আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেখ হাসিনার ১/১১র ফসল...যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া পদ্মা সেতু অসম্ভব:মজিনা

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব নয় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া। নিজেদের অর্থে বাংলাদেশ পদ্মা সেতু নির্মাণের যেসব কথা বলছে, তা নিতান্তই সামনের নির্বাচনে ভোটব্যাংক সংহত করার অভিপ্রায়ে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে বলা হচ্ছে। এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা। ২২ অক্টোবর লস অ্যাঞ্জেলেস সিটির বেভার্লি এলাকায় ব্রেন্টউডে বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম আয়োজিত এক সুধী সমাবেশের সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে কথা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত মজিনা আরো বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং গার্মেন্ট সেক্টরে শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের মতদ্বৈধতা থাকলেও অন্য সেক্টরে বাংলাদেশ বেশ অগ্রগতিসাধন করেছে। এ অনুষ্ঠানে পেশাজীবী প্রবাসীরা অংশ নেন।

আইটি সেক্টরে সাফল্য প্রদর্শনকারী আটলান্টার ফ্রিবিপে এবং এমআই থ্রির প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী প্রধান ড. ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল খন্দকারসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে ৬০ জন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন এ অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু। গত এক দশকে এমআই থ্রি সফটওয়্যার কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে ড্যান মজিনা বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় কাজ করিয়ে আনার মাধ্যমে এমআই থ্রি বিশেষ অবদান রেখে চলেছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশী ইমিগ্র্যান্টদের মধ্যে যারা প্রতিষ্ঠিত তাদেরও উচিত বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগ করা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। রাষ্ট্রদূত মজিনা আশা করেন, যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশী প্রজন্মকেও মা-বাবার জন্মস্থানের কল্যাণে মনোযোগী হতে হবে।

বাংলাদেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সহযোগী। তাই বাংলাদেশের উন্নয়ন-সমৃদ্ধিতে আমেরিকা সব সময় পাশে থাকতে চায়। তিনি বলেন, ইউএসএইডের মাধ্যমে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৫৪৭টি সাইক্লোন শেলটার নির্মাণ করা হয়েছে। আরো ১১৬টির নির্মাণকাজ চলছে। এভাবেই বাংলাদেশের মানুষের প্রতি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সহমর্মিতা।

রাষ্ট্রদূত মজিনা বলেন, জনসংখ্যাগতভাবে বাংলাদেশ হচ্ছে সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র এবং মুসলিম দেশ হিসেবে চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্র। এ দেশটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সঠিকভাবে এগোতে পারলে অচিরেই দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নের শীর্ষে উঠতে সক্ষম হবে, তবে এ জন্য দেশ ও প্রবাসের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। এ অনুষ্ঠানের আয়োজক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ফিরোজ ফকিরী, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আহসানও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। প্রবাসীদের বিনিয়োজিত অর্থের গ্যারান্টি চাইলে রাষ্ট্রদূত মজিনা বলেন, বাংলাদেশে আইনের শাসন নিয়ে দুশ্চিন্তা এখনো দূর হয়নি, এটি বড় সমস্যা। আইন আছে অনেক ভালো কিন্তু তার প্রয়োগ হচ্ছে না।

এনা লস অ্যাঞ্জেলেস তারিখ: ২৫ অক্টোবর, ২০১২ http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=27269 ************************* হাসিনার সীমাহীন ক্ষমতার লোভ শুধুই ১/১১ ঘটায়নি বরং দেশের সার্বভৌমত্বকে দূর্বল করে দিয়েছে। এখন নিজেরা চাইলেও জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সেতু বিশ্বব্যাংক, আই.এম.এফ, এডিবি সহ মার্কিনিদের ছাড়া কাজ করা যাবে না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভের জন্য হাসিনা ওয়াশিংটন ও দিল্লীর কাছে মূচলেকা দিয়েছে। তাই ৭/৮ গুণ বেশী মূল্যে কানকো-ফিলিপসকে সাগরের ব্লক ইজারা দিছে। এমনকি দেশের মূল ভূখন্ডের গ্যাস উত্তোলনে যেখানে বাপেক্স দক্ষ সেখানেও ইদুর-বিড়াল খেলা হচ্ছে।

দেশের বহু গুরুত্বপূর্ণ পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যাং ২৪ হাজার কোটি টাকা। যেখানে আমাদের বাৎসরিক বাজেট ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা। তাই এই বিবেচনায় নিজেরাই বিনা ঋণে পদ্মা সেতু নির্মাণ কঠিন হলেও অসম্ভব ছিল না। এখনও উদ্যোগ নিলে ৪-৫ বছর পর আমরা নিজেরাই নির্মাণ করতে পারি। সে ক্ষেত্রে বিদেশী মুদ্রা তথা মার্কিন ডলারের বড় সঞ্চয় লাগবে।

এখন আমাদের এই অবস্থায় আমদানী ও রপ্তানীর বিষয় তথা বৈদেশিক লেনদেনের জন্য বেশীর ভাগই উপরোক্ত দাতা সহ যূক্তরাষ্ট্রের উপরই নির্ভর করতে হয়। যদি আবুল হোসেন ও তার পিছনের প্রভাবশালী ব্যাক্তি এই ঘুষের চিন্তা না করত তবে এতদিনে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যেত। এখন প্রভাবশালী ব্যাক্তিই এমনই অবস্থায় যে তার বিরুদ্ধে সরাসরি স্বাক্ষ্য প্রমাণ আসলে গোটা মহাজোট সরকারেরই প্রায় পতন ঘটানোর অবস্থায় পরে যাবে। তাই হাসিনা প্রথমে নিজেরা করব এই বলে চেচালেও বৈদেশিক আর্থিক খাত বিদেশীদের প্রভাব থাকায় সেটা শীঘ্রই সম্ভব নয়। মুখে ঘেউ ঘেউ করলেও ওয়াশিংটনের কাছে যে মূচলেকা ১/১১ ও ২০০৮ হাসিনা দিয়ে এসেছে তাকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা আলীগের পক্ষে সম্ভব নয়।

তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত এটাকে হাসিনার রাজনৈতিক ষ্টান্টবাজিই বুঝিয়েছেন। আজকে বিশ্বব্যাংকের তদারক দল এসে আমাদের দুদককে মনিটর করে। কারণ আলীগ ও বাকশালীদের ইতিহাসই হল র্দূনীতি, লুটপাট করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বানালেও বরবে যে তারা সাধু। তাই বিশেীরা এসে দেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করলেও হাসিনা গংদের কিছুই যায় আসে না। অথচ আমরা ১৯৭১ সালে মার্কিনিদের উপেক্ষা করেই স্বাধীন হয়েছি।

দেশের অর্থনীতির জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র র্দূনীতিবাজ ও লুটেরা শাসকদের জন্য থেমে থাকবে সেটা বিএনপি আমল তো দূর এরশাদ আমলেও দেখা যায়নি। তথাকথিত স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হাসিনা গংদের গণ-প্রতিরোধ না করলে এবং এভাবে অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের অবস্থা সোমালিয়া হতে বাধ্য। তখন মার্কিনিরা সহ বিদেশী শক্তি এ দেশকে অঘোষিত উপনিবেশে পরিণত করবে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।