আমার লেখা পড়ে.................. আমার বোনের দুই ছেলে । বড়টা আমার বন্ধু । সে আমাকে বন্ধুই ডাকে তার বয়স ৫, আর ছোটটার বয়স ২ । আমি চাইছিলাম ছোটজন আমাকে যেন নাম ধরে ডাকে । বহু চেষ্টা করেও লাভ হয়নি ছোটজন আমাকে ডাকে পন্ধু (বন্ধু উচ্চারণ করতে পারেনা)।
ছোটরা যা দেখে তাই শিখে ।
আইন অনুযায়ী ১৮ বছর পর্যন্ত সকলেই শিশু । শিশুদের দিয়ে কাজ করানো নিষিদ্ধ । কিন্তু আমাদের মত হত দরিদ্র দেশে এই আইন প্রয়োগ করলে অনেক পরিবার হয়তো না খেয়ে থাকবে । কিন্তু এমন কোন আইন কি আছে যার ,মাধ্যমে শিশুদের দিয়ে কোন ভাবেই নিষ্ঠুর কিছু করানো/দেখানো/ভাবানো যাবে না ?
আজ মুসলমানদের পবিত্র ঈদউল আযহা বা কোরবানীর ঈদ ।
প্রতি বছরই দেখি এই দিনে ১০ বছর থেকে শুরু করে ৭০/৮০ বছরের অনেকে বিশাল বিশাল ছুরি নিয়ে হাটেন পশু কোরবানী দেওয়ার জন্য । আমার কথা এই ১০-১৮ বছরের শিশুদের নিয়ে । তাদের হাতের ছুরি তাদের দেহের উচ্চতারও বেশী হবে । এই ভয়ানক ছুরি দিয়ে সে নিজেই আহত হতে পারে, বা বেখেয়ালে আহত করতে পারে অন্যকে ।
বয়স্ক হুজুরের তো অভাব নেই পশু কোরবান তাহলে মাদ্রাসার পরিচালক, শিক্ষকরা কেন এই শিশুর হাতে এমন মরনাস্ত্র তুলে দেন?!!!
তাছাড়া খুব কাছ থেকে জবাই-এর মত একটি ভয়ানক দৃশ্য দেখার পর ও এমন একটি মরনাস্ত্র হাতে নিয়ে ঘুরার ফলে তার মধ্যেকি কোন মানসিক বিকৃতি ঘটার সম্ভবনা নেই ? আমি নিশ্চিত ইসলাম এ ধরনের কর্ম সমর্থণ করেনা ।
ভালোভাবে বোঝার মত বয়স হবার পর কি তাদেরকে পশু কোরবান দেওয়ার শিক্ষা দেওয়া উচিত নয় ?
উচিত নয়কি এই বিশাল ছুরিটি মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে যাতে কোন জঙ্গী মনোভাব তৈরী না হয়, উম্মাদনামুলক কিছু তৈরী না হয় সে মানসিকতা তৈরী করা ? আমরা জানি বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের গায়ে হাত তোলা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ । েএর মুল কারণ যে কোর অসুন্দর থেকে তাদের দূরে রাখা । সেখানে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ভয়ানক মরনাস্ত্র ।
আমরা ক্রমান্বয়ে দেখছি বর্তমানে উগ্র-সামপ্রদায়িক, জঙ্গীগোষ্ঠীর বেশীর ভাগই তরুন, এত অল্প বয়সে তারা কিভাবে এত ক্রুরতা শিখল ? আজ এদের ছবি তুলার সময় নির্জণ স্থানে তাদের বড় হুজুর সম্ভবত আমার মনোভাব টের পেয়ে যান । সাথে সাথে নির্দেশ দেন আমাকে থামানোর ।
৪/৫ জন ১০/১২ বছরের শিশু আমাকে বিশাল লম্বা ছুরি নিয়ে তাড়া করে , তাদের চোখে আমি এক অচিন দৃষ্টি দেখেছি । আজ যদি আমি খুন হতাম তাহলে আমি মনে করি না এ শিশুদের কোন শাস্তি পাওয়ার মত কোন কারণ ঘটত । তারা নির্দোষ ও নিষ্পাপ ।
শিশুদের দিয়ে যাতে কোন মাদ্রাসায় এমন কোন কাজ করানো না হয়, শিশুদের যেন আগামী কোরবানী ঈদের দিন কোন মরণাস্র হাতে ঘুরতে না দেখা যায় এর জন্য কঠোর আইন ও কঠোর মনিটরিং চাই ।
(ব্যবহৃত ছবিটি বাসাবো থেকে আমার তোল)
[আমার সাথে একমত হলে দয়া করে লিখাটি শেয়ার দিন ও অন্য কে শেয়ার দিতে উৎসাহিত করুন]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।