আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাই "ধর্ম সুরক্ষা আইন"

অদ্ভুত পৃথিবী কিছুদিন আগে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধপল্লি ও বৌদ্ধবিহার ভাঙচুর, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় লজ্জিত, ব্যথিত , ক্ষুব্ধ,বাকরুদ্ধ এই জাতি। এই ধরনের ঘটানায় নিন্দা জানানোর ভাষা মনে হয় এই জাতির অনেক হারিয়েছেন। এই সংঘাতে রামু উপজেলার ৭ টি বৌদ্ধ মন্দির, প্রায় ৩০ টি বসত ঘর, দোকানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসময় আরো শতাধিক বাড়ি ও দোকানে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরও হয়েছে। এখানে সংবিধানের কিছু অংশ তুলে ধরা হলঃ ১[ বিস্‌মিল্লাহির-রহ্‌মানির রহিম (দয়াময়, পরম দয়ালু, আল্লাহের নামে)/ পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে।

] প্রস্তাবনা আমরা, বাংলাদেশের জনগণ, ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া ২[ জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের] মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি; ৩[ আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে, যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল -জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে ;] আমরা আরও অঙ্গীকার করিতেছি যে, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে; আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করিতেছি যে, আমরা যাহাতে স্বাধীন সত্তায় সমৃদ্ধি লাভ করিতে পারি এবং মানবজাতির প্রগতিশীল আশা-আকাঙ্খার সহিত সঙ্গতি রক্ষা করিয়া আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন করিতে পারি, সেইজন্য বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ এই সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ন রাখা এবং ইহার রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান আমাদের পবিত্র কর্তব্য; এতদ্বারা আমাদের এই গণপরিষদে, অদ্য তের শত ঊনআশী বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসের আঠারো তারিখ, মোতাবেক ঊনিশ শত বাহাত্তর খ্রীষ্টাব্দের নভেম্বর মাসের চার তারিখে, আমরা এই সংবিধান রচনা ও বিধিবদ্ধ করিয়া সমবেতভাবে গ্রহণ করিলাম। ১ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ২ ধারাবলে ‘‘বিস্‌মিল্লাহির-রহ্‌মানির রহিম (দয়াময়, পরম দয়ালু, আল্লাহের নামে)’’ শব্দগুলি, কমাগুলি, চিহ্নগুলি ও বন্ধনীর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত। ২ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ৩ ধারাবলে ‘‘জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত। ৩ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ৩ ধারাবলে দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত। দ্বিতীয় ভাগ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা ১[ ১২।

ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য (ক) সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা, (খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান, (গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার, (ঘ) কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন, বিলোপ করা হইবে। ] কিন্তু এখানে ধর্ম কে সুরক্ষা প্রাদানের কোন অঙ্গীকার করা হয়নি যার ফলে অনেক ধর্মের বিলুপ্তি রক্ষা করা সম্ভব হবেনা । রাষ্ট্রের প্রত্যেক ব্যাক্তির অধিকার আছে তার নিজের ধর্ম পালন করার । বাংলাদেশে জোরপুর্বক ধর্মান্তরিত করা নিষেধ কিন্তু কিন্তু প্রলুব্ধ করে বা লোভ দেখিয়ে বা আর্থিক সাহায্য প্রদান করে ধর্মান্তরিত করার উপর কোন নিষেধাঙ্গা আরোপ করা হয়নি । বর্তমানে দেখা যাচ্ছে কিছু এঞ্জিও ও বিভিন্ন খ্রিষ্টান মিশনারিজ হতদরিদ্র মানুষকে বিভিন্ন সাহায্য প্রদান করে ধর্মান্তরিত করছে।

অনেক শিক্ষা প্রতিষ্টান দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সাহায্য প্রদানের নামে খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করছে। ইতিমধ্যে আমাদের অনেক ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি তাদের নিজেস্ব ধর্ম হারিয়েছে এই খ্রিষ্টান মিশনারিজদের প্রচেষ্টায়। আমরা নিজেরদের অনেক ক্ষুদ্র ধর্ম কে সংরক্ষন করতে ব্যার্থ হয়েছি। সরকার গুলো এই ব্যাপারে সবসময় ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছে। এখন বংলাদেশে বৌদ্ধ ধর্ম বিলুপ্তি পথে রয়েছে ।

