পোষা প্রাণীর জন্য আমেরিকা হল সর্গরাজ্য। আমেরিকা তে পেট এনিম্যালের জন্য খাবার/খেলনা/ঘর-আসবাব অথবা খেলনার কথা তো বাদ ই দিলাম,ওদের বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের জন্য যে পরিমান চিকিতসার আয়োজন রাষ্ট্রীয়ভাবে করা আছে তা দেখলে আমাদের মত গরীব দেশের হাহাকার উঠতে বাধ্য। যাই হোক এবার আমরা কাউন্টডাউন করব আমাদের প্রাণপ্রিয় আমেরিকার টপ টেন পেট এনিম্যাল এর নাম।
১০। Ferrets (নেউলে)
3,000 BC থেকে ঈজিপ্ট এ ফারাওরা নেউলে পেলে আসছে যার কারনে আজও মিশর এর অনেক পূরাকীর্তিতে এদের ফলক প্রতিমূর্তি দেখা যায়।
ইংল্যান্ড এও এদের জনপ্রিয়তা ব্যাপক। যার প্রমাণ হল রানী ভিক্টোরিয়া তার স্টেট প্রধানদের নেউলে উপহার হিসেবে দিতেন। আমেরিকাতে প্রায় ৮০ লাখের ও বেশি পোষা নেউলে আছে। নেউলের সুবিধা হল এটি কুকুরের মত চিতকার করেনা,বিড়ালের চেয়ে বেশি ক্রীড়াশীল আর উচ্ছল আর খুব সামাজিক। এটিকে আপনার কুকুরটির মত প্রতিদিন হাটতেও নিয়ে যেতে হবেনা।
৯। Iguanas (আমেরিকান গেছো গিরগিটি)
এটি সবচেয়ে আশ্চর্যকর পেট এনিম্যাল। এদের খাদ্য,বাসস্থান আর দৈহিক চাহিদার গুরুত্ত দিলে এরা প্রায় ২০ বছর বাচে। এরা সূর্যের আলো পছন্দ করে।
৮।
সাপ
সাপ ও একটি বহুল প্রচলিত পেট। ভবঘুরে,ব্যাস্ত ব্যাচেলর দের জন্য এরা আদর্শ কারন এরা খুব ই কম যত্নে বেচে থাকে,অল্প খায়। ১২ থেকে১৪ দিনে এদের একবার খাওয়ালেই চলে।
৭। পাখির ব্যাপারে আর কি বলার
৬।
গিনিপিগ
5000 B.C
থেকেই ইনকারা গিনিপিগ খাবার হিসেবে পছন্দ করত। ডাচরা আমেরিকা থেকে ইউরোপে নিয়ে আসলে প্রথম মানুষ গিনিপিগ পালা শুরু করে। গিনিপিগ এর লোকপ্রিয়তা কারন,এরা খুব ই ভদ্র,লাফালাফি করে যেকোন জায়গায় উঠে পড়েনা,কামড় দেবার প্রবনতা নেই।
৫। mice(ইদুর)
আমরা ইদুর দেখলেই ঘিন্নায় দৌড় দিলেও ইদুর পালার উতপত্তি হয় এশিয়ায়।
মূলত জাপান আর চায়নার রয়েল প্যালেসগুলাতে এদের পালা হত। আজ সারা জগতজুড়ে জনপ্রিয়। এদের আয়ূ ১। ৫-৩ বছর। স্ত্রী ইদুর মাসে ৪-৭টি বাচ্চা দিতে পারে।
কিন্তু অনেক বেশী শিকারী থাকার কারনে এতো উচ্চ জন্মহার সত্তেও বেশীরভাগ ইদুর অল্প বয়সেই শিকার হয়ে যায়।
4. Fish (মাছ)
মাছ খুব ই প্রচলিত একটি প্রানী,এটি রোমান সাম্রাজ্যে পালা চালু হয়। এটির ২৫০০০ এর বেশি প্রজাতির আকার,আচরণ আর বর্নিল রুপ দেখে মানুষ খুব সহজেই মোহত হয়ে যাবে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি পরিস্কার ভাবে পালা যায়। খুব অল্প জায়গা আর অল্প খাবার লাগে।
প্লাস একটি একুয়ারিয়াম ঘরের শোভা বর্ধন করে অন্য যেকোন প্রানীর চেয়ে বহুগুন।
৩। Hamsters (ইদুরের ন্যায় প্রানী বিশেষ)
এদের সিরিয়ার মরুভুমিতে প্রথম দেখা যায়। এদের অসুখ কম হয়। এরা খাদ্য জমা করতে ওস্তাদ।
২। বিড়াল
খুবই আদুরে আর আমুদে প্রানী। আমাদের নবীজীও নাকি বিড়াল পছন্দ করতেন। মুসলিম্রা বিড়াল রাখতে বেশি পছন্দ করে কারন বেশিরভাগই ধর্মীয় কারনে কুকুর রাখতে পারেনা। পোষা প্রানীর মধ্যে বিড়াল শিশুকাল থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত সবচেয়ে কিউট।
১। কুকুর
কুকুর পালি আর নাই পালি,এটি সবাই মানতে বাধ্য যে মানুষের প্রতি কুকুরের যে ভালবাসা,যে আনুগত্য,যে আবেগ তা আর কোন প্রানীর মাঝে নাই আর হবেও না। এমন কি এও বলতে শোনা যায়,একজন মানুষের যদি একটি পোষা কুকুর থাকে তবে তার মত আপন আর বিসশাসযোগ্য আর কোন মানুষ নাই,এমনকি তার পরিবারের সদস্যরাও না। এদের ঘ্রাণশক্তি প্রখর,খুব ভাল পাহাড়া দেই আর এরা শিশুদের খুব ভাল সঙ্গী। এদের অসংখ্য জাত ছে,যাদের সাইজ ও রঙ দেখতে একেক রকম।
বিশালদর্শন গ্রেহহাউন্ড যেমন আছে তেমনি আছে শিশুটাইপ টেরিয়ার ডয়েল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।