আজকের শিশু জাতির সোনালী ভবিষ্যতের স্থপতি। সুন্দর কল্যাণকর জাতি গঠনের জন্য প্রয়োজন এমন সুন্দর পরিবেশ যেখানে শিশুরা সকল সম্ভাবনাসহ সুস্থ,স্বাভাবিক ও স্বাধীন মর্যাদা নিয়ে শারীরিক, মানসিক, নৈতিক, আধ্যাত্নিক এবং সামাজিকভাবে পূর্ণ বিকাশ লাভ করতে পারবে। শিশুর অন্ন-বস্ত্র বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের অধিকার পূর্নাঙ্গভাবে মেটানোর দায়িত্ব হলো রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারের। শিশুকে নিরাপত্তা দিতে হবে এবং আনন্দময় জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে তাকে বড় করে তুলতে হবে। অভিভাবকহীন পরিত্যাক্ত যেসব শিশু পথের ধারে ঘুমিয়ে থাকে, ডাস্টবিনের খাবার কুড়িয়ে খায়, বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পোড়ে এবং শীতে কাঁপে, সেইসব শিশুদেরও মানবাধিকার আছে।
শিশু অধিকার ভোগ করতে না দেয়াটা মানবাধিকার লঙ্ঘন।
কেমন আছে শিশুরা?
• শারীরিক ভাবে অক্ষম নারী শিশুরা (children’s with disabilities) এবং পথ শিশুরা সবচেয়ে বেশী ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করে। ইউনিসেফের বাংলাদেশের শিশুদের উপর চালনা করা গবেষনা মূলক রিপোর্টে যা উঠে এসেছে তা হল নির্যাতিত শিশুরা আইনগত সাহায্য পাচ্ছে না।
• ক্যাম্পেন ফর পপুলার এডুকেশনের (গণসাক্ষরতা অভিযান) সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এখনও ৪৯ লাখ শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।
• ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালের-২০০৯ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘৮০ ভাগ শিশু রক্তস্বল্পতার ভুগছে।
’ সাইমন এম মেশার জেঅ্যালকোহল, এনার্জি ড্রিংকস অ্যান্ড ইয়ুথ: এ ডেঞ্জারাস মিক্স: ক্যালিফোর্নিয়া;মেন ইনস্টিটিউট ২০০৭)দেখিয়েছেন, ১৪০টি দেশে ২০০ ব্র্যান্ডের এনার্জি ড্রিংক তৈরি হচ্ছে এবং বিশ্বের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী তরুণের ৩১ শতাংশ নিয়মিত এনার্জি ড্রিংক গ্রহণ করে১। প্রতি বছর ৫ বছরের কম বয়সের প্রায় ৮ লক্ষ শিশু নানা প্রতিরোধযোগ্য রোগে মৃত্যুবরণ করে৷এদেশে ১২-১৮ মাস বয়সের মধ্যে শতকরা ঌ০ জনের বেশী শিশু পুষ্টিহীন হয়ে পড়ে ৷
• সারা দেশে প্রায় ৪৫ লাখ শিশু নিষিদ্ধ শিশু শ্রমের শিকার। এদেশে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা এখন প্রায় ৭৯ লাখ। বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং আইএলও’র জরিপ অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ রয়েছে ৪৫ ধরনের। আর এর মধ্যে ৪১ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণ করছে শিশুরা।
• জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) ২০০৯ সালের ‘নারী ও শিশু পাচার সংক্রান্ত’ একটি গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে ৪শ’ নারী ও শিশু পাকিস্তান, ভারত, লেবানন, আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাচার হয়ে যাচ্ছে। পাচারের শিকার হওয়াদের প্রায় ৬০ ভাগই শিশু, যাদের বয়স ১২ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।
সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন স্টাডিজের (সিডব্লিউসিএস) তথ্যানুসারে স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৫ লাখ নারী শিশু বিদেশে পাচার হয়েছে। পাচার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর একটি গড় হিসাব মতে, গত ২০ বছরে প্রায় ৪ লাখ শিশু মধ্যপ্রাচ্যে পাচার হয়েছে। অন্য একটি সূত্র বলছে, প্রতি মাসে বাংলাদেশ থেকে ২০০ থেকে ৪০০ মেয়ে শিশু পাকিস্তানে পাচার হয়ে যায়।
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির ‘সার্ভে ইন দ্য এরিয়া অব চাইল্ড ইন ওম্যান ট্রাফিকিং’-এর তথ্য অনুযায়ী, মেয়ে শিশুদের মূলত বিক্রি করা হয় পতিতাবৃত্তিতে নিয়োগের জন্য।
• ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিস-বিলসের এক যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছে দেশের শতকরা ৬৬ দশমিক ৬৭ ভাগ শিশু। চিত্তবিনোদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত ৫৩ দশমিক ৩৩ ভাগ শিশু, গালি-গালাজ/বকা-ঝকার শিকার ৮৩ দশমিক ৩৩ ভাগ শিশু। শারীরিক নির্যাতনের শিকার ৪৬ দশমিক ৬৭ ভাগ শিশু, কাজ থেকে বাদ দেয়ার হুমকির শিকার শতকরা ৪৬ দশমিক ৬৭ ভাগ শিশু। সামর্থ্যের অতিরিক্ত কাজ করে শতকরা ৬৩ দশমিক ৩৩ ভাগ শিশু।
