"মনের ভেতর মনের ছায়া রেখো আড়াল করে" গতকাল দুপুর দুইটাই বাসা থেকে রওয়ানা দিয়েছি কল্যাণপুরের উদ্দেশ্যে। রাস্তায় বের হওয়ার পরই দেখি একটা নাদুস নুদুস লাল গরু তিড়িং বিড়িং করে লাফাচ্ছে এবং তার সাথে থাকা লোকগুলোর অবস্থাও করুণ, তাকে কিছুতেই সামলাতে পারছে না
আমার গরুটার লাফালাফি দেখে মনে হলো... আরে আমি তো লাল জামা পরেছি! এজন্যই কি গরুটা এদিকে?...গরু, কাক এরা কিন্তু লাল রঙের জামা খুব অপছন্দ করে!!!
এটা মনে হতেই আমি তাড়াতাড়ি করে বাসার ওদিকে চলে গেলাম। আমার বোন সিএনজি ডেকে আমাকে ডাক দিলে আমি বের হলাম। আমার বোন দেখি খুবই মজা পাচ্ছে। যে-ই তাকে ফোন করে, তাকেই সে গল্প করে আমাকে নাকি একটা গরু তাড়া করেছিল!!
অথচ গরু কিন্তু তাড়া করেনি।
আমি আগেই সাবধানতা অবলম্বন করেছিলাম
কল্যাণপুর থেকেই বাস ওঠার কথা ছিল দুপুর ৩.৪৫ এ। যাই হোক… বাস এসে পড়লো তাড়াতাড়ি টাইম মতোই। ঐদিন ঐ পর্যন্ত যেতে তেমন জ্যামে পড়িনি। বাসে ওঠার পর দেখলাম ভয়াবহ জ্যাম। কল্যাণপুর থেকে গাবতলী যেতেই দুইঘণ্টা লেগেছে!
একবার কোরবানী ঈদের সময় আমার এক ভাই আর ভাবী কল্যাণপুর থেকে বাসে উঠেছিল রাত বারোটায়।
তারপরদিন দুপুর তিনটায় তারা আমিনবাজার পর্যন্ত যেতে পেরেছিল!! ঈদের আগেরদিন রাত ১১ টায় তারা খুলনা পৌঁছেছিল! ভাবীর ঐবারই ছিল বিয়ের পর প্রথম ঈদ! পুরাই করুণ অবস্থা হয়ে গেছিল বেচারীর।
গতকালকের জ্যাম দেখে আমার ওদের ঐদিনকার ভোগান্তির কথা মনে পড়ে গেছিল। বেশ ভয় লাগছিল। মনে হচ্ছিল আর পৌঁছাতে পারবো না। তার থেকে বরং ঢাকাতেই থেকে যাই
এর পরপরই বড় বোনের ফোন আসলো।
ভাগ্নে নাকি বারবার জিজ্ঞেস করছে, খালামণিরা কত দূর পর্যন্ত আসলো? তারা এতো দেরী করে কেন? তারা তাড়াতাড়ি আসতে পারে না?
অবশ্য অনেক কষ্টে তারপর রাত দুইটাই পৌঁছাতে পেরেছি। কি পরিমাণ কষ্টটা যে হয়েছিল তাও ভালো পৌঁছাতে পেরেছি!
আজকাল হাতে অফুরন্ত সময় থাকার কারণে ফেইসবুক পড়া খুব বেশি হচ্ছে। মাঝেমাঝে মনটা ভাবে ভরে ওঠে। তখন একটা দুইটা ভাবের স্ট্যাটাস আপনা আপনিই বের হয়। এটাতে তো দোষের কিছু দেখিনা।
কিন্তু আজকাল ফেইসবুকে কোনো স্ট্যাটাস মেরে শান্তি পাই না। এক কাজিন আছে, সে আমাকে একটু্ও শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। আমার স্ট্যাটাসে কে কে কমেন্ট করলো, কেন একটা জিনিস লিখলো এই বিষয়ে সে আমাকে আজকাল খুবই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
সে আমার সাথে এমনভাবে কথা বলে মনেহয় যেন আমি এখনও অনেক ছোট, আর আমি কিছুই বুঝিনা! সে মনেহয় হিসাব করতে ভুলে গেছে! ভুলে গেছে আমার কত বয়স হয়েছে!!
তার যন্ত্রণায় মাঝে আমি ফেইসবুকে আরেকটা এ্যাকাউন্ট খুলেছিলাম। পরে ভেবে দেখলাম আমি কেন, কোন দু:খে কারো জন্য অন্য পালিয়ে পালিয়ে বেড়াবো?
তারপর ঐ এ্যাকাউন্ট নিয়ে নাড়াচাড়া ছেড়ে দিয়েছি।
এখন সমস্যা হচ্ছে, আমার ফ্রেন্ডের এক মামাকে নিয়ে। এই লোক আমাকে এ্যাড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিল। যেহেতু চিনি তাই এ্যাড করেছিলাম। কিন্তু ফেইসবুক ফ্রেন্ড হওয়ার পর থেকেই এই লোক আমি ফেইসবুকে যতোই আলতু ফালতু জিনিস পোস্ট করিনা কেন সেখানে লাইক মেরে কমেন্ট করবেই!
বাবা তুমি লাইক মারো, কমেন্ট করো সমস্যা নাই!! কিন্তু তোমাকে কে বলেছে আমার পোস্টে অন্যান্য মন্তব্যকারীদের কথায় কথা দিতে?? কি দরকার আমার ফ্রেন্ডদেরকে আবার এ্যাড রিকোয়েস্ট পাঠানো?
এই লোক এই সমস্ত কর্মকান্ড শুরু করেছে। তাও আবার আমার ঐ কাজিনের সাথে!! কি আশ্চর্য্য!! মাঝে মনে করেছিলাম ফ্র্রেন্ডলিস্ট অপেন করে দিবো।
কিন্তু এই সব লোকের জন্য কি উপায় আছে!!
ফেইসবুকে অনেক কর্মহীন ছেলে পেলে ঘোরাঘুরি করে, তাদের হবিই হলো সারাদিন ফেইসবুকে গপশপ করা। তার যদি এতোটাই গপশপ করতে ভালো লাগে তাহলে সেরকম মানুষজনকে এ্যাড করে গপশপ করলেই তো হয়!! বুঝিনা বাবা, আমি আজকাল কিছুই বুঝিনা আসলে মানুষের সমস্যাটা আসলে কোথায়!!
একবার মনে হচ্ছিলো এই লোককে সোজা ডিলিট করি। তারপর ভাবলাম না থাক এই লোকের ভালো মন্দ শোনার দরকার আছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।