আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিউ ইয়র্কের ফেডারেল ব্যাংক ভবনে হামলা চালানোর অভিযোগে এক বাংলাদেশী গ্রেপ্তার

নিউ ইয়র্ক থেকে আরীফ মুহাম্মদ : নিউ ইয়র্কের ফেডারেল ব্যাংক ভবন উডিয়ে দেয়ার পরিকল্পনার অভিযোগে বুধবার (বাংলাদেশ সময় বৃহস্প্রতিবার রাত) এক বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করেছে এফবিআই। গ্রেপ্তার হওয়া ২১ বছর বয়সী এই বাংলাদেশীর নাম কাজী মোহাম্মদ রেজোয়ানুল আহসান নাফিস। নাফিসের বিস্তারিত পরিচয় দেয়নি এফবিআই। ডা‌উন টাউন ফেডারেল রিজার্ভ ভবনের সামনে গিয়ে তা বিস্ফোরণ করার সময় তাকে গ্রেপ্তার করে। মূলত এফবিআই‘র পাতা ফাঁদে পা দিয়ে গ্রেপ্তান হয় নাফিস।

তার তৈরী বোমা নিয়ে ফেডারেল ভবনে সামনে কার্যকর করতে গিয়েই নাফিস দেখে সেটা প্রকৃত বোমা নয়। আর এভাবেই নাটক শেষে নাফিসকেগ্রেপ্তার করে ফেডারেল এজেন্টরা। নাফিসের এইঅপকর্মের খবর আমেরিকার সব প্রধান প্রধান মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হওয়ার পর বাংলাদেশী কমিউনিটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। চলতি বছর জানুয়ারী মাসে স্টুডেন্ট ভিসায় নাফিস আমেরিকায় এসে নিউ ইয়র্ক শহরের বাংলাদেশী অধ্যুশিত কুইন্সের জ্যামাইকায় বসবাস করছিলেন। এদেশে এসেই নাফিস আল কায়েদার প্রতি সহানুভূতিশীল কাউকে খুঁজে পাবার চেষ্টা করলে পেয়ে যায় একজনকে।

মূলত সেই ছিলো এফবিআই‘র ইনফরমার। সে আল কায়দার প্রতি সহমর্মী পরিচয় দিয়ে নাফিসের সঙ্গে মিশে যায়। এর আগে ম্যানহাটানের সেন্ট্রাল পার্কে এজেন্টের সাথে সাক্ষাৎ আলাপে (যা রেকর্ডে ধারণকৃত) নাফিস তাকে বলে, তার আকাঙ্খা বিশ্বব্যাপী মুসলিম আধিপত্য প্রতিষ্টা। পরবর্তীতে আরো দেখা সাক্ষাৎ ও টেলিফোন আলাপে নাফিস জানায়, তার সাথে আল কায়দার যোগাযোগ আছে এবং তারা তাকে সহযোগিতা করবে। নিউ ইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, এফবিআই দাবী করেছে নাফিস আল কায়দার বহির্বিশ্ব শাখার সদস্য।

গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ছদ্মবেশী এজেন্টের কাছে তার পরিকল্পনার কথা অর্থাৎ নিউ ইয়র্কের যে কোন একটি বড় স্থাপনা বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে আমেরিকার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেবার ইচ্ছা প্রকাশ করে নাফিস। প্রথমে সে টার্গেট করেছিল নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্চকে, কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নিউইয়র্কের অন্যতম প্রাচীন স্থাপনা হিসাবে পরিচিত ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বেছে নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ছদ্মবেশী এজেন্ট নকল বিস্ফোরকসহ একটি পিকাপ ভ্যান দেয় নাফিসকে। নাফিস সেটা চালিয়ে নিয়ে ফেঢারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সামনে রেখে অদূরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কাছে মিলেনিয়াম হোটেলের সামনে গিয়ে সে ফোনের সাহায্যে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়, আর ঠিক তখই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপরে ব্রুকলীন তার বিরুদ্ধে গণবিধ্বংসী বিস্ফোরণের পরিকল্পা ও আল কায়দাকে সহযোগিতার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

-- ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।