যৌন নিপীড়নের শিকার হয় ১৬ দশমিক ৬৭ ভাগ শিশু। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে ৪০ ভাগ শিশু। মানসিক হতাশায় ভোগে ৬৭ দশমিক ৬৭ ভাগ শিশু।
পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১০ সালে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে এক হাজার ৪২৯ শিশু। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, বিগত ৮ বছরে রাজধানীতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ১১৪ জন শিশু গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
আত্মহত্যা করেছে ৪০ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে পাঁচজনকে। ধর্ষিত হয়েছে ৬৬ শিশু গৃহকর্মী। রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ২৯১ গৃহকর্মী শিশুর। এছাড়া শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩১১ জন গৃহকর্মী শিশু।
সমাধানে যা করণীয়:
সকল স্তরে নৈতিক শিক্ষা বৃদ্ধি: বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এডভোকেট এলিনা খানের মতে, ‘সামজিক অবক্ষয়ের কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, আগে ছেলেমেয়েদের পরিবারের পিতা-মাতা ও গুরুজনরা ভালো মানুষ ও চরিত্রবান হওয়ার যে শিক্ষা দিত এখন তা মোটেও দেয়া হয় না। এজন্য তারা এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। ’ সন্তানকে লিখা পড়া শিক্ষা দেবার সাথে সাথে পারিবারিক, বৈষয়িক এবং আদর্শিক শিক্ষা প্রদান করতে হবে।
সচেতনতা বৃদ্ধি: শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান মিয়া বলেন, গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুরা অত্যন্ত দরিদ্র ঘরের সন্তান।
তারা দু’মুঠো খাবারের আশায় অন্যের বাড়িতে শিশু বয়সেই কাজ করতে আসে। এদের উপর নির্যাতন করা চরম অমানবিক কাজ। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।
সুন্দর অথপূণ নাম রাখা: জন্মগত বৈধতা ইসলামের পরিবার গঠনের ভিত্তি এবং শিশুর ন্যায্য অধিকার। নাম কালের অতল তলে আবদ্ধ নোঙর,যেন দূর নীলিমায় মিটিমিটি তারকা,শান্ত, সুদূর সমাহিত; কিন্তু শাশ্বত সুউন্নত।
পল্টু, সল্টু, বল্টু –নয় একটি সুন্দর বা উত্তম নাম পাওয়া প্রতিটি সন্তানের পিতা-মাতা তার হক বা অধিকার হিসেবে শরিয়ত স্বীকৃতি দেয়।
বুকের দুধ খাওয়ানো: সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশন এর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক মিডিয়া ওয়ার্কশপে বিভিন্ন গবেষণামুলক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, দু’বছর পর্যন্ত মায়ের দুধ খেলে শিশুর আইকিউ বা বুদ্ধিমত্তা শতকরা ১০ ভাগ বেশি হয়। বর্তমানে আধুনিকতার অনুসারী এক শ্রেণীর মায়েরা নিজেদের সৌন্দর্যহানীর ভয় ও আভিজাত্য রক্ষার্থে স্তন্যদানে অনীহা প্রকাশ করে থাকে-এটা ঠিক নয়।
চরিত্রবান ও সৎদের সান্নিধ্য: রাসূল (সা.) আরবের রীতি অনুযায়ী ধাত্রী দ্বারা দুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে দুশ্চরিত্রা মহিলাকে ধাত্রী নিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। কেননা দুধের প্রভাব পরস্পরের মধ্যে সম্প্রসারণযোগ্য।
তিনি বলেছেন: তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে দুশ্চরিত্রা ও অপ্রকৃতস্থ রমণীর দুগ্ধপান করানো ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর।
অভিভাবকদের দায়িত্বপরায়ণ হওয়া:রাসূল (সা.) আরো এরশাদ করেন: ‘‘শিশুদের স্নেহ কর এবং তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন কর। তোমরা তাদের সাথে কোন ওয়াদা করলে তা পূরণ কর। ‘‘তোমরা নিজেদের সন্তানদের স্নেহ কর এবং তাদের ভাল ব্যবহার শেখাও। ’’‘‘কারো সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে তার কর্তব্য সে যেন সুন্দর নাম রাখে এবং উত্তম আদব শিক্ষা দেয়।
