বেসরকারি চ্যানেল আরটিভির ‘ঈদ-পূজায় নিরাপদে ঘরে ফেরা’ বিষয়ক টকশোতে ঘটেছে তুলকালাম কাণ্ড। নৌমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খান বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার চোখ উপড়ে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। আলোচনার একপর্যায়ে নিজ চেয়ার থেকে উঠে হাতের আস্তিন গুটিয়ে মন্ত্রী বিরোধী দলের নেতাকে মারতে উদ্যত হয়ে বলেন, আমি এর আগেও অনেকের চোখ উপড়ে ফেলেছি, শাজাহান খান সবই পারে। টিভি টকশোতে অকস্মাত্ এই নজিরবিহীন ঘটনায় অন্য অতিথি-আলোচকরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যান। হতভম্ব হয়ে তারা শ্বাসরুদ্ধকর ওই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।
সারাদেশের মানুষও টেলিভিশনে এ দৃশ্য দেখে অবাক হয়েছেন।
অবিশ্বাস্য এ ঘটনা ঘটেছে গত সোমবার মধ্যরাতে। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছিল। তবে কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি সরাসরি সম্প্রচার সাময়িক বন্ধ করে দেয়। এ টকশো তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আরটিভির নবনির্মিত বহুমাত্রিক স্টুডিও থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিল।
ফেইসবুক ভিডিও এখানে
জানা যায়, অফ এয়ারে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া টকশো স্টেজ থেকে বেরিয়ে যেতে উদ্যত হন। তখন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান উচ্চস্বরে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলামকে মারতে উদ্যত হয়ে বলেন, শাজাহান খানকে তোমরা চেন না। শাজাহান অনেক মানুষের চোখ উঠিয়ে ফেলেছে। তোমার চোখও উঠিয়ে ফেলব। শাজাহান খান সব পারে।
এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি ইসরাফিল আলমও নৌমন্ত্রীর পক্ষ নিয়ে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে বকাঝকা করতে থাকেন। তবে বাকি সবাই হতভম্ব হয়ে নীরবে দেখতে থাকেন সেই দৃশ্য। এমনকি অপর দুই এমপি গোলাম মওলা রনি এবং রাশেদা বেগম হীরাও নিজ নিজ আসনে বসে ছিলেন চুপচাপ। একপর্যায়ে রফিকুল ইসলাম মিয়া স্টুডিও থেকে বেরিয়ে যান। উঠে দাঁড়ান ইলিয়াস কাঞ্চন, মনির হায়দার ও ইকবাল হাবিব।
কিন্তু আরটিভির স্টাফদের অনুরোধে তারা আবার চেয়ারে বসেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।