঝানোর জন্য। নেহেরুর নাস্তিকতা এই কারণে অপ্রাসঙ্গিক। তবুও, তখনকার দেশ-ভাগের অবস্থাটা আসলে আমরা কোনদিনও বুঝতে পারবনা, বুঝবনা নিচু জাত হিসেবে চিহ্নিত হবার মনোবেদনা।

এটাকে আসলে ঠেকানোর কোন উপায় ছিলনা, কুটনামিতে পাকা ব্রিটিশদের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে গিয়েতো নয়ই। আজকে যখন ভারতের কারাগার থেকে আট বছর বিনা বিচারে আটক থাকার পর বাংলাদেশি স্থপতি ও তার পুত্রবধূ মুক্তি পেলেন (খবরটা আমাকে অবাক করে দিয়ে পরাশক্তি ও ভারতের দালাল আলু পত্রিকায় এসেছে), তখন আমার ও নেহেরুর স্বপ্নের ভারতের ছবিটা ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায়। গান্ধিজী কি এই ভারতের জন্য সংগ্রাম করেছিলেন? এইরকম দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রের জন্যইকি লাখো মানুষ শহীদ হয়েছিলেন? রাজবন্দী হয়েছিলেন? নির্বাসিত হয়েছিলেন আন্দামানে? এ কেমন ভারত যেখানে এখনো জাতি-গোত্র পরিচয়ে মানুষের প্রতি রাষ্ট্র হতে তাদের অধিকার প্রাপ্তিতে বাধা দেয়া হয়? ব্রিটিশের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনে আমাদের শহীদদের আত্মত্যাগের এরূপ অবমাননা দেখে কষ্ট হয়। কয়েক বছর আগে কর্মসূত্রে এদেশে আসা কলকাতার এক দাদাবাবুকে বললাম, "দাদা, ভারত যে ১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনার ঘোষণা দিল পরাশক্তিগুলোর কাছ থেকে, ভারতের সবার জন্য মৌলিক অধিকার কি নিশ্চিত হয়ে গেছে? সবার জন্য খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা-চিকিতসার ব্যবস্থা হয়ে গেছে?" দাদা হেসে বললেন, "আমি ফিরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে প্রথমেই এই ব্যাপারটা নিয়ে বসব"। আমরা যারা জাতি-গোত্র-ধর্মের উর্ধে গিয়ে মানুষকে মানুষ হিসেবে বিচার করি, তারা হয়ত অপদার্থ।

নয়ত এখনো আমাদের ভারতবর্ষের এই অবস্থা কেন? প্রাচীণকাল থেকে সমগ্র পৃথিবীতে বিখ্যাত বাংলার (ভারতবর্ষের মাঝেও উজ্জ্বল) এই অবস্থা কেন? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।