কাল (২৩/১০/২০১২খ্রিঃ) সকাল নয়টার বাসে সাভার থেকেরাজশাহী আসলাম। বাসে প্রচন্ড ভিড়। যাত্রীদের অন্তহীন ভোগান্তি। আমার বাসে উঠার কথা ছিল নবীনগর থেকে। রাস্তায় সড়ক অবরোধ।
তাই আমাকে বলা হলো বাইপাইল যেতে । বাইপাইলৈ গিয়ে কাউন্টারে বসলাম। কিছুক্ষণ পর কাউন্টারের ছেলেটি জানালো গাড়ি অন্য পথে যাচ্ছে। তাই আমাকে যেতে হলো চন্দ্রায়। চন্দ্রা কাউন্টারের কাছাকাছি যেতেই গাড়ির বিশাল লাইন দেখলাম।
সেখানে নেমে পায়ে হেটে কাউন্টারের আসলাম। সেখানে ওরা আমাকে সসম্মানে বসতে দিল। গাড়ির যে বিশাল জট সেটা ছোটার কোন সম্ভাবনা নাই। যাত্রীদের অন্তহীন দুর্ভোগ। শিশু ও বাচ্চাদের নিয়ে মায়েদের অবস্থা আরো খারাপ।
কল্যাণপুর কাউন্টার থেকে যে যাত্রীকে ১৩/১০/২০১২ খ্রিঃ তারিখে টিকেট দেওয়া হয়েছে সেই একই আসনে গতকাল সকালেও টিকিট বিক্রি করেছে সুপারভাইজার। জিএম কাউন্টার থেকে ৪০০/০০ টাকার টিকেট বিত্রি করেছে ৫১২/০০টাকায় ১০দিন আগে , গাড়ি ছাড়ার সময় ঐ যাত্রী উঠার আগেই কল্যাণপুর কাউন্টার থেকে একই আসনের টিকিট ৬০০/০০টাকায় বিক্রি করে তাকে বসিয়ে দেওয়া হয়। দশদিন আগে টিকেট কেনা যাত্রী গাড়িতে উঠে দেখেন তার সিট দখল। তাকে এখন যেতে হবে ইঞ্জিন কভারে বসে, নয়তো দাড়িয়ে। গাড়িতে আসন সংখ্যার চাইতে বেশী টিকেট বিক্রি করছে কল্যাণপুর কাউন্টার ।
যাত্রী যেখানেই যাক তাকে কিনতে হবে সর্বশেষ গন্তব্যের টিকিট। এই অনাচার চলছে। মন্ত্রী তো প্রতিদিনই কল্যাণপুরে যাচ্ছেন তিনি কি এসব দেখেন ? টিকেটে লিখেছে ঈদ মোবারক , তাতে ওরা যা শর্ত লিখেছে তা চুক্তি আইনের বিরোধী , মন্ত্রী কি এগুলো দেখে কোন প্রতিকার করেছেন? এই অধিক ভাড়া আদায় , এক আসনের টিকিট দুজনের কাছে বিক্রি করা এবং গাড়ির সর্বশেষ গন্তব্যের টিকিট কিনতে বাধ্য করা এসবই তো অনাচার। পরিবহনেরর এই সব জি এম এবং সুপারভাইজারদের দৌরাত্ম যদি মন্ত্রী আসার পর বাড়ে তাহলে তো আমরা বুঝবো এর পিছনে মন্ত্রীর সমর্থন আছে। যোগাযোগ মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে সবিনয় নিবেদন কল্যাণপুর কাউন্টারের এই সব জিএম ও সুপারভাইজারদের দৌরাত্ম বন্ধ করুন।
উল্লিখিত ভাবে টিকিট বিক্রি করে তারা যা বাড়তি আয় করেছে তা জরিমানা আকারে আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিন। ঈদ মোবারক লেখা টিকিটে উল্লিখিত শর্ত গুলো চুক্তি আইনের পরিপন্থি হওয়ায় তা বাতিল করুন এবং এরূপ প্রতারণা মূলক শর্ত লেখার জন্য বাস মলিকসহ ঐ সব জি এম এবং সুপারভাইজারদের কাছ শাস্তিমূলক জরিমানা আদায় করুন। তা হলে বুঝবো আপনি জন কল্যানে ্জনসেবার লক্ষ্যে এসব জায়গা পরিদর্শন করছেন। না করলে বুঝবো ঈদ উপলক্ষ্যে বিশেষ উদ্দেশ্যেই এখানে যাচ্ছেন তবে জন কল্যাণে নয় , নিজের কল্যাণে। আর এজন্যই যাত্রীদের কাছ থেকে বেশী ভাড়া এরা আদায় করছে , দেখাচ্ছে দুর্দান্ত দৌরাত্ম।
লেখকঃ সাবেক জেলা ও দায়রা জজ । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।