- ম্যাডাম, গুড ইভেনিং।
- সেক্রেটারী। আমাকে ম্যাডাম ডাকবে না। ম্যাডাম অপজিশন পার্টির লোকেরা ডাকে। আমাকে নেত্রী ডাকবে।
খালাম্মা, আম্মা, আপাও ডাকতে পারো। ম্যাডাম না। ম্যাডাম শুনলে গায়ে আগুন ধরে।
- আপা, পানি খাবেন? পানি আনি?
- পানি খাবো কেন!!!
- আমি ভুল করেছি। পাপ করেছি।
আপনাকে- ম্যাডাম ডেকেছি। আপনার আগুন লাগার কথা শুনে ভয় পেয়ে পানির কথা বললাম।
- ওহ।
- আপা। বদ সাংবাদিকগুলায়তো আপনার পিছনে লাগছে আবার।
- কেন? নতুন কিছু লিখছে? আমি ক্লিক ক্লিক ছবি তুলি, ওই নিউজ? আমি এখন ছবি তুলি না। যাও একটা প্রতিবাদ লিপি পাঠায়ে দাও। বলে দাও, আপা এখন ছবি তোলে না, তার ক্যামেরা হারায়া গেছে। প্রতিবাদ লিপিতে ক্যামেরা হারানোর বিষয়ে একটি মামলা নাম্বার দিয়া দিবা। বিষয়টা আরো বিশ্বাস যোগ্য হবে।
আমার একটা ছবিও দিবা ক্যামেরা হারানোতে মন খারাপ টাইপ ছবি। গো..।
- না আপা। ওই নিউজ আর তারা লেখে না। তারা লিখছে আপনি ঘন ঘন বিদেশ উড়াল মারেন।
নিউজের সাথে একটা পাখির ছবিও দিছে। পাখির কল্লার জায়গায় আপনার কল্লা। শিরোনাম দিছে- বিদেশ ঘোরেন .....।
- পড়ালেখা কিছু করিস, শব্দার্থ জানিস?
- কিছু জানি
- বলতো, ফরিন মিনিস্টার মানে কী?
- পররাষ্ট্র মšী¿।
- হইছে।
দশে আট । বিদেশ মন্ত্রী বললে দশে দশ দিতাম। ভালো ভাবে বললে- বিদেশ মন্ত্রী। ৪৬ মাসের মধ্যে ১৫ মাস বিদেশ ছিলাম। ’বিদেশ মন্ত্রী’ বেশী সময় বিদেশ থাকবে এটাই তো নিয়ম, মনে হয়।
ছাগল সাংবাদিকগুলা পড়া লেখা করেরে??? এতো বেশী সময় কেন দেশে থাকলাম তা নিয়া প্রশ্ন তোলা দরকার। বেশী সময় দেশে থাকবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার কাজ দেশে। বিদেশ মন্ত্রী থাকবে বিদেশে। এটাইতো নিয়ম।
আমি তো কিছু বুঝলাম না। মূর্খগুলা কী নিউজ করলো!!
- আমিও বুঝলামনা তারা কোন জ্ঞানে নিউজটা করলো।
- কোন দেশে আছি খোদা। হায় সেলুকাস।
- ম্যডাম, আমিও হায় সেলুকাস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।