যখন সে বয়:প্রাপ্ত হবে তখন তার বিবাহ দিবে। যদি সে বয়:প্রাপ্ত হয় আর পিতা যদি বিবাহ না দেয় তখন সন্তান কোন গুনাহের কাজ করলে সে গুনাহ তার পিতার হবে। ’’
হালাল দ্বারা লালন পালন:নিজে যেমন হালাল উপার্জন দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করা ওয়াজিব, তেমনি সন্তান প্রতিপালন বৈধ উপার্জন থেকে খরচ করা কর্তব্য। ‘‘রাসূল(সা) বলেছেন, মানুষ এন্তেকাল করে তার সমস্ত আমল বন্দ হয়ে যায়, তবে তিনটি কাজ যার প্রতিদান পেতে থাক। ১. এমন সদকা যার কল্যাণকারীতা চলতে থাকে ২. এমন জ্ঞান যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় ৩. এমন সৎকর্মশীল সন্তান যে তার পিতা-মাতার জন্য দোয়া করে।
’’
ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ:কোন কোন সময় মায়ের অন্যায়ের শিকার হয় তার অসহায় কোমলমতি শিশু। বর্তমানে শুধু পরকীয়ার জের ধরে পিতামাতার বন্ধন ছিন্ন হওয়াতে শিশুরা বেশিরভাগ নির্যাতনের শিকার হয়। যেখানে পুরুষ ও নারী প্রত্যেকেই সমান দোষী। অন্য একটি পরিসংখ্যানিক উপাত্তের দিকে নজর দিলে আমরা দেখি যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১৮ সেকেন্ডে একজন নারী নির্যাতিত হয় যাদের বেশির ভাগই বিবাহ পূর্ববর্তী। যুক্তরাষ্ট্রের গুটম্যাচার ইনস্টিটিউট এর প্রদত্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ১৫-১৭ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে প্রায় ৭ লক্ষ ৫০ হাজার অবিবাহিত নারী গর্ভবতী হয়।
আর, সেদেশের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে বছরে ১ লক্ষ ১৩ হাজার কিশোরী মেয়ে গর্ভধারণ করে। যাদের মধ্যে সিংহভাগ গর্ভপাত ঘটিয়ে ভ্রুণ হত্যা করে দায়ভার থেকে মুক্ত হলেও বাকি জীবন অনেক দুর্বিসহ যন্ত্রণার মধ্যে কাটাতে হয়। ইউ.এস গর্ভমেন্ট অ্যাকাউন্টেবিলিটি অফিস এর জরিপ থেকে দেখা যায়,পশ্চিমের দেশগুলোতে নারীরা শুধুমাত্র দুটি পেশায় পুরুষদের চাইতে বেশী উপার্জন করে, তার একটি হচ্ছে মডেলিং আর অন্যটি হচ্ছে পতিতাবৃত্তি।
দৃষ্টিভঙ্গির পরিবতন:পরিসংখ্যানে পাওয়া যায় এই পৃথিবীতে প্রায় ৫৭ বিলিয়ন ইউ.এস ডলার এর বেশি অর্থমূল্যের পর্ণগ্রাফিক ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে। অবাক করার বিষয় হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত কয়েকটি পর্ণোগ্রাফিক ইন্ডাস্ট্রির বার্ষিক রাজস্ব সে দেশের বহুল প্রচারিত ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এ.বি.সি, সি.বি.এস এবং এন.বি.সি-র প্রদত্ত মোট রাজস্বের চাইতেও বেশী (৬.২ বিলিয়ন ডলার) হলেও প্রশাসন কোন এক অদৃশ্য ইঙ্গিতে আজও নীরব।
অন্যদিকে ইন্টারনেটে হিট কাউন্টার থেকে হিসেব করলে দেখা যায় সবচেষে বেশি হিট পড়ে এই পর্ণোগ্রাফিক সাইট গুলোতেই । আর সবচেয়ে ধনী দুইটি ওয়েবসাইট ও এই পর্ণোগ্রাফি নির্ভর। এখন এসবের সাথে যারা জড়িত তাদের মাধ্যমে গড়ে ওঠা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মানবতার জন্যে যে ভয়াবহ আপদ হয়ে দেখা দিবে এটা সাধারণ বিদ্যা বুদ্ধি দিয়েও অনুধাবনযোগ্য।
পরিশেষে বলা যায় যে, মানবসভ্যতার প্রথম অবদান শিশুই একদিন বড় হয়ে তার শ্রমশক্তি ও প্রতিভার অবদানে সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে শ্রেষ্টত্বের স্বাক্ষর রাখতে পারে। সুতরাং এই শিশুকে উপযুক্ত ভাবে লালন-পালন করা, তার জীবনকে আনন্দময় – মঙ্গলময় – শান্তিময় রাখা সকলের দায়িত্ব।
কবি বলেছেন, ‘এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমি। ’ ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে। ’ কবির এই স্বপ্ন, এই আকাক্ষা বাস্তবায়ন করার দায়িত্বটা কার? আমাদের বড়দের, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের। নবজাতক শিশু ফলবান বৃক্ষের মত। একটি চারাকে উত্তমরূপে পরিচর্যা করলে যেমন মজবুত কান্ড ও পত্র পল্লবে সুশোভিত পূর্ণাঙ্গ বৃক্ষে পরিণত হয়ে কাংঙ্ক্ষিতরূপে ফলদান করতে সক্ষম হয়।
তেমনি উত্তমরূপে পরিচর্যা করলে প্রতিটি শিশু সুস্থ্য সবল এবং সুঠাম দেহের অধিকারী পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। যাদের দ্বারা আমরা আগামী দিনে সোনালী ভবিষ্যৎ গড়তে পারি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।