[ আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন- কতদিন আমিও তোমাকে খুঁজি নাকো;- এক নক্ষত্রের নিচে তবুও- একই আলোপৃথিবীর পারে আমরা দুজনে আছি; পৃথিবীর পুরনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়, প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়, © জীবনানন্দ দাশ ] একদিন যদি এ আকাশ বলে ওঠে, এ অসভ্য সভ্যতার ছাঁদ হয়ে থাকবো না আমি আর,
তা শুনে সকল মেঘ যদি বলে, আমরা আর ছায়া হবো না সময়ে অসময়ে ।
তবে এসব শরতের দুপুরে আমি কি করবো একা একা ।
এসব স্তব্ধ নির্জন দুপুরে,
আমি শুন্যতার খোঁজে কোথায় তাকাবো?
যে কাশফুল গুলো এসেছিলো শরৎ আসার আগেই
তারা যদি বলে, এ শহরের বিষাক্ত বাতাসে দোলাবনা আমার দেহখানা আর ।
তবে শরতের দরজায় কড়া নাড়া সেসব পরিত্যক্ত বিকেলে,
আমি কি করবো একা একা ।
সে সব ভালোবাসাহীন দুপুরে,
আমি শুভ্র ভালোবাসার খোঁজে কোথায় তাকাবো?
উত্তর দিলো মেয়ে, এক অপরিচিত অচেনা মেয়ে ।
“সে সব নির্জন দুপুর কিংবা পরিত্যাক্ত বিকেলে আমার দিকে তাকাবেন
আমি আমার চোখে ভর করাবো রাজ্যের শুন্যতা ।
আমি ভালোবেসে কাশফুলের মত দোলাবো দেহখানা আমার” ।
সে মেয়ের দিকে তাকাতেই,
আমার কাছ থেকে দূরে সরে গেলো মেঘ
কাশফুল গুলো শরতের অপেক্ষায় না থেকে উড়ে গেলো মেঘের পিছু পিছু ।
আলোর দেয়ালে পড়ে থাকলো তোমার মিথ্যে ছায়া ।
আমার ঘাড়ে এখন নিঃশ্বাস ফেলছে অসভ্য সভ্যতার বিষাক্ত বাতাস।
আমার সামনে সব মেলে দাঁড়িয়ে আছে অচেনা মেয়ে।
আমার মনে মেঘের জন্যে আর্তনাদ।
আমার মনে কাশফুলের জন্যে হাহাকার।
আমার মনে এখন তোমার জন্যে ভালোবাসা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।