আমার চোখে ঠোটে গালে তুমি লেগে আছো !! -হ্যালো ডিয়ার লিসেনার্স ! আমি আর জে রাইসা ! চলে এলাম আপনাদের ফেভারেট প্রোগ্রাম নিয়ে ! বল মনের কথা ! ডিয়ার লিসেনার্স আপনারা সবাই জানেন আমরা এই প্রোগ্রামে কি করি ! শ্রোতারা আমাকে ফোন করে তার পর নিজের না বল কথা শেয়ার করে । এটা হতে পারে ....।
মনে রকথা বলার আগেই একটা গান শুরু হয়ে গেল ।
গান শেষে আবার আর জে রাইরা এসে হাজির ।
-তো দেখা যাক আমাদের প্রথম কলার কে ? হ্যালো ....।
?
-হ্যালো !
-কে বলছেন ? কোথা থেকে বলছেন ?
-আমার নাম অপু !
-তো ঠিক আছে ! আমাদের সাথে আজকে আছে অপু ! অপু আহমেদ ? নাকি অপু রহমান ?
-অপু তানভীর !
-আচ্ছা ! আপনি কোথা থেকে বলছেন ?
-আমি আমার বাসা থেকে বলছি !
-আচ্ছা ! ভেরি স্মার্ট ? তো আপনার মনের কথা আপনি কি বলতে চান এবং কাকে বলতে চান ?
আমি একটু দম নিলাম ! আজকে বহুদিন পরে লাইনটা পাওয়া গেছে আজকে । বলতেই হবে !
আমি বললাম
-আমি মোহাম্মাদপুরে থাকি ! মোহাম্মাদপুরের কাটাসুরের..
-না না ! এতো ডিটেইলস বলা লাগবে না । আপনি কি বলতে চান সেটা জানতে চাচ্ছি !
-না মানে আমি কি বলতে চাই এবং কাকে বলতে চাই এটা বলার জন্য আমি কোথায় থাকি এটা সেটার ডিটেইসল বলা জরুরী !
-আচ্ছা তাহলে বলুন !
-আমি থাকি কাদেরাবাগ হাইজিংয়ের তিন নাম্বার গলির মাথায় ! একদম লাল একটা বিল্ডিং আছে তার পিছনের বিল্ডিংয়ে !
ওপাশ থেকে কোন কথা নাই । আমি নিশ্চিত আরজে রাইসা একটু চমকেছে ! আমি বললাম
-হ্যালো ! রাইসা ? আছেন ?
-জি বলুন !
-আমি ঐ বিল্ডিংয়ের চার তলায় থাকি ! আর একটা মেয়ে আছে ঐ লাল দালানে থাকে । চার তলায় ।
চোখে চশমা পরে ! আমার ঘর থেকে মেয়েটার বারান্দা দেখা যায় ! প্রায় রাতেই মেয়েটা দেখি ! একা একা বারান্দায় বসে থাকে ! একটু যেন মন মরা হয়ে ! আমার বড় জানতে ইচ্ছে করে মেয়েটার মনে কি এতো কষ্ট !
ওপাশ থেকে এখনও নিরবতা !
-জানেন মিস মিস রইসা ! ঐ মেয়েটা সাব সময় নিজের এই বিষন্ন ভাবটা লুকিয়ে রাখে । কাউকে বুঝতে দেয় না । কাউকে না !
-আপনি কিছু বলতে চান ?
রাইসার কন্ঠ মারাত্বক ভাবে বদলে গেছে । আগে যেমনটা প্রানোচ্ছল ছিল এখন কেমন ফ্যাকাসে হয়ে গেছে ।
-আমি জানি ঐ মেয়েটা এখন আমাকে শুনছে ! আমি তাকে বলতে চাই আমি তাকে ভালবাসি ! তার লোক দেখানো হাসিটা না ! তার আসল একাকী বিষন্নতা কে আমি ভালবাসি ! সে যখন বারান্দায় বসে থাকে আমি তার পাশে বসে থাকতে চাই ! তাকে বলতে চাই.........।
-কি বলতে চান ?
-বলবো ! সবার সামনে না ! ভাল থাকবেন !
আমি লাইন কেটে দিলাম । মনের ভিতরে একটা হালকা লাগছিল ! আসলেই কথাগুলো বলতে চাচ্ছিলাম অনেক দিন ধরে । কিন্তু সুযোগ পাচ্ছিলাম না ।
রাইসার সাথে দেখা হয় প্রায় ছয় মাস আগে । যখন এখানে নতুন আসি ।
প্রায় দিনেই ওকে বারান্দায় দেখতাম চুপচাপ বসে থাকতে । রাত যত গভীর হত রাইসার বিষন্নতা যেন বাড়ত । মাঝে মাঝে কাঁদতেও দেখতাম ওকে ।
বড় জানতে ইচ্ছা করতো ওর মনের কষ্ট গুলো ! কেন জানি ইচ্ছে করতো ওকে বলি তুমি কেন কাঁদছো ! আমি আছি না ?
আমাকে বল !
লুকিয়েই দেখতাম ওকে !
কোনদিন সামনে আসি নাই ! কোন দিন বলি নাই মেয়ে তোমার পাশে আমি থাকাতে চাই !
তোমার হাস্যজ্জল চেহারাটাই সবাই দেখেছে কিন্তু তোমার বিষন্ন চেহারাটা আমি দেখেছি ! তুমি যখন কাঁদো তখন তোমার পাশে থাকতে চাই ! মেঝেতে পরার আগেই তোমার অশ্রুবিন্দু কুড়াতে চাই !
যেদিন জানতে পারলাম রাইসা একজন রেডিও জকি । সেদিনই প্লানটা মাথায় এসেছিল ।
ওকে অন এরারই কথাটা বলতে হবে !
প্রতিদিনই ফোন করার চেষ্ট করতাম । কিন্তু লাইন বিজি থাকতো ! লাইন ঢুকতো না । আজকে কেমন করে ঢুকে গেল কে জানে ?
মনের ভিতর একটা আশা ছিল রাইসার সাথে এবার আমার কিছু একটা হবে । আমার দিকে খানিকটা কৌতুহলী হবে । কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে মেয়েটা একদমই নিরর রয়ে গেল ! আগে বারান্দায় দেখতাম আর ওকে বারান্দায় দেখা যায় না ।
আমি অপেক্ষায় থাকি রাতের বেলা ওর জন্য !
কি জানি ও আমার কথা ভাবে কি না !
তারও কদিন পরে রাইসারা বাসা ছেড়ে চলে গেল । আমি জানলাম অনেক দিন পরে । মেয়েটির বিষন্নতার কারন জানা হল না !
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।