সাপের শরীর হয়ে আঁধারের গাছ/ কুয়াশার বন্যায় ডুবো দেবী মাছ!
রোদ্দুর..
---------
গন্ধের বড়ি খেয়ে রোদ নেমেছিলো আমাদের ঢোল খাওয়া বাড়ির চাতালে। একটা ঠ্যাং ভাঙা গরুর গাড়ি সেই কবে থেকে যে কোনায় পড়ে থেকে কাৎরায়। আমি আর বুলু রোজ হাতে গাদা খানেক বরই এর আচার নিয়ে বসে থাকি। আচারের তেল ঝরে পড়ে। আগে পা ঝুলিয়ে বসা যেত এখন কেমন ভয় করে।
একদিকের চাকা ভেঙে গেছে। বিকেলের এ সময়টাতে কেমন মিঠে আমতার মত লাগে রোদের আলোকে। বুলুর নীল রঙের স্যান্ডেলে ছোপ ছোপ রোদ লেগে থাকে। রোদ্দুর ফুল হয়ে দোলে। ঘন জামের পাতার ভেতর দিয়ে বৌচুরি খেলে রোদ।
প্রতিপক্ষ আমরা।
আচারের ভাগ নিয়ে আমাদের মন কষাকষি হয়না।
________________
চোখ...
--------
তার চোখে স্বপ্নও ছবি হয়ে আসে! তার চোখে কালো মেঘ কাজলের আলো -
তার চোখ প্রীতমের ফুল ভালবাসে!
চোখ নিয়ে কথা বলতে গেলে ঊর্মির কথা না বললে আমার পাপ হবে। অবশ্যই পাপ হবে। লাইনগুলো ঊর্মির চোখ দেখে লেখা।
মানুষের চোখ এত সুন্দর হয়! কি করে হয়! আমি ঠিক রোদ্দুর কে নেমে আসতে দেখেছি তার চোখে। এক আধবার মৌরির ফুল হয়ে যেতে দেখেছি আনন্দে!
লাল ইটের খোয়ার ভেতর একটা শালিক খুব আনমনে ঘুরছিলো। আমরা কুরুচ কাঁটায় একটি বালিশের ওয়াড় করছিলাম। হঠাৎ ঊর্মি ব্যকুল হয়ে বললো ওদিকে দেখ ওদিকে!
আমি তাকাতেই দেখলাম অর্ধেকটা সুখ। একটা শালিক।
কেমন মায়া মায়া করে হাঁটছে। উপর থেকে কুয়াশার মত তার পিঠে মেঘের পালক দেখলাম আমরা। ঊর্মির কৌতুক নিয়ে বললো আজ সারাদিন তোর অর্ধেক সুখ আমারও। আয় চিয়ার্স কর।
ওর বিকেল হলে একটাই আবদার।
কাজল পরিয়ে দে। আমি ইচ্ছে করে ওর চোখে মেঘ এনে দিতে চাই! সারাদিনের ভুল মনে করে করে ওকে খেপাতে থাকি। সে ঠোঁট ফুলিয়ে কেমন করে যে তাকায়!
কি যে পাগলামী করে ঊর্মি। না দেখলে বিশ্বাস হবেনা। সেদিন হাত ভর্তি করে পাশের বাড়ির দেয়াল টপকে শিউলী ফুল নিয়ে এলো।
আমি তো খুব রেগে গেলাম। তুই না নাক টানছিস সর্দিতে। কি মনে করে এই ভোরে ফুল কুড়াতে গেলি?
এক চোট হেসে নিলো দুলে দুলে তারপর বললো আর তো কদিন!
আমার বুকে ধাক্কার মত লাগে। সারাদিন কানের কাছে বাজতে থাকে আরতো কদিন! আর তো কদিন!
_________________________
মেঘ না চেয়েই জল পেল যে
তার কথাটাও বলি...
-----------------------
একটা শ্যামলা ছিপছিপে মেয়ে তিতুর কঠিন বাহুর ভেতর ছটফট করতে থাকে।
না তিতু এভাবে না।
তো কিভাবে?
তিতুর সারা চোখে দুষ্টুমি! যেন পৃথিবীর তাবত্ জিজ্ঞাসা অথচ উত্তরে আগ্রহ
নেই একদম!
গলার পাশে কানের নিচে নাক ঘষে দিতে দিতে তিতু বলে এই নদীটা আমার! একটা
চুমুর দাগ তারের বেড়ার মত বসিয়ে তিতু বলে, পৃথিবীর একমাত্র নদী আমার
নদীকে ঘিরে দিলাম চুমুর বেড়ায়!
শ্যমলা মেয়েটার কঠিন শরীর গলে যায়! চোখে চিকন জলের ধারা। সে কখনো ভাবেনি
রাজকুমার তিতু তার মহলের সকল সুদর্শনাদের উপেক্ষা করে তাকে বুকে নিতে
পারে!
তিতুর রোদের মত নরম বুকে নাক ঘষে দিতে দিতে মেয়েটি বলতেই থাকে না...
না.... তিতু... না.. ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।