নিজের আলাদা একটা পরিচয় তৈরির চেষ্টায় আছি। এক মুটো ধুলো হাতে এক বধ্য পাগল তেড়ে এসে বলে তোর মরণ নেই,
কখনো হাসে কখনো কাদে সোনার বাংলা ভালবাসি গান গায় গুনগুন।
রোদেলা পথে সে আগুন জ্বলা পিচে উলঙ্গ পায়ে একা মধ্য দুপুরে,
পথের ধারে সারি সারি স্বপ্ন হাটে চাপা কান্না ভেজা দুচোখ খোলে।
পথের মাঝেই বাসর সাজিয়েছে আগুনের লাল ফুল গায়ে মেখে,
ভালবাসা তারে জন্ম দিয়েছে আর সে ভেসে চলেছে রক্তের মহামারিতে।
এক মুটো ধুলো হাতে এক বধ্য পাগল তেড়ে এসে বলে তোর মরণ নেই,
কত মারিবে তারে যে মারণের ক্ষীন কাজে বুক পেতেছে মুত্যু তলে?
গত একাত্তরে সে পাগল ঘর ভেঙ্গেছে এক শতাব্দির অভিশাপ মুছে,
পথে পখে তারে খোজে যে তারে তালাকের বানী পরম মমতায় শুনিয়েছে।
এ কোন পথিকের গান, এ কোন কবির কবিতার অসমাপ্ত চরন,
কালে কালে সে জন্ম নেয় মানবের তরে আবার মানবেই তারে মারে!
এক মুটো ধুলো হাতে এক বধ্য পাগল তেড়ে এসে বলে তোর মরণ নেই,
সবাইকে আগুনে পুড়িয়ে মারব বলে সে পাগল চারপাশে ধূলো চুড়ে মারে।
পাপ করেছে সে পাগল মহা পাপ আজ তার বিচার করিতেই যে হয়,
অকাজে হাসি পথে হাটাহাটি খুজে তার কারণ চলে সভা রাজ মনিতে।
পুড়ে পুড়ে যে পাগল চাই হয়েছে সে কি আর কারো জীবন পুড়াতে পারে,
ক্ষুভটুকু তার তাই বুঝি ঝড়ে পড়ে পথ রাজা আর তার প্রাসাদ পানে।
এক মুটো ধুলো হাতে এক বধ্য পাগল তেড়ে এসে বলে তোর মরণ নেই,
দুপাটি দাত ঝুলে পড়ে অট্ট হাসিতে আবার কাদিলে মনে হয় সেই পদ্ধরাজা।
নিজের বিচার ঢাকিতে বুঝি আজ বিচার করিবেন এক বদ্ধ পাগলের,
পথ রাজা চুড়ে হুংকার ক্ষমতার পুন যাচাই শিকল পড়ালেন স্বপ্ন পথিককে।
রাজা জিতবে নাকি স্বপ্ন জিতবে চলে কানাকানি মিটিমিটি হাসে দুচারজন,
পাগলের কাছে মন্ত্র আছে তাই কেউ কেউ বলে এইবার কিছু একটা হলো বুঝি।
এক মুটো ধুলো হাতে এক বধ্য পাগল তেড়ে এসে বলে তোর মরণ নেই,
মুটো খুলে দেখে এ হাতে বাধা ছিল বোমা, একদা দিয়েছিলেন স্বয়ং রাজা।
কে তারে পাগল করেছে কে তারে পুড়িয়েছে পাগলের জানা হয় চেনা হয় শুধু,
এক ভুলের পিছু জীবন কাটিয়েছে ক্ষয় করেছে জমিয়ে রাখা সকল পূন্য।
সব কৌতহল একসময় নাই হয়ে যায় আবার কিছু জমা থাকে কারো মাঝে,
এখানেই তাই শেষ হয় না, সব ভুলে তারা জন্ম দেয় নতুন এক বন্ধ পাগলের।
----------------------------------ওবায়দুল হক শিপন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।