তিন মাস আগেও তিনি ছিলেন ‘পার্টি গার্ল’। উদ্দাম নাচে মাতাতেন নৈশক্লাব। আকণ্ঠ মদ্যপান করে উল্লাস করতেন। যুক্তরাজ্যের নাগরিক এই নারীর নাম হিদার ম্যাথিউস (২৭) এখন বদলে গেছেন। ছেড়েছেন মদ্যপান।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এখন তাঁর সম্পূর্ণ উল্টো চেহারা। হিজাব পরেন। তিনি বলছেন, ‘তাঁর “গা-ভাসানো” জীবনে সব ছিল, শান্তি ছিল না। ইসলাম আমাকে “লালসার নয়, প্রকৃত ভালোবাসার” খোঁজ দিয়েছে। পেয়েছি নতুন এক শান্তির জীবন।
’
‘ডেইলি মেইল’ পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে হিদার জানিয়েছেন, তিনি একজন শিক্ষানবিশ শিক্ষিকা। এল্লাহ (৫) ও হ্যালি (২) নামে তাঁর দুটি মেয়ে আছে। স্বামী জেরোমের সঙ্গে বছর খানেক আগে ছাড়াছাড়ি হয়েছে।
হিদার বলেন, স্বামী জেরোম ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হলে তাঁর সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাধে। জেরোমকে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, ধর্ম একটি অর্থহীন ও বায়বীয় বিষয়।
তর্কে নিজের পক্ষে জোরালো যুক্তি দাঁড় করানোর উদ্দেশ্যে তিনি পবিত্র কোরআন শরিফসহ ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বইপত্র পড়েন। এর মধ্যে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এর পরও তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান। একপর্যায়ে তাঁর মনে হয় ইসলাম সঠিক জীবনবিধান দেয়। কিছুদিন আগে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
হিদার বলেন, হিজাবকে তিনি আত্মসম্মানের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া বিয়ের পর স্বামী ছাড়া অন্য পুরুষের সঙ্গে সংসর্গ অনৈতিক বলেও তিনি মনে করেন। তিনি মনে করেন, শুধু স্বামীর জন্যই স্ত্রীদের বিশ্বস্ততার সঙ্গে নিজের সৌন্দর্য হেফাজত করা উচিত।
হিদার বলেছেন, তিনি ইংরেজি ভাষায় অনূদিত পবিত্র কোরআন পড়ছেন। একই সঙ্গে আরবি ভাষা শেখারও চেষ্টা করছেন।
মদ্যপান ছেড়ে হালাল খাবার খাচ্ছেন। তিনি আরও বলেছেন, বন্ধুদের অনেকেই তাঁকে বলছেন, নতুন ‘খামখেয়ালিপনায়’ তাঁকে পেয়ে বসেছে।
হিদার বলেন, ‘অনেকে ভাবছেন, ইসলাম গ্রহণ করায় আমি মানসিক উত্পীড়নের শিকার হব। কিন্তু আমি জানি, আমি আত্মবিশ্বাসী ও মানসিকভাবে শক্ত একজন স্বাধীন নারী। ’
হিদার জানিয়েছেন, তাঁর এই নতুন জীবনকে সহজভাবে মেনে নিতে পারবেন—এমন একজন খাঁটি মুসলমানকে তিনি বিয়ে করতে চান।
নিজের সন্তানদের ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করবেন না বলেও জানান হিদার ম্যাথিউস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।