ইতিমধ্যে কয়েক লাখ বৌদ্ধ খ্রিষ্টানদের প্ররোচনায় খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে , এদের বেশিভাগই পার্বত্য চট্টগ্রামের। সুকৌশলে নিজের ধর্ম অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছেঃ অনেক ছেলে- মেয়ে অন্য ধর্মের ছেলে-মেয়েকে বিয়ে করে কিন্তু এতে কোন সমস্যা নেই কিন্তু ব্যাপারটা হচ্ছে এই সব বিয়ে সংঘটিত হয় ভালোবাসার মাধ্যমে । ঘটনাটই এভাবে ঘটে প্রথমে ভালোবাসা ,তারপর ধর্মান্তর এরপর বিয়ে । এখানে বেশিভাগ ভিকটিম হয় নারীরা মুলত তারা প্রেমিকের চাপের কারনে ধর্মান্তরিত হয় । আসলে ঐ নারী কি এই নতুন ধর্মকে ভালোভাবে বিশ্বাস করতে পারে? উওর বেশিভাগই তা করতে পারেনা।

এটি ধর্মান্তরিত করার কৌশল ,এখানে বিয়ে করলে অসুবিধা ছিলনা যদিনা কোন মেয়ে অথবা ছেলে প্রেম করার আগে স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হত এখানে প্রেম প্রলুব্ধ করার হাতিয়ার হিসাবে কাজ করছে । এখন একটি নতুন সম্যসার সৃষ্টি করেছে স্বামী-স্ত্রী তারা দুজনেই আলাদা আলাদা ধর্ম পালন করে কিন্তু কোন ধর্মই এটিকে প্রশ্রয় দেয়না এমনকি সমজও। এই দেশে সবার অধিকার আছে যার যার ধর্ম স্বাধীন ভাবে পালন করার, কিন্তু আমরা অনেকেই ধর্ম পালন করতে অসুবিধার সমুক্ষীন হই । আমি একটি উদাহারন দেই । প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় ঢাকায় বিভিন্ন মসজিদ ইমামের ওয়াজ মাইক যোগে প্রচার করে।

আমি যে মসজিদে নামাজপড়ি সেখানে নামাজ শুরু হয় ১টা ৩০ মিনিটে আর আমার মসজিদের অল্প কিছু দূরে আরেকটি মসজিদ আছে সেখানে নামাজ শুরু হয় ১টা ৪৫ মিনিটে । আমাদের নামাজ যখন শুরু হয় তখন ঐ মসজিদের মাইকের শব্দে ইমামের সূরা তেলোয়াত শূনতে পাইনা এভাবে তারা আমাদের ধর্মীয় কাজে বাধা প্রদান করে । আসলে এইভাবে মাইকে ওয়াজ বা খুতবা প্রচার করার বিধান ইসলামে নেই ,উদাহারন টেনে বলতে পারি ঢাকার কাকরাইল মসজিদে আজান ও খুতবা মাইক ছাড়াই প্রাচার করা হয় কই সেখানে কি তাদের নামাজ হয় না । বরং এটাই আসল নিয়ম অন্যকে কষ্ট না দিয়ে নিজের ধর্ম পালন করা । আমার নিজের ধর্মের কারনে যদি আমার ধর্মীয় কাজ করতে বাধা গ্রস্থ হয় তাহলে অন্য ধর্মের লোকদের অবশ্যই তাদের ধর্মীয় কাজে বাধা গ্রস্থ হবে ।

মাঝে মাঝে কিছু ওয়াজ মাহফিল হয় সেখানে ওয়াজ কারী যেভাবে চিল্লা চিল্লী করেন তাতে যে কোন হার্টের রোগীর হার্ট আর্ট্যাক হবার সম্ভাবনা থাকে। তারা কি এই চিল্ল চিল্লী ছাড়া ওয়াজ করতে পারেন না ? এটা কে ধর্মীয় স্বাধীনতা কখনও সমর্থন করে না । যদি এই ওয়াজমাহফিলের পাশে কোন মন্দির থাকে তাহলে কি ঐ মন্দিরের লোকজন তাদের প্রার্থনা সঠিক ভাবে করতে পারবেন ? একই ভাবে নামাজের সময় যদি হিন্দু ধর্মের লোকজন ঢাকঢোল পিটাতে থাকে তাহলে কি ঐ মসজিদের লোকজন তাদের নামাজ পরতে পারবেন ? গতবছর কিছু বাঊলের চুলদাড়ি কেটে দেওয়া হয়েছিল এটাকি সঠিক ছিল? বাঊলরা আলাদা বিশ্বাসে বিশ্বাসী তারা তাদের মত করে সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে । তারা মনে করে গুরু(লালন) ভক্তির মাধ্যমে সিদ্ধি লাভ করা যায় । এখানে তারা লালনে দেখানো পথ অনুসরন করে ও তার গান প্রচার করে ।

এখন যদি তার এটিকে তাদের ধর্ম বলে ঘোষনা করে সরকার কি পারবে তাদের সুরক্ষা দিতে ? তাই এখন প্রয়োজন প্রত্যকটি ধর্মকে সূরক্ষা প্রদান করতে "ধর্ম সুরক্ষা আইন" যাতে প্রত্যেক ধর্মের অনুসারী তাদের ধর্ম সঠিক ভাবে পালন করতে পারে। ভালোলাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।